ছকবন্দী ছাত্র রাজনীতিকে এবার মুক্তি দিন by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ

শি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন চার গোষ্ঠীর ছাত্র রাজনীতি ক্রিয়াশীল। আওয়ামী লীগ আশ্রিত ছাত্রলীগ, বিএনপি আশ্রিত ছাত্রদল, জামায়াত আশ্রিত ইসলামী ছাত্রশিবির আর বাম দল প্রভাবিত নানা নামের ছাত্র সংগঠন।
আশ্রিত আর প্রভাবিতদের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য আছে। এদের মধ্যে ক্যাম্পাসে আচরণগত পার্থক্যও দৃশ্যমান। আশ্রিতরা মতাবান। আশ্রয়দাতা দল রাষ্ট্রমতায় থাকলে ছাত্র সংগঠনের মতায়ও তারতম্য আসে। এ ধরনের ছাত্র সংগঠনের নেতাকমর্ীরা জানে তাদের মাথার উপর আশ্রয়দাতারা আছে। সুতরাং সাত খুন মাপ। এদেশের রাষ্ট্রমতায় আসা যাওয়া করে ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের আশ্রয়দাতারা। তাই এই দল দুটোর দুর্বিনীত আচরণ একই ধরনের হয়ে থাকে। ছাত্রশিবিরের আশ্রয়দাতারা সরাসরি রাষ্ট্রমতায় না এলেও কখনও কখনও অংশীদার হয়। তবে শিবির আশ্রয়দাতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ারের ভূমিকায় থাকে বলে তাদের দুর্বিনীত আচরণের ধরনটা একটু আলাদা। তারা সশস্ত্র এবং পোশাকের আড়ালে কিছুটা জঙ্গী ভাবধারায় বিশ্বাসী। ব্যক্তিগত সুবিধাবাদের বদলে আদর্শিক ও জামায়াতের উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য এরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
আশির দশকে শিবিরের রাজনীতি রগকাটা রাজনীতি নামে সাধারণ্যে প্রচারিত ছিল। অভিযোগ ছিল, ভিন্ন মতাদর্শের ছাত্রদের বাগে পেলে পায়ের রগ কেটে দেয়ার মতো বীভৎস আচরণ করার। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের প্রভাব বেশি থাকায় অমন ঘটনা ওসব দিকেই বেশি হয়েছে। এখন রগকাটা রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে এসেছে শিবির। তবে আশ্রয়দাতারা নিজেদের কলঙ্কিত অতীত ঢাকতে না পেরে জঙ্গীবাদের প্রশ্রয়দাতা হচ্ছে। একটি অরাজক অবস্থা তৈরির মধ্য দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ ধরা এদের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যকে ধারণ করছে ছাত্রশিবির। এ কারণেই চট্টগ্রামে শিবিরের মেসে বইয়ের বদলে অস্ত্রের মজুদ পাওয়া যায়।
বাম রাজনৈতিক দল ও তাদের সংশিস্নষ্ট সকলেই জানেন, তাঁদের মতো বহুধা বিভক্ত দলগুলোর প েবাম সরকার গঠন সম্ভব নয়। তাই কেউ আদর্শকে ধারণ করে একা খুঁড়িয়ে হাঁটে। আবার কোন কোন দল মতার সাথে নিজেদের যুক্ত রাখে ডান-বামের মিশ্রণ ঘটিয়ে। জাতীয় রাজনীতিতে এ দলগুলোর প্রভাব খুব বেশি নেই বলে বটগাছের মতো ছায়াদার দল হতে পারেনি। ফলে বাম দলগুলোর ভেতর থেকে আশ্রিত ছাত্র সংগঠন গড়ে উঠতে পারেনি। তবুও বাম ধারার কয়েকটি ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে সক্রিয়। আশ্রিত নয় বলে তেমনভাবে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী মুকুট পরার মতো দুর্বিনীত হওয়ার সুযোগ এদের কম। তা ছাড়া এক ধরনের মূল্যবোধ ও আদর্শিক ভাবনাবিচ্ছিন্ন নয় বাম ঘরানার ছাত্ররা। লেখাপড়া ও রাজনীতি চর্চা থেকেও বিচ্ছিন্ন নয় এরা। নানা রকম অসঙ্গতি ও কল্যাণ চিনত্মায় এরা প্রায়ই আন্দোলন গড়ে তোলে। কোন দুর্বল ইসু্যকেও সবল ইসু্য বানিয়ে রাজপথ বা ক্যাম্পাসজুড়ে আলোড়ন তুলতে বাম ছাত্রদের জুড়ি নেই। জাতীয় বাম দল প্রভাবিত বলে এরাও সময়ের বাসত্মবতার বদলে ফমর্ুলাক্রানত্ম থাকে বেশি। যুক্তিবুদ্ধিতে খুব বেশি যেতে চায় না। জাতীয় দল আশ্রিত ছাত্র সংগঠনগুলোর দুরনত্মপনায় এরা প্রায়ই নিগৃহীত হয়। তারপরও আন্দোলনে এই লড়াকুরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না। এর বড় কারণ সম্ভবত এদের আন্দোলন আর বাসত্মবতার সাথে প্রায়ই এক ধরনের সংঘাত থাকে। তাছাড়া কোন ইসু্যতে একবার নামলে পরে ইসু্যটি দুর্বল হয়ে পড়লে বা জানা সত্য ভুল প্রমাণিত হলেও এরা মাঠ ছাড়তে চায় না। বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকমর্ীদের জেতার এমন উদগ্র বাসনা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা খুব ভালভাবে গ্রহণ করে না।
