আনত্মর্জাতিক মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ছে- জাবির চতুর্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি

 রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেছেন, সমার্বতন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং সামনের এগিয়ে চলার দুরনত্ম প্রেরণা। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন পুঁথিগত বিদ্যার সীমিত গ-ির মধ্যে আবদ্ধ নয়, বরং সৃজনশীলতা বিকাশের সেরা অঙ্গন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত শিা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সত্মর। যেখানে শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ে উচ্চতর শিা ও গবেষণার সুযোগ পায়। শিার উদ্দেশ্য নিজে আলোকিত হওয়া এবং অন্যকে আলোকিত করা । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে শনিবার রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের পরিচালনায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মোঃ জিলস্নুর রহমান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি সমাবর্তন শোভাযাত্রার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বেলা বারোটার দিকে তিনি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, সমাবর্তন বক্তা বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম, সহ-উপাচার্য (শিা) অধ্যাপক মোহম্মদ মুনিরম্নজ্জামান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোঃ ফরহাদ হোসেন, কোষাধ্য অধ্যাপক মোঃ নাসির উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক ও চারটি অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের ডিনরা তাঁদের অনুষদের স্নাতকদের রাষ্ট্রপতির সামনে উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপতি তাদের ডিগ্রী প্রদান করার ঘোষণা দেন। এ বছর সমাবর্তনে বিভিন্ন বিভাগের তিন হাজার ৮৭৪ জন গ্রাজুয়েট, ২২জন এম.ফিল ও ৫৩ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারীর মধ্যে সনদ এবং ১৬ কৃতী শিাথর্ীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ জিলস্নুর রহমান তাঁর ভাষণে বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুণগত শিার বিকল্প নেই। কিন্তু শিার মান নিয়ে আজ নানা প্রশ্ন উঠছে। আনত্মর্জাতিক মানদ-ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, শিার্থীদের উচিত তাদের মেধা, মনন ও কর্ম দিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকা।
বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম বলেন, একটি দেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকশিখার বিচ্ছুরণ যত বেশি ঘটবে, সে দেশ ততই বিশ্বসভায় উন্নত শিরে দাঁড়াতে সম হবে। রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতন্ত্র চর্চা তত সুদৃঢ় হবে। আজকের এই ডিগ্রীধারীরা আগামী দিনের সুখী সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন বাসত্মবায়নে নিবেদিতপ্রাণ হবে বলে তিনি উলেস্নখ করেন।
শিামন্ত্রী নূরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেন, গ্রাজুয়েটবৃন্দ বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে অসম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য নব নব সৃজনশীল পথ উদ্ভাবন করবেন। বাংলাদেশের সর্বেেত্র সীমাবদ্ধতা থাকলেও অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনপূর্বক তাঁরা বাংলাদেশকে উন্নতশিরে দাঁড়াতে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গ্রাজুয়েটদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে না। গ্রাজুয়েটগণ যে যেখানেই থাকুন না কেন, সেখানেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেন। গ্রাজুয়েটদের আচার-আচরণ, মেধা-মনন, চিনত্মা-চেতনাই প্রকৃতপ েপরিচয় করিয়ে দেয় তাঁর প্রতিষ্ঠানকে।

No comments

Powered by Blogger.