মজার খবর- বডিগার্ড অজগর

সন্তানের জন্য কেউ কি অজগরকে বডিগার্ড হিসেবে রাখতে পারে? এমনি আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে চীনে। চীনের এক বাবা তার সন্তানের দেখাশোনার জন্য বেশ ব্যতিক্রমী এক রক্ষকের সন্ধান পেয়েছেন।
আর এ রক্ষক হচ্ছে বিশালাকার এক অজগর। চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ডংগুয়াংয়ের বাসিন্দা চ্যাং লুই তার ১৩ বছরের সন্তান আজহিকে ২২০ পাউন্ড ওজনের অজগরের কাছে রেখেই বাইরে কাজ করতে যান। ঘরের ভেতর খোলা পরিবেশে আজহিও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে অজগরের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটায়। আজহি বলেছে, আমার সঙ্গে ও খুব সতর্ক হয়ে চলাফেরা করে। ও আমাকে খুব বেশি চাপ দেয় না। আজহির জন্মের ছয় বছর পর তার বাবা একটি অজগরের ডিম নিয়ে এসেছিল। সেটি ফোটার পর থেকেই অজগরটি তার সঙ্গে রয়েছে। চ্যাং বলেছেন, কিছু সময় পার হওয়ার পর আমি নিশ্চিত হয়েছি অজগরটি আমার সন্তানের কোন ক্ষতি করবে না। এরপর ওর জিম্মাতেই সন্তানকে রেখে বাইরে যান। সে অনেকটা আমার সন্তানের রক্ষক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছে। এর ফলে আর যা-ই হোক কোন অপহরণকারী আমার সন্তানকে স্পর্শ করার দুঃসাহস দেখাবে না।
ভুল ঠিক করবে কলম

লেখার সময় ব্যাকরণগত ভুল হওয়া স্বাভাবিক। অনেক সময় কম্পিউটারে ইন্সটল থাকা ব্যাকরণের সফটওয়ারও শব্দের বানান ভুল সম্পর্কে অবহিত করতে পারে না। এ ধরনের সমস্যা নিয়ে যাদের চিন্তার শেষ নেই তাদের জন্য সুখবর এনেছে জার্মানির ‘লার্নস্টিফট’ নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর এমন একটি কলম আবিষ্কার করেছে, যেটি ভুল লেখার সময় কম্পন (ভাইব্রেশন) সংকেত দিয়ে লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। লার্নস্টিফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই কলমের অভ্যন্তরে স্থাপিত সেন্সর যন্ত্রটি ব্যাকরণগত এবং শব্দগত ভুল ধরতে সক্ষম। তাছাড়া, সাধারণ যে কোন ধরনের লেখার পাশাপাশি এই কলম দিয়ে ক্যালিওগ্রাফি মুডেও লেখা যাবে। এ ক্ষেত্রে শুধু মুডটা নির্বাচন (সিলেক্ট) করে নিতে হবে।


ক্যালিগুলার ঘোড়া

যুগে যুগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন অসংখ্য ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্ব। বিচিত্র খেয়ালের শাসকদের মধ্যে ক্যালিগুলা ছিলেন অন্যতম। খ্রিস্টীয় ৩৭ থেকে ৪১ অব্দ পর্যন্ত মাত্র চার বছর তিনি শাসন করেছেন রোম সাম্রাজ্য। কিন্তু এই চার বছরের মধ্যেই দেশ শাসনে তিনি যে কীর্তি স্থাপন করেন, তা আজও মানুষ স্মরণ করে; হোক তা ঘৃণাভরে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্যালিগুলার নিয়মনীতি ছিল একেবারেই ভিন্ন ধরনের। তার ছিল ইনসিটাটাস নামে একটি সাদা ঘোড়া। এটিতে তিনি সময়ের সবচেয়ে বড় ভালোবাসা বলে উল্লেখ করতেন। ভালবাসার এ ঘোড়াটি সেকালে তো বটেই, একালের ভালোবাসাকেও হার মানায়। সম্রাট ক্যালিগুলা তার প্রিয় ঘোড়াটিকে বানিয়েছিলেন রাষ্ট্রের বিশেষ দূত। একটি প্রজাতান্ত্রিক সরকারের আলঙ্কারিক মাথা হিসেবেও ঘোড়াটিকে অভিহিত করা হতো। এমনকি আইনসভায়ও উপস্থিত রাখা হতো ঘোড়াটিকে।

ইব্রাহিম নোমান

No comments

Powered by Blogger.