বি'বাড়িয়ায় জনতার পিটুনিতে টাইগার সামাদসহ হত ৩ নারী ডাকাত আটক পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ

ব্রাণবাড়িয়া, ১৫ জানুয়ারি নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডাকাত-পুলিশ ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এ সময় ুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে আনত্মঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার দুর্ধর্ষ টাইগার সামাদ ও তার ২ সহযোগী নিহত হয়েছে। এ সময় আটক করা হয় তাদের ডাকাত সহযোগী বিউটিকে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যদশর্ীরা জানায়, রাতে ডাকাত সর্দার টাইগার সামাদ তার সহযোগীদের নিয়ে কাইতলা গ্রামের সৈয়দ মাসুকের বাড়িতে বৈঠক করছিল। গ্রামবাসী বিষয়টি অাঁচ করতে পেরে তাদের ঘিরে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ডাকাতরা পুলিশকে ল্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ডাকাত-পুলিশ তুমুল বন্দুকযুদ্ধ হয়।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, গভীর রাতে গুলির শব্দে গোটা এলাকার মানুষ জেগে ওঠে। এতে কাইতলা গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ডাকাতরা পুলিশকে ল্য করে পাল্টা ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ডাকাতদের ছোড়া গুলির জবাব দেয়। এরই মাঝে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়। গ্রামবাসী জানায়, মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। বিুব্ধ গ্রামবাসী ডাকাতদের ধরে ফেলে। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই ডাকাত সর্দার টাইগার সামাদ (৩৫) বাড়ি কাইতলা, তার সহযোগী মফিজ (৪০), বাড়ি চট্টগ্রাম, ইলিয়াস (৪০) বাড়ি চট্টগ্রাম নিহত হয়। তখন তাদের সহযোগী নারী ডাকাত ঢাকার গাজীপুরের বিউটিকে আটক করে গণধোলাই দেয়া হয়। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেযা হয়েছে। নবীনগর থানা পুলিশ জানায়, টাইগার সামাদ ১০ খুনের মামলা সহ ১২ ডাকাতি মামলার আসামি। রাতে সে তার শীর্ষ সহযোগীদের নিয়ে কাইতলার বাড়িতে বৈঠক করছিল। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রূপক কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, গণপিটুনিতে তারা নিহত হয়েছে। নবীনগর পুলিশ জানায়, কাইতলা-বিটঘরসহ আশপাশের কয়েক হাজার গ্রামবাসী ডাকাতদের ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করে। পুলিশ তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি এলজি ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমান গনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.