সলিমুল্লাহ মেডিক্যালে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ

স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনার পর মেডিক্যাল কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলে জরুরী বৈঠকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে মেডিক্যাল একাডেমিক কাউন্সিলররা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজে ৭ বছর ধরে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। গত সোমবার ডা. জাভেদকে সভাপতি ও আতাউর করিম আরবিকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে অসনত্মোষ চলছিল। এদিন রাতে আরবি বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মাধ্যমে সুরাহার নির্দেশ দেয় জাভেদকে। কারণ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ ছাড়া এই কমিটির কোন মূল্য নেই। এতে জাভেদ ও তার দলীয় ক্যাডাররা ৰিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কলেজ ক্যাম্পাসে উভয় গ্রম্নপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দু'ছাত্র আহত হয়। এ সময় ডা. জাভেদ নিজেকে সভাপতি ও ডা. প্রহলস্নাদ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করে। এতে ডা. আরবি ও তার ক্যাডাররা ৰিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ছাত্রলীগ নেতা ডা. মোঃ জাভেদ তার দলবল নিয়ে মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করে। এটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা ডা. আরবি ও তার দলীয় ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে এসে ডা. জাভেদের কমিটির বিরম্নদ্ধে পাল্টা মিছিল করে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রম্নপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরম্ন করে। মুহূর্তে কলেজে কাস বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের দু'গ্রম্নপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্রলীগের ডা. জাভেদ, ডা. আরবি, ডা. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, ডা. তোহলাল, ডা. মিজানুর রহমান ও আতিকুর রহমানকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পর সকাল ১১টায় মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলে জরম্নরী বৈঠক বসে। টানা আড়াই ঘণ্টা এই বৈঠকে মিটফোর্ড ম্যাডিকেল কলেজ কমিউনিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তৌহুর আলীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে বিকেলে কলেজ অধ্যৰ অধ্যাপক ডা. এমএ আজহার ঘটনার সুষ্ঠু তদনত্মের আশ্বাসের প্রেৰিতে থানা থেকে ৬ ছাত্রলীগ কমর্ীকে ছাড়িয়ে আনা হয়। এ ব্যাপারে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্যার সলিমুলস্নাহ মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদের দু'গ্রম্নপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়েছে। পরে পরিস্থিতি শানত্ম করার জন্য ৬ ছাত্রকে আটকের পর কলেজ কর্তৃপৰের আশ্বাসের প্রেৰিতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.