মতাসীন দলগুলো তাদের মতায় টিকে থাকা বা মতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয় সহযোগী শক্তি মনে করে নিজ নিজ ছাত্র সংগঠনকে। তাই তারা ছাত্র সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষক হয়ে যায়। যেহেতু ছাত্র সংগঠনের নেতাকমর্ীরা আদর্শিক চেতনার বদলে মতার রাজনীতির লাঠিয়াল হয় তাই এরা মূল দলগুলোর মতোই গণতান্ত্রিক বোধ হারিয়ে ফেলে। এ কারণে নীতি-আদর্শের পূজারী মেধাবী ছাত্ররা ছিটকে পড়ে রাজনীতি থেকে। তারপরও যারা টিকে থাকে তারা মেধার উৎকর্ষ ঘটানোর বদলে গড্ডলিকায় গা ভাসায়। যেহেতু মতাসীন দলের ছাত্রনেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ার হয় তাই তাদের সকল আব্দারে মৌন সম্মতি দিয়ে থাকে মূল দল। এভাবে নষ্ট রাজনীতির খেলায় মেতে ওঠে রাজনীতিতে নাম লেখানো ছাত্ররা। এদের পরিচয় হয় সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজ। তা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যে এক সময় মূল দলও এদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।
'এদেশে ছাত্র রাজনীতির একটি উজ্জ্বল অতীত ছিল।' বর্তমান ধারার ছাত্র রাজনীতির প েসাফাই গাইতে গিয়ে এ ধরনের বক্তব্য নিয়ে আসেন আমাদের জাতীয় নেতারা। কথাটি অসত্য নয়। কিন্তু তা সোনালি অতীত। বর্তমান বাসত্মবতায় এর কোন প্রভাব নেই। অথবা বর্তমান ছাত্র রাজনীতির 'আদর্শ' এমন নয় যে রাজনীতি-সংশিস্নষ্ট ছাত্ররা অতীতের ছাত্র রাজনীতির উজ্জ্বল মূল্যবোধকে ধারণ করার কোন গুরম্নত্ব আছে বলে মনে করে। জাতীয় দলের নেতারাও তেমন পরিবেশ তৈরির কথা ভাবেন না। এই অসুস্থ সময়েও রাজনীতি-সংশিস্নষ্ট শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মেধাবী তরম্নণ যারা আছে তাদের অবস্থান সাধারণত ব্যাকফুটে চলে যায়।
এসব কারণে ছাত্র রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বলা যায় অনেকটা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ পরিবার নিজেদের সনত্মান বা পরিবারের ছেলে বা মেয়েটি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছে শুনলে আতঙ্কিত হয়। তাদের ধারণা হয়, এরা উচ্ছন্নে গেছে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের পরিপ্রেতি ছিল ভিন্ন। পাকিসত্মান সৃষ্টির পর থেকেই মোহভঙ্গ ঘটেছিল বাংলার মানুষের। পশ্চিম পাকিসত্মানী শাসকরা ভাষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সকল েেত্র বাঙালীর অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। ফলে স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের দাবি উচ্চারিত হয়েছিল স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। তখনও যেহেতু তারম্নণ্য সুবিধাবাদ শেখেনি তাই দেশপ্রেম তীব্র হয়ে দেখা দেয়। এই বন্ধনহীন তারম্নণ্য মানুষের মুক্তির কথা ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আন্দোলনে। এভাবে তখন ছাত্র রাজনীতি সাধারণ মানুষের আশার প্রতীক হয়ে দেখা দেয়। গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু যথার্থই বলেছেন, সেই স্বর্ণযুগে সাধারণ মানুষ ছাত্রনেতাদের যতটা সম্মান করত এখন মন্ত্রীদেরও তা করে না।
