বেগমগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ- বন্ধ ঘোষণা

নোয়াখালী, ১৪ জানুয়ারি বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলনরত বিএসসি ছাত্রদের সঙ্গে ডিপেস্নামা কোর্সের ছাত্রদের দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পরে কমপ ে১৫ ছাত্র আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে চৌমুহনী-মাইজদী সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে দুপুর দু'টায় কতর্ৃপ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। এদিকে কলেজের একাধিক শিকের বিরম্নদ্ধে ডিপেস্নামা শিাথর্ীদের প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যদশর্ীরা জানায়, চার দফা দাবিতে আন্দোলনরত বিএসসি শিাথর্ীরা বুধবার দুপুরে অধ্যরে ক েতালা দেয়ার অজুহাতে ডিপেস্নামা কোর্সের শিাথর্ীরা বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বনির্ধারিত মধ্যম পর্ব পরীায় অংশ না নিয়ে অধ্যরে করে তালা ভাঙ্গে এবং বিএসসি শিাথর্ীদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিােভ মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা কলেজের গেট বন্ধ করে বিএসসি ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে লাঠিসোটা নিয়ে ডিপেস্নামা ছাত্ররা গেটের ভেতরে এবং বিএসসি ছাত্ররা গেটের বাইরে অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) আলী হোসেন ও বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ কলেজ গেটে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২টায় পুলিশ বিএসসি ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ঢুকানোর উদ্যোগ নিলে সাড়ে ১২টার দিকে উভয়পরে মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শুরম্ন হয় বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিপে। এ সময় পুলিশের সামনেই ডিপেস্নামা ছাত্ররা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বিএসসি ছাত্রদের ওপর হামলা করলে বেগমগঞ্জের চৌরাসত্মা পর্যনত্ম সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ডিপেস্নামা ছাত্ররা সংগঠিত হয়ে বিএসসি ছাত্রদের ধাওয়া করে এবং ধরে ধরে পিটুিন দেয়। বিএসসির ছাত্র সোহাগ চৌরাসত্মার একটি লন্ড্রি দোকানে আশ্রয় নিলে ডিপেস্নামা ছাত্ররা সেখানেও হানা দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ চললেও পুলিশ কোন লাঠিচার্জ কিংবা এ্যাকশনে যায়নি। হামলা ও সংঘর্ষে উভয়পরে কমপ ে১৫ ছাত্র আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছোটন (২২), শহিদুল (২০), মিরাজ আহম্মেদ (২৩), মামুন (২৪) ও শরীফকে (২৪) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত কামরম্নল (১৯), রবিন (২৩), হিমেল (২২), মাইদুল (২৩) ও সোহাগ (২২)সহ অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে ডিপেস্নামা ছাত্ররা ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএসসির আবাসিক ছাত্রীদের বের করে দেয়। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জেরিন বলেন, তিন বছর ধরে এ কলেজে বিএসসি কোর্স চালু হলেও কোন শিক নিয়োগসহ শিার নূ্যনতম সুযোগ সৃষ্টি করা হয়নি। যখন আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে গেছি তখনই ডিপেস্নামার ছাত্ররা অজ্ঞাত কারণে বার বার বাধা সৃষ্টি করছে। বৃহস্পতিবারও অশোভন আচরণ করে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
বিএসসির শিাথর্ীরা ডিপেস্নামা ছাত্রদের উস্কে দেয়ার জন্য কলেজের একাধিক শিককে দায়ী করে একই সাথে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে এবং তাদের ওপর ডিপেস্নমা ছাত্রদের চোরাগোপ্তা হামলার কথা জানায়। এ নিয়ে ডিপেস্নামা শিাথর্ীরা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তারা সাংবাদিকদের জানায়, বিএসসি ছাত্ররা অধ্য এবং শিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে এ কারণে তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়া হবে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসত্মাফিজুর রহমান জানান, সকালে উভয়পরে ছাত্রদের উত্তেজনার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে যান। পরে ডিপেস্নামা ছাত্রদের সাথে আলোচনা করে বিএসসি ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ঢোকানোর উদ্যোগ নিতেই উভয়প সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, পুলিশের হসত্মেেপই পরিস্থিতি শানত্ম হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্য আবু নাছের শামীম জানান, ডিপেস্নামা ছাত্ররা অধ্য এবং শিকদের সঙ্গে বিএসসি ছাত্রদের অশোভন আচরণের কথা বলে তাঁর করে তালা ভাঙতে গেলে তিনি বাধা দেন। এ সময় পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পেঁৗছার পূর্বেই তারা তালা ভেঙ্গে ফেলে। এর কিছুণ পরই সংঘর্ষ বাধে। পরবতর্ীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেন। একাধিক শিকের বিরম্নদ্ধে ডিপেস্নামা ছাত্রদের প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ তাঁর নজরে আসেনি বলে দাবি করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.