খালেদা জিয়া বললেন-খোশগল্পের সময় নেই, আলোচনা হতে হবে প্রকাশ্যে

'তলে তলে নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হতে হবে। সবাই জানবে, ওই আলোচনা হবে প্রকাশ্যে। এর বাইরে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোশগল্প করার সময় ও মানসিকতা আমাদের নেই।'
সরকারের উদ্দেশে এসব কথা বলেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগ সরকার তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণ করুক তাতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, তবে আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। গতকাল সোমবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার যুবলীগ সভাপতি আলী আক্কাস রতনসহ শতাধিক কর্মীর বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, যু্গ্ম মহাসচিব নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাজাহান, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, দেশকে রক্ষা আর উন্নয়নের জন্য নতুন ও পুরনো কর্মীদের একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। ঢাকার ৫৬ ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদার হত্যার ঘটনায় র‌্যাবকে দায়ী করে তিনি বলেন, সরকার তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য বিএনপির সাহসী ও জনপ্রিয় নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করছে। সরকার এই চার বছরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, দমন-পীড়ন করেছে। তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। দেশকে রক্ষা করতে এ সময় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গত চার বছরে মহাজোট সরকার দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, 'ক্ষমতায় থেকে সরকার অনেক অপকর্ম করেছে। আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে তারা যে অপকর্ম করেছে এই কারণে দেশের মানুষ তাদের আর ভোট দেবে না। এই ভয় থেকেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হবে না, হবে না।' তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গুম, হত্যা, সন্ত্রাস, নির্যাতন, অত্যাচার ও জুলুমবাজির রাজনীতি করে। কিন্তু বিএনপি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি করে। আর এটা বুঝতে পেরেই আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিতে যোগদান করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।

No comments

Powered by Blogger.