প্রাক-প্রাথমিকের জন্য নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ৩৮ হাজার সহকারী শিক্ষক by আমানুর রহমান

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হওয়া প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য নতুন করে প্রায় ৩৮ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক অর্থাৎ শিশু শ্রেণী চালু করা হয়েছে। কিন্ডার গার্টেনগুলোতে আগে থেকেই প্লে গ্রুপ নামে প্রাক-প্রাথমিক চালু রয়েছে। শত ভাগ এনরোলমেন্ট নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ইতোমধ্যে পাইলটিং-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ জন্য সরকারের প্রতি বছর অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ডিপিই সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং নতুন নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান পাওয়া গেছে। একাধিক ধাপে এ নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।  প্রথম ধাপে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। নিয়োগ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। এখন চলছে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। সূত্র জানায়, কয়েক ধাপে এ নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী জুলাইয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হবে। অবশিষ্টদের এ ধাপেই নিয়োগ সম্পন্ন হতে পারে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যেসব বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীর শিার্থী  বেশি কিন্তু শিক কম, সেগুলোতেই নতুন শিকদের নিয়োগ  দেয়া হবে। দেশের ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে শিশু শ্রেণীর জন্য একজন করে শিক নিয়োগ দিতে ডিপিই ২০১০ সালের শেষের দিকে প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছিল।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিা উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর অধীনে নতুন এ পদে নিয়োগ দেয়া শিকদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিকের মতোই বেতনভাতা দেয়া হবে। ১৫ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক নিয়োগের েেত্র সরকারি প্রাথমিক শিক নিয়োগের বর্তমান বিধিই অনুসরণ করা হবে। এ বিধি অনুযায়ী নারী প্রার্থীদের শিাগত যোগ্যতা কমপে এসএসসি ও পুরুষ প্রার্থীদের ডিগ্রি বা অনার্স পাস হতে হবে।

শিশুদের বিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো, ভর্তির হার বাড়ানো ও ঝরে পড়া ঠেকাতে জাতীয় শিানীতির আলোকে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক বছরমেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিা চালু করে সরকার। ২০১১ শিাবর্ষ থেকেই দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে ‘শিশু শ্রেণী’ নামে প্রাক-প্রাথমিক শিা চালু বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু শিক স্বল্পতা ও শ্রেণিক সঙ্কটের কারণে গত বছর অনেক স্কুলে শিশু  শ্রেণী খোলা হলেও পাঠদান করা শুরু হয়নি।  এ বছর সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শিশু শ্রেণীর পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক স্বল্পতা ও শ্রেণিক সঙ্কটÑ এ দুই কারণে বিশেষ করে তিন কবিশিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি শ্রেণিকইে একসাথে শিশু শ্রেণী এবং প্রথম শ্রেণীর পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক প্রতিষ্ঠানপ্রধান। এ ছাড়া প্রথম থেকে পঞ্চম  শ্রেণীর পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান শিকেরা। ২০১৩ শিাবর্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিায় শিশু শ্রেণী চালু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিকপর্যায়ে যেসংখ্যক শিক্ষক আছেন তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে কোনো শিক্ষক ছুটিতে গেলে ওই স্থানে কাউকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য প্রাথমিকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও বেশি। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, নিয়োগপ্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এখন যাচাই-বছাইয়ের কাজ চলছে। তিনি বলেন, এ নিয়োগপ্রক্রিয়ার ফলে প্রাথমিকের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। ��ধ �+ ���/c��dছিল এ নগরে। ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুই পাশে এক তলা, দ্বিতল ও তিনতলা দালান রয়েছে পানামে। পানামে বর্তমানে প্রায় ৪৯টি ভবন রয়েছে। তবে এগুলোর বেশির ভাগই ধ্বংসপ্রাপ্ত।

 সম্প্রতি এ নগরীকে সরকারের প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর কয়েকটি ভবন সংস্কার করলেও এখনো অনেক ভবন ধ্বংসস্তূপ। কোনোভাবে ইতিহাসের সাী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে অবকাঠামোগুলো। ভুতুড়ে পানাম নগরের ভবনগুলোর অন্ধকার কে একাকী দাঁড়ালে ভয়ে গাঁ শিউরে ওঠে।

প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর আধুনিক পর্যটন নগরী গড়তে সম্প্রতি পানামের ভেতর দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে পানামের বাইরে দিয়ে আমিনপুর হয়ে বাইপাস সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আগামী জুনে এ কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের পানাম সাইডের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, এ পানামে ৪৯টি ভবনের মধ্যে ১৪টি ভবনের আংশিক সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। সরকারের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাকি কাজ হচ্ছে না। অর্থ বরাদ্দ হলে বাকি সংস্কারকাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এর আগে পানামের ভেতরের রাস্তাটি বন্ধ করে স্থানীয়দের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাইপাস সড়কের কাজ শুরু হয়েছে।

পানাম এখন সোনারগাঁওয়ের সিটি অব ব্যাবিলন। প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটক এখানে ভিড় জমান। প্রাচীন গৌরবগাথা ও ঐতিহ্যকে সংরণ করে পানাম নগরী ফিরে পেতে পারে অতীতের উজ্জ্বল মহিমা, হতে পারে এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

No comments

Powered by Blogger.