প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই-টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য

সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেন। এ ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
এমএন সালেহ বায়েজীদ
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটা দেখেছি এবং পড়েছি। বিগত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কিছু পূরণ হয়েছে, কিছু পূরণ হয়নি। সরকারের সাফল্যের চেয়ে মনে হয় ব্যর্থতার পাল্লাটাই ভারী। বিশ্বজিৎ হত্যা, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ সরকার এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল। কিন্তু এখন নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে না। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সরকারের সাফল্য বলে মনে হয়েছে।

নুরুল আনোয়ার
চাকরিজীবী, ফেনী
জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের জবাবে আমার ১০টা প্রশ্ন রয়েছে। ১. কুইক রেন্টালের বৈধতার জন্য ইনডেমনিটি আইন কেন? ২. শেয়ার মার্কেটের দুর্নীতির বিচার কোথায়? ৩. হলমার্কের ঘটনায় নিজের দলের একজনকেও কি বিচারের আওতায় আনতে পেরেছেন? ৪. সাগর-রুনি হত্যারহস্য আদৌ কি উন্মোচিত হবে? ৫. রেলওয়ের কেলেঙ্কারির ঘটনায় যে ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে, তাতে কি সাধারণ জনগণ খুশি? ৬. মন্ত্রী-এমপি কি সবাই আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন? ৭. পদ্মা সেতুর ব্যাপারে জনগণের ভাবনা কি প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন? ৮. ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জনগণ কি খুশি? ৯. যানজট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপে জনগণ কতটা খুশি হতে পেরেছে? ১০. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব জিনিসের দাম কমেছে, না বেড়েছে?

আফসার উদ্দিন রিপন
ব্যবসায়ী, ফেনী
প্রধানমন্ত্রীর সফলতার পাল্লা ভারী। কিন্তু আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতারা এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারছে না। যার কারণে তার সফলতা সাধারণ মানুষ অনুধাবন করতে পারছে না।
মুজিবুর রহমান
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতার আলোকে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কথা বলেছেন। জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমি নিজে যা দেখেছি; বিগত ৩৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, বর্তমান সরকারের শাসনামলে এই চার বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন হয়েছে। স্বাধীনতার ৪১ বছর পর মানিকগঞ্জের তেরশ্রীতে ৪৩ জন শহীদ স্মরণে একটি স্মৃতি স্মারক নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা-মানিকগঞ্জ-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইলের মধ্যে মহাসড়ক চালু করা হয়েছে।
আমিরুদ্দিন শিহাব
লেখক, কাজীতলা, সিলেট
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তিনি শুধু নিজের সফলতার কথাই বলেছেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি নিরসনে তার ভূমিকা কী, তা বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু এবং কী পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন হবে, তার ধারণা জাতিকে দিতে পারেননি। মনে রাখতে হবে, ওয়ান-ইলেভেনের দায় বিএনপির একার নয়। ৫০% অংশীদার আওয়ামী লীগও। তিনি বলেছেন, ৩ কোটি ৪০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। তাহলে খাদ্যদ্রব্যের এত দাম কেন?
