রাৰুসে তারা by মনিরা খাতুন

রাুসে তারকার সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ইসোর অতিকায় টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দূর মহাকাশের এই তারকার ছবিও তুলেছেন তারা। এই তারকা ২০০০ সালের নবেম্বরে তার সঙ্গীর একাংশ গ্রাস করার পর এক বিস্ফোরণ ঘটে।
এই ঘটনার সূত্র ধরেই এর অবস্থান, অনত্মমর্ুখী এবং উজ্জ্বল বহিরাবরণ শনাক্ত করেছেন। মহাকাশে নত্রপুঞ্জের জগতে বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিস্ফোরণ ঘটেছে যা 'টাইপ লা সুপারনোভা' নামে পরিচিত। ২০০০ সালের বিস্ফোরণ এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। আর বিষয়টি মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব -এরই অংশ। ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনের প্যাট্রিক উট বলেন, আধুনিক জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা এখনও জানি না 'টাইপ লা সুপারনোভা'র সময় ঠিক কত নত্রপুঞ্জে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তিনি বলেন, একটি রহস্যময় কৃষ্ণ শক্তির প্রভাবে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকার পেছনে এসব সুপারনোভার গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এটি মেনে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পাপ্পিজ নামে নত্রপুঞ্জে ভি ৪৪৫ নামে একটি বস্তু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্টাডি করেছেন। ভি ৪৪৫ হচ্ছে প্রথম এবং একমাত্র নোভা (নত্র বিশেষ) যেখানে হাইড্রোজেনের কোন উপস্থিতি নেই। এর মাধ্যমে আরও একটি ধারণা পরিষ্কার হয়, তা হচ্ছে হিলিয়াম গ্যাসের কারণে মহাকাশে একটি নত্র বিস্ফোরণের ঘটনা প্রথমবারের মতো জানা গেল। এই বিষয়টিও বেশ জটিল, যেহেতু আমরা জেনেছি যে, টাইপ লা সুপারনোভায় হাইড্রোজেনের ঘাটতি রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের ড্যানি স্টিগস একথা জানান। তিনি আরও বলেন, ভি ৪৪৫ পাপ্পিজের সহযোগী নত্রের ভেতরে হাইড্রোজেন কম এবং হিলিয়ামের মাত্রা বেশি। আর এ কারণেই ২০০০ সালে একটি নত্রে বিস্ফোরণ ঘটে এবং এর উজ্জ্বলতা আগের চেয়ে ২৫০ গুণ বেড়ে যায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এসোর অতিকায় টেলিস্কোপ (ভিএলটি) ব্যবহার করে দু' বছরের চেষ্টায় ভি ৪৪৫ এর স্বচ্ছ ছবি তুলেছেন। ছবিতে দু' মেরম্নবিশিষ্ট একটি নত্রের আবয়ব ধরা পড়েছে। যা ঘণ্টায় তিন কোটি কিলোমিটার বেগে ঘুরছে। আর এটি তার নিজস্ব কপথে ঘুরছে ঘণ্টায় ২ কোটি ৬০ লাখ কিলোমিটার গতিতে। এর বুকে ধুলোর ঘন আসত্মরণের মতো একটি দৃশ্য ধরা পড়ে, যার উদ্ভব গত বিস্ফোরণের সময় হয়েছে বলে মনে করা হয়।
সূত্র : সায়েন্স ডেইলি

No comments

Powered by Blogger.