বিভিন্ন সংগঠনে শুকরিয়া আদায়

 দীর্ঘ ৩৪ বছর অপোর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর হওয়ায় বিভিন্ন সংগঠন শুকরিয়া, দোয়া মাহফিল, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য এবং আলোচনাসভার আয়োজন করে।
এসব সভায় জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এ সময় এসব সংগঠন ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে থাকা অন্য খুনীদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করায় শুক্রবার বাংলাদেশ টিএ্যান্ডটি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন দেশের ৬৪ জেলায় শতাধিক স্থাপনায় জুমার নামাজের পর শোকরানা নামাজ এবং দোয়ার আয়োজন করে। এসব মাহফিলে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচারের রায় কার্যকর করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বিদেশে পালিয়ে থাকা অন্য খুনীদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প থেকে শুক্রবার সকাল ১০টায় কবর স্থানে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারম্নক আহমেদ এবং কাজী নিজাম উদ্দীনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রায় কার্যকর হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তারানা হালিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় খুনীদের ফাঁসি হওয়ায় জাতি দায়মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি পালিয়ে থাকা আরও ৫ খুনীকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। এই রায় কার্যকর করার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে উলেস্নখ করেন।
এ ছাড়াও বঙ্গমাতা পরিষদ, বাংলাদশ নারী মুক্তি আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, জয় বাংলা সংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ধানম-ি থানা আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর তাঁতী লীগসহ আরও অনেক সংগঠন নানা রকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রায় কার্যকর হওয়ায় নানা রকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ এবং শুকরিয়া আদায় করে।

No comments

Powered by Blogger.