রবিতোষ সরকার
দোকানদার, মোহনপুর, রাজশাহী
আমাদের দেশ বিগত সময়ে দুর্নীতিপ্রবণ ছিল। দুর্নীতি এখন কমেছে। সেদিক থেকে দেশের কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের জাতীয়করণ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সংসদ সদস্যের মধ্যে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত রয়েছে, যাদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এদিকে যদি প্রধানমন্ত্রী নজর দিতেন, তাহলে ভালো হতো।
মিরাজুল ইসলাম মাহির
শিক্ষার্থী, রামগোপালপুর, মুন্সীগঞ্জ
আগামী নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি কী? ক. দলীয় নির্বাচিত সরকার; খ. জাতীয় তথা সর্বদলীয় সরকার; গ. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; ঘ. নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কার অধীনে হবে নির্বাচন_ সে প্রসঙ্গটি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে না দেখে হতাশ হয়েছি। এখনও সময় আছে। প্রধানমন্ত্রী যদি স্বউদ্যোগী হয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয় সমাধানে মনোনিবেশ না করেন, তবে দেশ ক্রমেই সংকটময় পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে।
তোতা মিয়া
কৃষক, মাগুরা
সারের দাম বাড়ছে, তেলের দাম বাড়ছে। এভাবে হলে আমরা সমস্যায় পড়ব।
রিজওয়ান
চাকরিজীবী, বিশ্বনাথ, সিলেট
আমরা আশা করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তার সমাধানে কিছু বলবেন।
মো. আতাউল গনি
ব্যবসায়ী, সুনামগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতিকে যা দিতে পারেননি, তার চেয়ে অনেক বেশি বলেছেন। বাস্তবতার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই তার বক্তব্যের মিল নেই। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করা হয়েছে।
হারুনুর রশিদ শাহীন
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
চার বছরে ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের পাল্লা ভারী। নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা আছে। এ নিয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু, ডেসটিনি বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু উল্লেখ করেননি।
জুয়েল
ব্যবসায়ী, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাসের দাম বেশি বেড়েছে। গত সরকারের আমলের তুলনায় এ সরকারের আমলে অনেক বাসাবাড়ি হয়েছে। কিন্তু বাসায় মানুষ গ্যাসের লাইন পাচ্ছে না।
মনির আজম
আইনজীবী, পল্লবী, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কেবল গত চার বছরের সাফল্যের কথাই বলেছেন। কিন্তু বহুক্ষেত্রে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গতিশীল হয়নি। সামনে সময় খুবই কম। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সমস্যাগুলোর দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাই। দেশ যেন আবারও ওয়ান-ইলেভেনের অবস্থায় না যায়; সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারেন।
কুমারেশ বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের কথা বলেছেন। চার বছরের ভালো কাজগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। যতটুকু সমস্যা আছে, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে এই এক বছরে পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের ভোটারদের দেওয়া কথা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য নিরলসভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার কথা বলেছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কামরুল আহমেদ
শিক্ষক, নেত্রকোনা
১৫ হাজার ১৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষক পুল গঠন করার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
আজহারুল ইসলাম সরকার
শিক্ষক, রায়পুরা, নরসিংদী
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাগ্যের উন্নয়নে কোনো বক্তব্য রাখেননি। স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের কথা বলা হলেও সরকারের শেষ সময়ে এসেও তা কার্যকর হয়নি।
মো. ফারুক হোসেন
ব্যবসায়ী, লামা, বান্দরবান
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ যুগোপযোগী হয়েছে।
শেখ দুলাল
ট্রাকচালক, মানিকগঞ্জ
সরকারের যেমন সাফল্য আছে, তেমন ব্যর্থতাও আছে। ভাষণে তিনি কেবল সফলতাগুলোই তুলে ধরেছেন। আমি মনে করি, সরকারের সফলতাই বেশি। সবচেয়ে বড় সফলতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা।
ডা. বিষ্ণুপদ সেন
