বিফলে গেল পোলার্ডের সেঞ্চুরি

১৭ রানে ৩ উইকেট নেই। ২০তম ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ৫৫। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭০ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন আবার ছায়া ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্রেসিংরুমে।
সেখান থেকে দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করল ২২০। ওয়েস্ট ইন্ডিজ না বলে অবশ্য কাইরন পোলার্ড বলাই ভালো। স্যামি-রাসেল-নারাইন একটু সঙ্গ দিয়েছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের বিপক্ষে বলতে গেলে একাই লড়লেন এই ত্রিনিদাদিয়ান। ২২ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর নেমে অপরাজিত থাকলেন ১০৯ রানে। দলের বাকি ১০ ব্যাটসম্যান মিলে যেখানে করেছেন এর চেয়ে ৯ রান কম!
ওয়ানডেতে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি, সেটিও এমন বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর উদ্যাপন তো করবেনই পোলার্ড। তবে ম্যাচশেষে আর সেই সেঞ্চুরির আনন্দটা অবিমিশ্র থাকেনি। ম্যাচ-সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময়ও মুখে হাসি নেই। এমন একটা ইনিংস খেলার পরও দল যে হেরেছে ৩১ বল বাকি থাকতেই। ৫ উইকেটের এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া এখন ৪-০ তে এগিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চোখ রাঙাচ্ছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস যেখানে পোলার্ডের একাধিপত্যের সাক্ষী, অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস সেখানে ‘সবে মিলি করি কাজ’-এর আদর্শ উদাহরণ। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান করেছেন। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্র ৩৭। সর্বোচ্চ শেন ওয়াটসনের ৭৬। আগের ম্যাচে ফিরেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন কালও, শেষ পর্যন্ত যা হয়নি টিনো বেস্টের একটি লাফিয়ে ওঠা বলে কট বিহাইন্ড হয়ে। ওই পর্যন্ত যেতেও অবশ্য পেয়েছেন ভাগ্যের সহায়তা। ৩২ রানে তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন উইকেটকিপার ডেভন টমাস। নারাইন যখন রানআউট করার সহজ সুযোগটি নষ্ট করলেন, ওয়াটসন তখন ৫১।
সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামীকাল মেলবোর্নে। ধবলধোলাই সম্পূর্ণ করতে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য এই ম্যাচে পাচ্ছে না অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে খেলতে পারবেন না তিনি। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.