বুঝতে হবে, পরাধীন দেশের ঐতিহাসিক পরিপ্রেতি আর স্বাধীন বাংলাদেশের বাসত্মবতা এক নয়। এ কারণে ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতির যে উপযোগিতা ছিল, বর্তমান সময়ে তা নেই। তারপরও ছাত্র রাজনীতি একটি ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যেতে পারত। তা সম্ভব হতো যদি স্বাধীনভাবে মুক্তচিনত্মা নিয়ে ছাত্ররা রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারত। তারম্নণ্যের স্বভাব নয় বখে যাওয়া। প্রত্যেক তরম্নণের ভেতরেই একটি বিপস্নবী মন লুকিয়ে থাকে। সে সকল বন্ধন ছিন্ন করতে চায় সুন্দর জীবন রচনা করার জন্য। আমাদের নষ্ট রাজনীতি তারম্নণ্যকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে ভুল পথ চিনিয়েছে। তাকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে, চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ বানিয়েছে।
এদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে ছাত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার কৃতিত্বটা প্রথম আইয়ুব খানের। এনএসএফ এভাবে কলুষিত করে ক্যাম্পাস। স্বাধীনতাউত্তর অস্থিতিশীল সময়ে ছাত্র রাজনীতির পথ অতটা কুসুমাসত্মীর্ণ ছিল না। তারপরও সুস্থ ধারায় ফিরে আসার একটি পথ তৈরি হয়েছিল। সে সময়ের বাসত্মবতায় বঙ্গবন্ধু সরকারের ছাত্র রাজনীতির ওপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু অবস্থা পাল্টে গেল ১৯৭৫-এর পট পরিবর্তনের পর। জেনারেল জিয়াউর রহমান উর্দি খুলে বিএনপি নামের দল তৈরি করে বুঝতে পারলেন ছাত্র শক্তি প্রয়োজন। আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক তারম্নণ্যের শক্তিতে রাজনীতির অন্ধকার পথে হাঁটা যাবে না। তাই আইউব খানের উত্তরসূরি হিসেবে অস্ত্র আর অর্থ ছড়িয়ে তারম্নণ্যের সামনে একটি অন্ধকার রাজনীতির ছক তৈরি করে দেয়া হলো। এভাবেই ছকবন্দী হয়ে পড়ল ছাত্র রাজনীতি। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে আওয়ামী রাজনীতিও ততণে ঐতিহ্য-বিচ্ছিন্ন। নতুন নেতৃত্ব আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। তাই ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগও ছাত্র রাজনীতির নতুন ছকে বন্দী হয়ে গেল। এভাবে ছাত্র রাজনীতি আপন মহিমা হারিয়ে ফেলে জাতীয় দলের লেজুড়ে পরিণত হলো। মুক্ত বিবেকে চালিত না হয়ে দলীয় নেতা-নেত্রীর হুকুমের দাস হয়ে পড়ল। ছিটকে পড়ল মুক্তচিনত্মার মেধাবী ছাত্ররা। ছাত্র রাজনীতিতে টিকে থাকা তরম্নণ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীর কলঙ্কতিলক কপালে অাঁকল।
ছাত্র রাজনীতির নৈরাজ্যিক অবস্থা দর্শনে যতবার আমরা বর্তমান ধারার লেজুড় রাজনীতির অবসানের কথা বলেছি ততবার রে রে করে তেড়ে এসেছেন রাজনীতি-সংশিস্নষ্ট বিজ্ঞজনরা। তাদের বক্তব্য, ছাত্ররা রাজনীতি-বিচ্ছিন্ন হলে তারা প্রশিতি হবে কেমন করে! দেশের ভবিষ্যত রাজনীতির হাল ধরবে কেমন করে! আমরা মনে করি এর চেয়ে মতলববাজি যুক্তি আর হতে পারে না। রাজনীতি শেখার জন্য ট্রেনিং সেন্টারের প্রয়োজন হয় না। ব্যক্তিগত আগ্রহ আর পরিবেশ তাকে পথ দেখায়। নিজের মেধা ও চর্চা তাকে শাণিত করে। আমাদের নানা দলের নেতা-নেত্রীরা বর্তমান ধারার ছাত্রনেতাদের দিয়ে যদি ভবিষ্যত রাজনীতির হাল ধরাতে চান তাহলে ভাগ্যাকাশে অশনি সঙ্কেত দেখতে আর বাকি কী থাকে! বিগত সরকারগুলোর দিকে তাকালে প্রামাণ্য উদাহরণ মেলে না? সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজ ছাত্রনেতারা মন্ত্রী হয়ে কেমন দারম্নণ পারফরমেন্স দেখিয়েছেন!