চিকিৎসক, গোপালগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আগের যে কোনো ভাষণের তুলনায় ভালো ছিল। সাবলীলভাবে বলেছেন তিনি। তবে ছাত্রলীগ নিয়ে তেমন কোনো কথা বলেননি। ছাত্রলীগ এখন নানা অপকর্ম করছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার প্রয়োজন ছিল। এ ছাড়া তিনি যেন পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। পদ্মা সেতু হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, কুমুরিয়াবাড়ি, টাঙ্গাইল
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ছিল সাফল্যের বর্ণনা। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষা খাতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের জীবনযাপনের মান উন্নয়নের দায়িত্ব সরকারের। সরকার যেন সে দায়িত্ব পালন করে।
আমির হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
প্রধানমন্ত্রী ভাষণে বলেছেন আরেকবার সুযোগ দিতে। আমরা সে সুযোগ দিতে চাই। কিন্তু তিনি নির্বাচন নিয়ে যেন বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হতে পারে না।
রাব্বুল ইসলাম খান
চাকরিজীবী, কুষ্টিয়া
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতিকে আশার আলো দেখাননি। তার দেওয়া উন্নয়নের ফিরিস্তির সঙ্গে বাস্তবতার অমিল রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রোডের সামান্য কাজও অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়া তারই উদাহরণ।
মোস্তফা কামাল রাসেল
চাকরিজীবী, ফেনী
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা হতাশ। সাধারণ জনসভার বক্তব্যের থেকে এটা আলাদা কিছু ছিল না। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার কোনো কথা তিনি বলেননি।
হা ম আ ওয়াদুদ
সচেতন রাজনীতিক, দোহার, ঢাকা
আগামী নির্বাচনের কোনো কথা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ছিল না। দুই নেত্রী আলোচনায় বসে এর সমাধান করতে পারেন।
মো. আ. মতিন মামুন
ব্যবসায়ী, আত্রাই, নওগাঁ
আগামী নির্বাচনের রূপরেখা তৈরির কোনো কথা তিনি বলেননি। অথচ তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে এখন আন্দোলন চলছে। এ ব্যাপারে লন্ডনে 'জাতীয় ঐকমত্যের' সরকার বিষয়ক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দিতে পারতেন।
মো. আবদুল গফুর
কৃষক, হবিগঞ্জ
দেশ সুন্দরই চলছে বলা যায়। তবে সরকার কৃষকের ধান-চালের যে দাম ধরেছে, এতে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। তিনি কৃষকদের জন্য কোনো আশার বাণী শোনাননি। জ্বালানি তেলের দামের ব্যাপারে সরকারকে ভাবতে হবে।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
মানবাধিকার কর্মী, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে হাজারো জনদুর্ভোগ যেমন_ হত্যা, গুম, অপহরণ, শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য, দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, শিশু-নারী নির্যাতন, খাদ্যে ভেজাল ও মূল্যস্ফীতি, দুর্ঘটনা, যানজট, বিরোধী দল দমনের সময় নিরীহ বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে হত্যা, পদ্মা সেতু, হলমার্ক, যুবক ও ডেসটিনিসহ নজিরবিহীন কেলেঙ্কারিতে পুঁজিবাজারে ধসের কারণ উদ্ঘাটনে সরকারের ব্যর্থতাকে আড়াল করেছেন। অথচ ১৬ কোটি মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সচেতনতায় প্রিয় মাতৃভূমি এখন বিশ্বের ১১তম সুখী দেশ। ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার, ক্রিকেট বিজয়, এভারেস্ট ও সমুদ্রজয়ে বিশ্বে আমরা গর্বিত। সময়মতো উপকরণ সরবরাহের ফলে তৈরি পোশাক শিল্প ও কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আইটি সেক্টরে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য চাই সবার সঙ্গে মুক্ত আলোচনা ও ঐক্য, যা তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, বাগমারা, রাজশাহী
সরকারের চার বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি খুশি হলেও বিরোধী দল নাখোশ। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে দেশে আশাতীত উন্নয়ন হবে।
মো. ওসমান গনি
মৎস্য ব্যবসায়ী, যশোর
সুন্দর এবং সময়োপযোগী ভাষণ। দেশের উন্নয়নধারা অব্যাহত থাকলে একটি সুন্দর দেশ উপহার পাব আমরা।
ফোরকানুল ইসলাম
শিক্ষক, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
দেশটা যেন মগের মুল্লুক। নেত্রীরা যা বলবেন, তাই যেন ঠিক। যারা মাদ্রাসার শিক্ষক, ধর্মভীরু, তাদের নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তাদের দিকেও খেয়াল রাখা দরকার।
জিএম আবদার রশিদ রবি
কবি, চিকিৎসক, পাইকগাছা, খুলনা
এ সময়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। দেশ উন্নত হয়েছে। তবে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়টা এড়িয়ে গেছেন। তিনি যেন অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করেন।
শাহ আলম
শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে বক্তব্য রেখেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। দেশের আইন-শৃঙ্খলা অত্যন্ত খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না।
