চিঠি পত্র

শাটল বাস সম্প্রতি ঢাকা সেনানিবাস ও মিরপুর সেনানিবাস এলাকায় নামমাত্র মূল্যে দুই টাকা সার্ভিস চার্জে সেনা পরিবহন নামে শাটল বাসগুলো শুধু সেনানিবাসের অভ্যন্তরেই ৪৫ মিনিট পর পর চলাচল করে, যা খুবই দীর্ঘ বিরতির।
এতে সেনানিবাস এলাকা থেকে দূরে বসবাসরত চাকরিজীবীদের অফিসে আসা-যাওয়া, সেনানিবাস এলাকার বিভিন্ন অফিসের জরুরি চিঠিপত্র এবং অসুস্থ রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে, বিশেষ করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
সেবার মান বৃদ্ধিকল্পে বালুঘাট-ফার্মগেট-গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী রুট চালু এবং সেনানিবাসের অভ্যন্তরে চাকরিজীবীদের সময়ের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে অধিক বাস চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীরও শাটল বাস সার্ভিস চালু করা একান্ত প্রয়োজন।
এ অবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বালুঘাট, ফার্মগেট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী রুট চালু এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীরও শাটল বাস সার্ভিস চালু করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো. মজনু মৃধা
নারিশা খালপাড়, দোহার, ঢাকা।

চাকরিপ্রার্থীদের বয়স
আমাদের দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবি উঠেছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে, বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এটা খুবই যৌক্তিক দাবি। কারণ, সরকার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়স বাড়িয়ে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ৬০ বছর করেছে। তা ছাড়া ৪৫ শতাংশ কোটা এবং নিয়োগ-বাণিজ্য তো রয়েছেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্বাক, যা বর্তমান তরুণসমাজকে হতাশায় ফেলে দিচ্ছে এবং ক্রমেই তারা অন্ধকার পথে পা বাড়াচ্ছে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
তাই প্রধানমন্ত্রী সমীপে আবেদন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অবিলম্বে বাড়ানো হোক। যাতে একটি সন্তান তার মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
আফরিন, কদমতলী, ঢাকা।

পরীক্ষা
গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম আলো পত্রিকায় দেখলাম, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখন আর প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হবে না। এখন থেকে বছরে দুটি অর্থাৎ অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। এতে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাভীতি কমবে এবং পরীক্ষার্থীরা পড়ালেখা ও নিজেকে তৈরি করতে যথেষ্ট সময় পাবে। আগে দেখা যেত, মার্চ কিংবা এপ্রিলে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট সময় পেত না। সিলেবাসভিত্তিক পড়ালেখায় পুরো সিলেবাস শেষ করতে ছাত্রছাত্রীসহ শিক্ষকদের কিছুটা হিমশিম খেতে হতো প্রথম দিকে। এখন যেমন প্রথম সাময়িক পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে, তেমনি বার্ষিক পরীক্ষার জন্যও যথেষ্ট সময় পাবে শিক্ষার্থীরা। এতে মেধার মান বাড়বে। কেননা ছাত্রছাত্রীদের নানা সৃজনশীল প্রশ্নের মাধ্যমে প্রতিটি পাঠ ভালোভাবে পড়ানোর সুযোগ পাবেন শিক্ষকেরা। এতে পরীক্ষার দ্রুত প্রস্তুতির জন্য দৌড়ঝাঁপের প্রয়োজন হবে না। সহজ-সাবলীলভাবে ছাত্রছাত্রীরা এগিয়ে যাবে। এতে প্রতিটি পাঠের বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনাসহ মূল্যায়ন এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যাবে শিক্ষকের পাঠদানের সময়। অন্যদিকে, যেহেতু বছরে দুটি পরীক্ষা, সেহেতু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা অলস ভাব সৃষ্টি হতে পারে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে। আর এই ব্যবধানটা ঘোচাতে হবে শ্রেণী পরীক্ষার মাধ্যমে কিংবা নানা মূল্যায়নের মাধ্যমে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মধ্যে সক্রিয় রাখতে প্রতিটি পাঠ শেষে সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন আবশ্যক। তবে সেটা করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের ওপর কোনো রূপ চাপ সৃষ্টি না করে।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
সহকারী শিক্ষক, আলিশারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল।

No comments

Powered by Blogger.