সচেতন মানুষ কি ছাত্র রাজনীতির বিরোধিতা করেন? তাঁরা কেউ ছাত্র রাজনীতির বিরোধী নন। তাঁদের আর্জি, ছাত্র রাজনীতি জাতীয় দলের আশ্রয়মুক্ত হোক। লেজুড় বা সহযোগী কোন নামেই যেন অঙ্গীভূত না থাকে। জাতীয় দলের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ যাতে না থাকে। এই অনুকম্পাটি পায় বলেই দিনেদুপুরে পুলিশের চোখের সামনে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দিতে পারে। পুলিশকে নীরব দর্শক বানিয়ে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করতে পারে। পুলিশ অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছে তাদের চোখের সামনে ছাত্র অস্ত্র হাতে ঘুরলেও না দেখার ভান করতে হয়। কারণ তারা জানে বাবারও বাবা আছে। পুলিশ কাউকে ছুঁলে যে আঠারো ঘা_ সে কথা পুলিশ জানে। কিন্তু এই হিসাবটা তাদের অজানা যে নেতার স্নেহভাজনদের ছুঁলে তাদের জন্য কত ঘা অপো করছে। ফলে বোকার মতো বীরত্ব দেখাবে কেন!
আজ যদি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ছক থেকে ছাত্র রাজনীতি মুক্তি পেত তাহলে ছাত্র রাজনীতির চেহারাটাই পাল্টে যেত।
আওয়ামী লীগের প্রত্য-পরো সংশ্রব নয়, তার আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত করে যদি ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে নিজেদের সক্রিয় করত; দলীয় সংশ্রব ছাড়া জাতীয়তাবাদী আদর্শ নিয়েই যদি ক্যাম্পাস মুখরিত করত ছাত্রদল; এভাবে নানা নামের ছাত্র সংগঠন নিজেদের অবস্থান তৈরি করত তবে ক্যাম্পাসে তৈরি হতে পারত প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ। এদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদ গঠিত হতো। ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন আশ্রয়দাতা না থাকলে তাদের প েসন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজ হওয়ার সুযোগ কমে যেত। পুলিশেরও আর খাতির করার দায় থাকতো না। ব্যবসায়ী আর ঠিকাদারদের চ্যালেঞ্জের মুখে অশুভ শক্তিকে লেজ গুটিয়ে পালাতে হতো। এভাবে যখন ছাত্র রাজনীতি করে বস্তুগত সুবিধা অর্জন অসম্ভব হয়ে যেত তখন অপগ- ছাত্রদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবসান ঘটত। মধুহীন রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে ফেলত তারা। এভাবে সুস্থ পরিবেশ ফিরে এলে মেধাবী প্রত্যয়ী তরম্নণ এসে রাজনীতির হাল ধরত। তখনই সম্ভব হতো এদেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইয়ে দেয়া।
এমন একটি স্বপ্ন একমাত্র বর্তমান মহাজোট সরকারই বাসত্মবায়ন করতে পারে। প্রত্যাশিত সুবাতাস বইয়ে দেয়ার জন্য জানালা খুলে দেয়ার মহান দায়িত্বটি পালনের নেতৃত্ব দিতে পারেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সদিচ্ছা থাকলে সংসদে অমন একটি দেশকল্যাণমুখী বিল পাস করানো কিছুমাত্র কঠিন নয়। শিা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিন তা হলে সত্যিই বদলে যেত।
ই-মেইল : ংযধযহধধিুলঁ@ুধযড়ড়.পড়স

No comments

Powered by Blogger.