লোকমান ফকির
পল্লী চিকিৎসক, ভালুকা, ময়মনসিংহ
প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কাছে আবার সুযোগ চেয়েছেন। দেশে এক সরকার দু'বার থাকলে উন্নয়ন বেশি হবে।
দুলাল চন্দ্র দে
শিক্ষক, ফেনী
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ঠিক আছে। তবে ছাত্রলীগকে এখনই প্রতিরোধ করতে হবে।
রবিউল ইসলাম
শিক্ষার্থী, দিনাজপুর
বিদ্যুৎ, শিক্ষা, খাদ্যসহ নানা বিষয়ে বাহ্যিক সাফল্য রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আসলেই হবে কি-না সন্দেহ। ছাত্রলীগ বা ছাত্রলীগ নামধারীদের দমন করা দরকার।
নিত্যানন্দ সাহা
ব্যাংক কর্মকর্তা (অব.), কিশোরগঞ্জ
বিরোধী দলের অসহযোগিতাসহ ব্যর্থতার কারণগুলো সুস্পষ্টভাবে জনগণকে অবহিত করা উচিত ছিল।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় চার বছরের অর্জন বলা হয়েছে। ভালো হতো, যদি না পারা বিষয়গুলো তুলে আনা হতো। আমরা মনে করি, সরকারের সফলতা আছে। কিন্তু পদ্মা সেতু এবং শেয়ারবাজারের সমস্যা সেগুলোকে অনেকখানি ম্লান করে দিয়েছে। আগামী এক বছরে যেসব বিষয়ে আদৌ সফলতা আসেনি, সেগুলোর তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাওয়া উচিত।
মো. জসিম উদ্দিন
প্রধান শিক্ষক, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাস্তবসম্মত ভাষণ। বিরোধী দল বলছে, এটা মিথ্যাচার। আসলে মিথ্যাচারের কিছু আমরা দেখিনি। নানা খাতে সরকারের সাফল্য তো রয়েছে।
মো. মীর কাশেম
ব্যবসায়ী, ঢাকা
সাধারণ মানুষের শ্রমেই দেশ এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় এলে নানা কিছু করবেন_ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ রকম প্রতিশ্রুতিই কেবল শুনে আসছি।
মো. মহিউদ্দিন
চাকরিজীবী, মুন্সীগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নতুন কিছু ছিল না। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কিছু বলেননি। তিনি বারবার বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরা যাবে না। অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা দেবেন না। অথচ ঢাকায় সিটি করপোরেশনের নির্বাচন না দিয়ে অনির্বাচিতরাই ঢাকা চালাচ্ছে। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন। দেশে সবাই থাকতে পারলে ধর্মীয় রাজনীতি থাকবে না কেন? ধর্মের প্রতি তার অসহিষ্ণুতাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা?
মো. ওবায়দুল হক
কৃষক, নোয়াখালী
কৃষকরা আজ অবহেলিত। আমরা সব দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। আমাদের দিকে কেউ তাকায় না। প্রকৃত কৃষকরা কোনো সাহায্যই পাচ্ছে না। যারা দলবাজি করছে, অথচ কৃষির সঙ্গে সম্পর্ক নেই, তারাই সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
সরকার ৪ বছরের উন্নয়নের ভাষণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকারের বাকি কাজ যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা দরকার।
মো. জামাল উদ্দিন
ব্যবসায়ী, মতিঝিল, ঢাকা
পদ্মা সেতু ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য দেননি। আমরা আশা করব, যেন পদ্মা সেতুর কাজ অতি দ্রুত শুরু করা হয়।
দেলোয়ার হোসেন দেলু
সংগঠক, নারায়ণগঞ্জ বন্দর
প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের ব্যর্থতা অনেক। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি কিংবা হলমার্ক কেলেঙ্কারি আড়াল করেছেন তিনি। আত্মপ্রশংসা না করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্যোগসহ দেশ ও জনগণের জরুরি সংকট সমাধানে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন_ এই আমাদের আশা।
ললিত চৌধুরী
শিক্ষক, গৌরনদী, বরিশাল
বাংলাদেশ সরকারের চার বছরের ভালো কাজগুলোরই বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পদ্মা সেতু না হওয়ার কারণ এবং সারা বাংলাদেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
প্রফেসর শামীম
শিক্ষক, মুজিবনগর, মেহেরপুর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভাষণ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এমপি, মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা দুর্নীতিপরায়ণ, তিনি যেন তাদের থেকে সতর্ক থাকেন এবং তাদের কোনো প্রশ্রয় না দেন।
জাফর আহমেদ
চাকরিজীবী, নোয়াখালী
পাটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বন্ধ হওয়া কয়েকটি সরকারি জুট মিল চালু হয়েছে। চট্টগ্রামের ইস্পাহানী জুট মিল চালু হওয়া দরকার।
মো. আশরাফুল ইসলাম মঞ্জু
বেকার, নীলফামারী
ডেসটিনির বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা যারা সেখানে চাকরি করতাম, তাদের কী হবে?

No comments

Powered by Blogger.