হকিকে সাহায্যের আশ্বাস

বাংলাদেশের হকির জন্য ব্যতিক্রমী একটা দিন ছিল কাল। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) সভাপতি কালই প্রথম পা রাখলেন ঢাকায়। আর লিয়ান্দ্রো নেগ্রের ঢাকায় পা রাখার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই এলেন এফআইএইচের দেওয়া খণ্ডকালীন কোচ মিশেল কিনান।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের আমন্ত্রণে আসা লিয়ান্দ্রো নেগ্রে দেখা করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের সঙ্গে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) সভাপতি জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর।
এফআইএইচ সভাপতির কাছে ফেডারেশনের প্রত্যাশা অনেক—অন্তত দুটি অ্যাস্ট্রো টার্ফ, ফ্লাডলাইট, দীর্ঘমেয়াদি কোচ, খেলোয়াড়দের ইউরোপে খেলার সুযোগ করে দেওয়া এবং অলিম্পিক সলিডারিটি তহবিল থেকে অনুদান। একেবারে নিরাশ করেননি তিনি। জানা গেছে, সবকিছুই তাঁর বিবেচনায় আছে। ফেডারেশন সভাপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা উইং কমান্ডার রাফি জানিয়েছেন, ‘উনি আমাদের ফ্লাডলাইটসহ একটা টার্ফ দিতে চেয়েছেন। এ জন্য বাংলাদেশকে দেড় লাখ ডলার দিতে হবে। কিন্তু ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিনা খরচে দুটি টার্ফ ও ফ্লাডলাইট দেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক মনোভাবই দেখিয়েছেন। এটা পাওয়ার সম্ভাবনা আছেআমাদের। টার্ফ দিলে সেখানে যাতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যায়, সেটাও বিবেচনায় রাখতে বলেছেন এফআইএইচ সভাপতি। মন্ত্রী টার্ফ বসাতে জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’ মিশেল কিনান সকালে ঢাকায় পৌঁছে বিকেলেই আসেন জাতীয় দলের অনুশীলন দেখতে। বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি মাঠে বসে দেখলেন বেলজিয়ামের হয়ে ১২৯টি ম্যাচ খেলা কিনান। পরে এই উপদেষ্টা কোচ বললেন, ‘আমি মাত্রই এসেছি। আগে দলটাকে ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করি। এরপর বর্তমান কোচের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করব। বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারলে খুশিই হব আমি।’ ইউরোপে ব্যস্ত থাকায় দিল্লিতে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় পর্বে দলের সঙ্গী হচ্ছেন না কিনান। প্রথম দফায় এক সপ্তাহ দলের সঙ্গে কাজ করে বেলজিয়াম ফিরবেন ৮ ফেব্রুয়ারি।

No comments

Powered by Blogger.