বিএনপি-জামায়াতের সেদিনের অঙ্গীকার আর আজকের সমালোচনা হাসিনা-মনমোহন ঘোষণা by মামুন-অর-রশিদ

 বাংলাদেশ-ভারত সম্পাদিত চুক্তি, সমঝোতা স্মারক আর যৌথ ঘোষণার বাসত্মবায়ন চায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী আর শ্রমজীবী সকলের ঐকানত্মিক বাসনা সবকিছুর বাসত্মবায়ন হোক।
বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কামনা_'বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক।' তিসত্মার পানির সমানুপাতিক বণ্টনসহ প্রয়োজনীয় যেসব বিষয়ে চুক্তির কথা বলা হয়েছে ওই চুক্তিগুলো ত্বরিত হোক। চুক্তির শর্তাদি বাসত্মবায়ন, সমঝোতা স্মারক কার্যকরকরণ না হলে সমালোচনা বাড়বে। এমনকি যারা অতীতে ভারতকে গ্যাস কিংবা ট্রান্সজিটসহ নানা সুবিধা দেয়ার অঙ্গীকার করে ৰমতায় গিয়েছে তারাও সমালোচনার সুযোগ পাবে। চুক্তি ও স্মারকের কার্যকর প্রয়োগের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে দেশের স্বার্থ রৰার বিষয়টি। সে কারনে সকল মহল এখন তাকিয়ে আছে, হাসিনা-মনমোহন শীর্ষ বৈঠকে সম্পাদিত তিনটি চুক্তি, দু'টি সমঝোতা স্মারক, যৌথ ঘোষণায় ৪৭ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে অর্থ উপার্জন নিশ্চিত করার দিকে। অতীতে অনেক চুক্তি, আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেসবের অনেক কিছুরই যথার্থ বাসত্মবায়ন হয়নি। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী অনেকের মতেই আজ যারা এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে দেশের স্বার্থহানির অভিযোগ তুলছেন তারাই অতীতে দেশের স্বার্থবিরোধী নানা সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। অতীতের ঘটনা পরিক্রমা ধারাবাহিকভাবে পর্যবেৰণ করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে তাদের অভিমত।
গত ১০ জানুয়ারি চারদিনের সরকারী সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ ইন্দিরা গান্ধী শানত্মি পদক। তিনি ৪৭টি বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে আসেন। সন্ত্রাস দমনে দু'দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌছায়। ভারত বাংলাদেশকে ৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা ও অনুদান প্রদানে সম্মত হয়। দু'শ' ৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত এবং প্রতিবছর ৩শ' মেধাবী ছাত্রকে বৃত্তি প্রদানে ভারত রাজি হয়। ৫০ দফা কর্মকৌশল ও অঙ্গীকারের যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ নেপাল-ভুটান যোগাযোগের জন্য ভারত ট্রানজিট দিয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এতে দারম্নণ উৎসাহী। তারা এখন এসব সিদ্ধানত্ম বাসত্মবায়নের অপেৰায়। এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব অর্জনের। যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৰেত্রে ভবিষ্যতের জন্য মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। এই সফরের সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশে নন্দিত হয়েছেন। বিশেষ করে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী খুবই খুশি হয়েছে। অথচ বিএনপি কোন সাফল্য দেখছে না। বরং তাদের অনেকের গাত্র জ্বালা বেড়েছে। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরম্ন করে দলের কর্ণধারদের কেউই এই সফরের সাফল্য খুঁজে পাচ্ছেন না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৬ সালের মার্চ মাসে তিন দিনের ভারত সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গঙ্গার পানি চুক্তি, পার্বত্য চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের পৰে কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি। বিশেষভাবে উলেস্নখ্য, ২০০১ সালের অক্টোবর নির্বাচনের আগে আগস্ট মাসে বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমান জানিয়েছিলেন 'বিএনপি ৰমতায় এলে বাংলাদেশ ভারতে গ্যাস রফতানি করবে। বাংলাদেশে ভারতের পণ্য উন্মুক্ত করা হবে এবং সব ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হবে (এ তথ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার)। ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের পণ্য পরিবহন সুবিধা (ট্রানজিট/ট্রানশিপটমেন্ট) দেয়ার কথা বলা হয়। বিগত জোট শাসনামলে সর্বশেষ ২০০৬ সালে বিএনপি ঘরানার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টিপাইমুখ বাঁধের ব্যাপারে গঠিত কমিটির এফএপি'র (ফাড এ্যাকশন পস্নান) রিপোর্টে বলা হয়, টিপাইমুখ বাঁধ হলে সিলেটের হাওড়-বাঁওড়ের পানি নিষ্কাশন সহজ হবে এবং একই সঙ্গে এই অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা হ্রাস পাবে। