র‌্যাব-পুলিশই রফিকুলকে হত্যা করেছে ॥ by তরিকুল

 ঢাকা মহানগরীর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিক মজুমদারকে পরিকল্পিতভাবে র‌্যাব-পুলিশই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রফিক মজুমদারের জানাজা শেষে তিনি এ অভিযোগ করে অবিলম্বে এ হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। তরিকুল বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় এসে বিরোধী দলের ১৫৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ঘরের মধ্যে খুন হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি, রাস্তায় খুন হয়েছে বিশ্বজিৎ। সাগর-রুনীসহ একটি হত্যাকা-েরও বিচার হয়নি। তিনি বলেন, র‌্যাব পরিচয়ে ধরে এনে সরকার পরিকল্পিতভাবে রফিক মজুমদার হত্যাকা- ঘটিয়েছে। তবে এর সঙ্গে র‌্যাব-পুলিশ জড়িত না থাকলে সরকারকেই তা প্রমাণ করতে হবে।
তরিকুল বলেন, সরকার চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। বিরোধী দলকে মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না। যখন তখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে। হত্যা, নির্যাতন, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেয়া পাঁচ শ’ ওয়াদার একটিও পূরণ করতে পারেনি। এ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। তিনি বলেন, রফিক মজুমদার হত্যার ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব এখন সরকারের। দেশ এখন রসাতলে যাচ্ছে। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।
বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রফিক মজুমদারের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কুষ্টিয়ায় রফিক মজুমদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও বুধবার বাদ আসর মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করেছে।
সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই হত্যা-গুম করা হচ্ছে- ড. মোশাররফ ॥ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই হত্যা-গুম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকর মোশাররফ হোসেন। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি আরও বলেন, সরকার গেস্ট্রাপো বাহিনী তৈরি করেছে, যাদের কাজ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের গুম করা। এরই অংশ হিসেবে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদারকে হত্যা করা হয়েছে।
ড. মোশাররফ বলেন, সরকার ’৭২ থেকে ’৭৫-এর মতো হত্যা-গুম শুরু করেছে। ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ বিএনপির অনেক নেতাকে গুম করা হয়েছে। সর্বশেষ রফিক মজুমদারকে শ্বশুরবাড়ি থেকে গুম করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের শুরুতেই ভারতের কাছ থেকে আমরা উপহার পেয়েছিলাম কাঁটাতারে ফেলানীর লাশ। এবার বছরের প্রথম দিনেও উপহার পেলাম দুটি লাশ। আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত, গণতন্ত্র হুমকির মুখে। এই সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব সুরঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কৃষকদলের যুগ্ম মহাসচিব শাজাহান মিয়া সম্রাট ও মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন।
রফিক হত্যায় সরকারকে দায়ী ব্যারিস্টার রফিক ॥ রফিক মজুমদার হত্যায় সরকার দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তিনি বলেন, রফিক হত্যা, ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ দেশের অনেক মানুষ গুমের দায় সরকার এড়াতে পারে না। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি এ কথা বলেন।

No comments

Powered by Blogger.