ফিরে দেখা- মেয়েদের দোষ না ছেলেদের by মহিউদ্দিন আহমেদ

 বয়স্কদের আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। দীর্ঘায়ু সকল মানুষ একদিন বৃদ্ধ হবে। বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের জন্য উন্নত দেশগুলোতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। অনেক সংগঠন তাদের কল্যাণে কাজও করে।
আমাদের দেশে বয়স্কদের জন্য ওইভাবে তেমন কোন সংগঠন কাজ করে না বললেই চলে। প্রবীণ হিতৈষী নামে একটি সংগঠন কাজ করে। এত মানুষের জন্য একটি মাত্র সংগঠন কাজ করে আর কতটুকু মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে পারে। এমন ধারণা থেকে বয়স্বী নামের একটি সংগঠন বৃদ্ধদের কল্যাণে কাজ করছে। বিশেষ করে গরিব বৃদ্ধদের কল্যাণে কাজ করে এ সংগঠনটি। সম্প্রতি তারা বয়স্কদের জীবনযাপন শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেসকাবে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এবং তাঁর স্ত্রী অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম ওই অনুষ্ঠানের বক্তা ছিলেন। একজন প্রধান বক্তা, অন্যজন বিশেষ বক্তা। অন্য বক্তারাও ছিল। কয়েকজন বক্তা ছেলের স্ত্রী কতর্ৃক বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়ি অবহেলার শিকার হন এমন অভিযোগ আনেন। নারী হিসেবে এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেন আইনমন্ত্রীর সহধর্মিণী। তিনি বললেন, ছেলেরা ঠিক থাকলে মেয়েরা কোনভাবেই শ্বশুর-শাশুড়িকে অযত্ন্ন অবহেলা করার সাহস পায় না। মন্ত্রী সাহেবের স্ত্রীর মন বুঝতে পেরে তার পরের বক্তা তাঁর পৰ নিয়ে বললেন, আসলে এটা মেয়েদের দোষ না, দোষ ছেলেদের।

ভিডিও কনফারেন্স!
মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল বড় পর্যায় ভিডিও কনফারেন্স! বুধবার তথ্য বাতায়নের শুভ উদ্বোধন উপলৰে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স বেশ করেই উপভোগ করেছে মুন্সীগঞ্জের মানুষ। শহরের প্রাণকেন্দ্র জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তথ্য বাতায়ন অনুষ্ঠানটি এখানে বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিটিভি থেকে। বিভিন্ন সত্মরের মানুষ এই অনুষ্ঠানটি বেশ করেই উপভোগ করেন। পঞ্চগড় ও খাগড়াছড়ি জেলার সাথে সরাসরি এই ভিডিও কনফারেন্স হলেও মুন্সীগঞ্জের মানুষ সরাসরি এই অনুষ্ঠানটি দেখতে পেরে বেশ খুশি। দোকান কর্মচারী রবিউল মিয়া বলেন, আমরাগোও সাথেও যদি প্রধানমন্ত্রী এমন সরাসরি কথা কইতো তয় আরও ভাল লাগত। সামনে থাকা এনডিসি সগীর হোসেন জানান, এমন একদিন মুন্সীগঞ্জের মানুষের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স করবেন, সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকেই ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি জেলা পর্যায়ের কাজকর্ম প্রত্যৰ করতে পারবেন। এতে বিস্মিত রবিউল মিয়া বলেন, 'আমরা এতই আউগ্গায় গেছি!' এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরৰা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী এমপি। জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। তবে এই অনুষ্ঠান প্রত্যৰ করতে শিশিরভেজা সকালেই জেলার বিভিন্নস্থান থেকে লোকজন শিল্পকলায় ভিড় জমায়। তাদের অনেকের ধারণা ছিল শিল্পকলা থেকেও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স হবে।

হাসিয়ে ৰোভ দূর
মিজান চৌধুরী অনুষ্ঠান শুরম্নর এক ঘণ্টা পর উপস্থিত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান নিজেও হাসলেন, উপস্থিত সকল শ্রোতাকেও হাসালেন। তাঁর বক্তব্য শুনে হলরম্নমে কেউ হাসি চেপে রাখতে পারেননি। দেরিতে আসা ও অনুষ্ঠান দেরিতে শুরম্নর চাপা ৰোভ সব শেষ করে দিয়েছেন সবাইকে হাসিয়ে। মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী হোটেল শেরাটনে রিহ্যাব মেলা উদ্বোধন করতে আসেন। দুপুর ১২টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরম্নর কথা। কিন্তু পত্রিকা অফিসগুলোতে রিহ্যাবের পৰ থেকে সাড়ে ১১টায় সময় দিয়ে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়। অনেক সাংবাদিক সোয়া ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠান স্থলে পেঁৗছে যান। কিন্তু পড়ে জানা যায় অনুষ্ঠান ১২টায় শুরম্ন হবে। কিন্তু এক সময় ১২টা বেজে একটা ছুঁই ছুঁই কিন্তু অনুষ্ঠান শুরম্ন হচ্ছে না। কারণ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত হননি। একটার সময় প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত হলেন। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান শুরম্ন হলো। এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান বক্তব্য শুরম্ন করেন। তাঁর বক্তব্যে ভূমিদসু্যদের, দুনর্ীতিবাজ আমলাদের কতিপয় ঘটনা বর্ণনা করে সকলকে হাসিয়ে তোলেন।

গয়েশ্বরের কা-জ্ঞান
রাসেল রানা বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল দল। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ তোলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সমালোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, হয়ত প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে অাঁচল ভরে অনেক কিছু নিয়ে এসেছেন কিন্তু ভারতকে সবকিছু দিয়ে এসেছেন অাঁচল খুলে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের মুখে এমন কুরম্নচীপূর্ণ অশস্নীল ভাষা শুনে উপস্থিত অনেকেই হতভম্ব ও সত্মম্ভিত হয়ে যান। আমার সামনের সারিতে বসা একজন মধ্যবয়সী লোক তাঁর পাশের জনকে বলে ওঠেন, "এমন রাজনীতিবিদদের দিয়ে আসলে হবে না। এদের তো ভাষাজ্ঞানেরই অভাব। কা-জ্ঞানহীন চাটুকার দিয়ে দল চললে আগামী নির্বাচনেও দলের ভরাডুবিই হবে।" "চেয়ারপার্সন যে এদেরই পছন্দ করেন। আমি-তুমি বলে কি কিছু হবে"। মনত্মব্যটি অপরজনের।

No comments

Powered by Blogger.