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে (১৯৭২-৭৫) ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বসত্ম বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্য ছিল ৬ ঃ ১। পৰানত্মরে বেগম জিয়ার শাসনামলেই (১৯৯১-৯৬) ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্যের অনুপাত অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৪ঃ১-এ দাঁড়ায়। নিজামী যখন শিল্পমন্ত্রী তখনই টাটাকে নাম মাত্র মূল্যে গ্যাস দিয়ে বাংলাদেশের বিপুল বিনিয়োগের জন্য কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। গত দেড় দশকের এক দশক ৰমতায় থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিলস্নী সফরে গিয়ে বেগম জিয়া গঙ্গার পানি চুক্তির কথা বেমালুম ভুলে যাওয়ারও রেকর্ড রয়েছে। অথচ ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সাফল্যের পর বিএনপির যেন গাত্র জ্বালা বেড়ে গেছে। দেশের স্বার্থ সংরৰণের জন্য আজ তারা 'উচ্চকিত'।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল বারকাত জনকণ্ঠকে বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাণিজ্য স্বার্থ প্রাধান্য দেয়া হয়। অথচ বর্তমান সরকারের দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পোর্ট ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে আর্থিক মুনাফা অর্জন প্রক্রিয়াকে ভালভাবে নিতে পারছে না বিরোধী দলে থাকা বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে বেগম জিয়ার বক্তব্য প্রমাণ করছে, 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতেও তিনি দ্বিধা করছেন না।' ভারতের বিরোধিতা করতে হবে বলে তিনি আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফাকেও জামায়াতের সুরে 'স্বাধীনতাকামী' বলে অভিহিত করেছেন। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, 'চেচেন বিদ্রোহী কিংবা তামিলদেরও কি তিনি স্বাধীনতাকামী মনে করেন?'
বেগম জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিলস্নী সফরে গিয়ে বেগম জিয়া গঙ্গার পানি চুক্তির (১৯৯২) কথা বেমালুম ভুলে যান, তাঁর সরকারই (১৯৯১-৯৬) বাংলাদেশকে ভারতীয় বাজারে পরিণত করে, বেগম জিয়ার শাসনামলেই (১৯৯১-৯৬) ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্যের অনুপাত অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৪ঃ ১-এ দাঁড়ায়, খালেদা জিয়া-নিজামী শাসনামলে (২০০১-৬) ফাড এ্যাকশন পস্নান (এফএপি) রিপোর্টে টিপাইমুখ বাঁধের পৰে বলা হয়। বেগম জিয়ার বক্তব্যের বিশেস্নষণ বলছে, এখনও গতানুগতিক ভারতবিরোধিতার জুজু রাজনীতি আর আওয়ামী লীগের বিরম্নদ্ধে ভারতপ্রীতির অভিযোগই তাদের রাজনীতির একমাত্র আধেয় রয়ে গেছে। ৰমতায় থাকতে এক রকম কথা আর ৰমতার বাইরে গেলেই সম্পূর্ণ উল্টো কথা। ইসু্যহীন রাজনীতিতে মাঠ গরমের লৰ্যেই কি আকস্মিক এই গরম বক্তৃতা-রাজনৈতিক বিশেস্নষকদের মধ্যে এমন প্রশ্ন উঠেছে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কার শাসনামলে বাংলাদেশ ভারতের বাজারে পরিণত হয়েছে। ১৯৯১ সালে ৰমতায় আসার পর বেগম জিয়ার সরকারই মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে বাংলাদেশের বাজার ভারতীয় পণ্যে সয়লাব করে দেয়। বেগম জিয়ার শাসনামলেই (১৯৯১-৯৬) ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্যের অনুপাত দাঁড়ায় ২৪ঃ১ এ। বেগম জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশ ভারতের ১১তম বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়। যেখানে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে যুদ্ধবিধ্বসত্ম বাংলাদেশে এই বৈষম্যের অনুপাত ছিল মাত্র ৬ঃ১ এ। তথ্যভিত্তিক এসব অকাট্য প্রমাণের বাইরেও অনেক ঘটনা রয়েছে। ২০০১ সালের অক্টোবর নির্বাচনপূর্ব তৎকালীন ভারত সরকারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠতা কিংবা কক্সবাজারের বৈঠকের কথা কি সবাই ভুলে গেছে। ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব তৎকালীন ভারত সরকারের সাথে বিএনপির গোপন সমঝোতার যে সব কথা বাতাসে ভাসছে তার মধ্যে ট্রানজিট প্রদান আর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে সম্মতির বিষয়টি ছিল অন্যতম অলিখিত অঙ্গীকার। সে নির্বাচনে ভারতের একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কাছ থেকে নানা রকম সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি কি বিএনপি লুকিয়ে যেতে পেরেছে। গ্যাস দেয়াসহ তারেক জিয়ার সঙ্গে ভারতীয় মহলবিশেষের যে সন্ধির কথা এখন কলকাতার খবর বের হচ্ছে তা বিএনপি অস্বীকার করবে কিভাবে?
একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির এই প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন,গত দেড় দশকের এক দশক সময় বিএনপি রাষ্ট্রৰমতায় ছিল। ৰমতায় থাকতে এক রকম কথা আর ৰমতার বাইরে গেলে সম্পূর্ণ উল্টো কথা। ৰমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে নতজানু নীতি আর বিরোধী দলে গেলেই ভারত বিরোধিতার হাতিয়ার তুলে নেয়াই বিএনপির রাজনীতির একমাত্র অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৯২ সালে ৰমতায় থাকতে ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা গঙ্গার পানি চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে বেগম জিয়া সেদিন সাংবাদিকদের বলেছেন, 'প্রসঙ্গটি উত্থাপন করতেই ভুলে গেছি।' ২০০৬ সালে বিএনপি ৰমতায় থাকার সময় ফাড পস্নান এ্যাকশন (এফপিএ) রিপোর্টে টিপাইমুখ বাঁধের পৰে মত দেয়া হয়। ২০০১ সালে ৰমতায় আসার পর ২০০৬ সালে বিএনপি সরকার গঠিত কমিটি প্রণীত এফপিএ (ফাড পস্ন্যান এ্যাকশন) রিপোর্টে বলা হয়েছে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশের কোন সমস্যা হবে না। এতে বলা হয়, এই বাঁধ হলে সিলেটের হাওড় অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন সহজ হবে। এই অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি কমবে। এখন টিপাই বাঁধের বিরম্নদ্ধে তারা মরণপণ প্রতিজ্ঞার কথা বলছে।
জোট শাসনামলে বাংলা ভাইয়ের আসত্মানা রানীনগর আত্রাই থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ এবং শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইস্রাফিল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রম্নয়ারি নির্বাচনের পর বেগম জিয়ার সরকার গঠনের পরই ভারতীয় পণ্যে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব হয়ে যায়। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের মুক্তবাজার অর্থনীতির সুযোগে খোলাবাজারে ভারতীয় পণ্য হরদম প্রবেশ অব্যাহত থাকে। আগরবাতি থেকে আলু, পিঁয়াজ, ডাল থেকে শুরম্ন করে ডিম_ এমন কোন পণ্য নেই যা তখন ভারত থেকে আসেনি। কিন্তু তখন ভারতের বিরম্নদ্ধে টুঁ শব্দটি করেনি বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার। তখন তারা মুক্তবাজার অর্থনীতির 'ঢোল পিটিয়েছে'। বিএনপি ৰমতায় থাকতে ভারতের বিরম্নদ্ধে কোন কথা বলার রেকর্ড নেই। এমনকি ইসলাম ধর্ম যাদের রাজনীতির হাতিয়ার তারা আহমেদাবাদ কিংবা গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় রাষ্ট্রৰমতায় থাকার কারণে মুসলমানদের পৰে কোন বিবৃতি পর্যনত্ম দিতে সাহস করেনি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ৰমতায় আসার পর বেগম জিয়ার বড় ছেলে যুবরাজখ্যাত তারেক রহমানের ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসাবাণিজ্য, ভারতের বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কেও বিষয়টি আর গোপন থাকেনি। ৰমতায় থাকতে তারা টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে টুঁ শব্দটি পর্যনত্ম করেনি। অথচ ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিএনপি-জামায়াত ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ আন্দোলনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
১৯৯৬ সালে ৰমতার পালাবদলে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আবার শুরম্ন হয় বিএনপি-জামায়াতের ভারত বিরোধিতার রাজনীতি। ১৯৯৮ সালে রক্তগঙ্গার ধারা বন্ধ করতে পাহাড়ে যখন শেখ হাসিনা শানত্মির পায়রা ওড়াতে যাচ্ছেন তখন বেগম জিয়া বলেন, 'পার্বত্য শানত্মিচুক্তি হলে ফেনী পর্যনত্ম ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। বাংলাদেশ ভারতের করদরাজ্যে পরিণত হবে। এ চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী, সংবিধান বিরোধী, সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক নীলনক্সার অংশ। এই নীলনক্সা অনুযায়ী দেশের মোট ভূ-খ-ের এক-দশমাংশ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।' তবে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ৰমতায় এসে বিএনপি এই পার্বত্য শানত্মি চুক্তি বাতিল করেনি।

No comments

Powered by Blogger.