শিথিল হবে বিনিয়োগ নীতিমালা by শাম্মি আখতার

দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে বিনিয়োগে মন্দা চলছে। মূূলত রাজনৈতিক সঙ্কট, অস্থিরতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ইত্যাদি মিলিয়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে যথেষ্ট অনীহা প্রকাশ করে আসছে।
যার ফলে নাজুক হয়ে পড়ছে আমাদের বিনিয়োগ ব্যবস্থা। বিনিয়োগ না হবার কারণে সংপ্তি হচ্ছে শ্রমবাজার, কমছে উৎপাদন এবং আমদানি-রফতানি আয়। এর ফলে তিগ্রসত্ম হচ্ছে গোটা দেশ ও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। এই মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণে বিনিয়োগ বিশেষ করে বৈদেশিক বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য সরকার বিনিয়োগ নীতিমালা শিথিল করার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। দেখা গেছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে দেশে ৮টি ইপিজেড থাকলেও এবং সেখানে ২ হাজার পস্নট থাকলেও মাত্র ৩শ' পস্নটে শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে। বাকি পস্নট খালি পড়ে আছে। তাই বিনিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে দ্রম্নত এ সকল পস্নট বরাদ্দ দিতে চায় সরকার।
যে সকল বিষয়ে নীতিমালা শিথিলের নীতিগত সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি ইপিজেডে একাধিক অফসোর ব্যাংকিং ইউনিট চালু করা, যাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ সহজেই অফসোর ব্যাকিং সুবিধা ভোগ করতে পারেন। অফসোর ব্যাংকিংয়ে একাউন্ট খোলার েেত্রও শিথিল হবে পূর্বের নীতিমালা। এছাড়া স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা যদি এখানে বিনিয়োগ করেন তবে তাঁদের েেত্রও থাকবে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এছাড়া উৎপাদনের নিরাপত্তার জন্য গ্যাস-বিদু্যতের সরবরাহ থাকবে বিরামহীন। সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশের সকল ইপিজেডে মোট ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল। পরবতর্ীতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ কমতে কমতে মাত্র ১৫ কোটি ডলারে নেমে আসে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যনত্ম মোট বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৫ কোটি ডলার। চলমান এই বিনিয়োগ মন্দা দূর করতে নীতিমালা শিথিল এেেত্র বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশিস্নষ্টরা।

No comments

Powered by Blogger.