জাল 'ইউরো' ধরার প্রযুক্তি by সিফাত মোসাদ্দেক ভূইয়া

২০০৮ সালে ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরো নকল হওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে দুই ইউরো মূল্যমানের কয়েনের ৮০ শতাংশেরই নকল ধরা পড়ে। এই ঘটনায় অর্থনীতিবিদ থেকে শুরম্ন করে সবার মধ্যেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
জাল মুদ্রা শনাক্ত করার ব্যাপারে চিনত্মা-ভাবনা শুরম্ন হয়। তবে খুশির খবর হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি অব লিডিয়ার গবেষকরা এরই মধ্যে একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সম হয়েছেন। উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে অপটিক্যাল কম্পিউটার মাইস। সায়েন্টিফিক জার্নাল সেন্সরসে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জালিয়াতদের জন্য অশনি সংকেত বেজে উঠেছে। যাই হোক মূল প্রযুক্তিটি হচ্ছে আসলে অপটিক্যাল কম্পিউটার মাইমের ভেতরে বসানো একটি সেন্সর। এটি জাল কয়েন শনাক্ত করার কাজে কার্সারের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। ইউডিএলের বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নালে (সেন্সর) এ ব্যাপারে বিসত্মারিত তুলে ধরেছেন। গবেষক দলের সদস্য মারসেল ট্রেসানচেজ বলেন, তারা দুই ইউরো কয়েনের জাল মুদ্রা শনাক্ত করার গবেষণায় সফল হয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশন সূত্রে বলা হয়, ২০০৮ সালে দুই ইউরো কয়েনের ৭৯ শতাংশেরই জাল ধরা পড়েছে।
নকল শনাক্ত করার জন্য কয়েনকে প্রথমে একটি ছাঁচের মধ্যে বসানো হয়। এরপর তার ঘোরানো হয়। কয়েক মিলিমিটার দূরে রাখা সেন্সরটি কয়েনের উভয় পিঠের ছবি তোলে। ছবি এবং গাণিতিক হিসাবের আলোকে মূল কয়েনের সঙ্গে এর তুলনা করার পর জাল কয়েনের তারতম্য ধরা পড়ে।
একই ধরনের অপারেশন চালানো যেতে পারে ওয়েবক্যামের মাধ্যমেও। তবে সেন্সরের সুবিধা হচ্ছে এর আয়তন ুদ্র এবং খরচও কম। আর বিষয়টি এত সহজ যে একজন সাধারণ মানুষও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জাল মুদ্রা ধরতে পারবে।
সূত্র : সায়েন্স ডেইলি

No comments

Powered by Blogger.