গান্ধীর জীবনই তাঁর দর্শন বললেন by আবুল মকসুদ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ভারত-বাংলাদেশকে দেয়া তার অঙ্গীকার রৰা করতে আনত্মরিক। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রজত মিত্র শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাত্মা গান্ধী স্মারক বক্তৃতায় এ কথা জানিয়েছেন।
শানত্মি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশ দু'টি একসঙ্গে কাজ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শানত্মি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং ভারতীয় হাইকমিশন যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ মিলনায়তনে 'চতুর্থ মহাত্মা গান্ধী স্মারক বক্তৃতা'র আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রজত মিত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারম্নন-অর-রশিদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলাম লেখক ও গান্ধী গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ 'মহাত্মা গান্ধীর সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্শন' শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আজকের বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের যে ভয়াবহতা মোকাবেলা করছে তার প্রেক্ষিতে মহাত্মা গান্ধীর নৈতিক মূল্যবোধ এখনও অনুসরণীয় । একটি ছোট গ-ি থেকে সংগ্রাম শুরম্ন করে সমগ্র উপমহাদেশে বৈপস্নবিক পরিবর্তন এনেছিলেন গান্ধী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা। বিশ্বমানবতার মুক্তিই ছিল তাঁর জীবনদর্শনের নির্যাস । তিনি মানুষের মনের আবর্জনা, সমাজের আবর্জনা, সঙ্কীর্ণতা ও কুটিলতা দূর করতে চেয়েছিলেন। তাঁর আদশর্, দর্শন, রাজনৈতিক-সামাজিক চিনত্মাধারা, অন্যায় ও শোষণের বিরম্নদ্ধে তাঁর অহিংসানীতি আজও আমাদের সকলকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। অশ্রু ও শক্তি দিয়ে নয়, যুক্তি দিয়েই সবকিছু জয় করা সম্ভব- তার উজ্জ্বল দৃষ্টানত্ম স্থাপন করে গেছেন মহাত্মা গান্ধী।
স্মারক বক্তৃতায় সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গান্ধীর জীবনই তার সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্শন । গান্ধী সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির বাণী প্রদান, হিন্দু-মুসলিমসহ সব ধর্মের মধ্যে ঐক্য, অহিংসা আন্দোলন, বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা প্রদান, সর্বোপরি নির্যাতিত ও শোষিত মানবজাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহান ভূমিকা পালন করে গেছেন। হিন্দু মুসলমান ঐক্যের জন্য তিনি জীবন দিয়ে গেছেন। তিনি জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার নেতা । তিনি ছিলেন অত্যনত্ম সময়নিষ্ঠ। ঘড়িই ছিল তাঁর একমাত্র ব্যক্তিগত সম্পত্তি ।

No comments

Powered by Blogger.