শাবিতে ছাত্রলীগের কয়েক গ্রম্নপে দফায় দফায় সংঘর্ষ- দোকান ভাংচুর আহত ২০

সিলেট অফিস শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিবদমান কয়েকটি গ্রম্নপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপ ে২০ ছাত্রলীগ নেতাকমর্ী আহত হয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যনত্ম এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ থামাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা করা হয়। দোকান ভাংচুরের জের ধরে সকালে এলাকার লোকজন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, হারম্ননুর রশীদ, বেলায়েত, জিকু, সুইট, বিজিত, দিপু, রাব্বী, মকি ও পলাশ।
বৃহস্পতিবার ২০০৭ ব্যাচের ২য় বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে শাবি ছাত্রলীগের সৌমিত্র গ্রম্নপের কমর্ী পলাশকে রাজু গ্রম্নপের কর্মী হারম্ননের নেতৃত্বে একটি গ্রম্নপ মারধর করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় হারম্নন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশর্্ববতর্ী সুরমা আবাসিক এলাকায় গেলে সৌমিত্র গ্রম্নপের কমর্ীরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উভয় গ্রম্নপের কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সৌমিত্র গ্রম্নপের সিনিয়র নেতা কামরম্নজ্জামান সুইট শাহপরান হলের সামনে গেলে রাজু গ্রম্নপের কর্মী জিন্নাহ ও আজগর তাকে মারধর করে।
খবর পেয়ে সৌমিত্র গ্রম্নপের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। অন্যদিকে রাজু গ্রম্নপ, আসাদ গ্রম্নপ ও নাইম-মঞ্জু গ্রম্নপের নেতাকর্মীরাও সম্মিলিতভাবে ক্যাম্পাসে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। উভয় প েআধ ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে দু'গ্রম্নপ হ্যান্ডবল মাঠের দুই প্রানত্মে অবস্থান নিয়ে ইট ছোড়াছুড়ি শুরম্ন করে।
সংঘর্ষকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একাডেমিক ভবনগুলোর গেট বন্ধ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। অন্যদিকে দু'গ্রম্নপের পাল্টাপাল্টি হামলার সময় একবার প্রক্টরিয়াল বডি সদস্যদের 'পুলিশ পুলিশ বলে চিৎকার করলেও পুলিশ কোন ভূমিকা রাখেনি'।
অন্ধাকারে ইট ও কাঁচের বোতল ছোড়াছুড়ি করায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে বেলায়েতকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রায় চলিস্নশ মিনিট টানা সংঘর্ষের পর প্রক্টরিয়াল বডির হসত্মেেপ পরিস্থিতি কিছুটা শানত্ম হলেও উভয় গ্রম্নপ তাদের অবস্থান থেকে চিৎকার করতে থাকে। কিছুণ পর রাজু-আসাদ গ্রম্নপ ক্যাম্পাস ছেড়ে হলের দিকে আসলে সৌমিত্র গ্রম্নপ গোল চত্বরে অবস্থান নেয়। রাতে রাজু গ্রম্নপ, আসাদ গ্রম্নপ ও নাইম-মঞ্জু গ্রম্নপের নেতাকর্মীরা হল থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সৌমিত্র গ্রম্নপের নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দিকে পাঠিয়ে দেয়। পরে দ্বিতীয় দফায় রাজু গ্রম্নপ, আসাদ গ্রম্নপ ও নাইম-মঞ্জু গ্রম্নপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থানরত সৌমিত্র গ্রম্নপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় রাজু গ্রম্নপ, আসাদ ও নাইম-মঞ্জু গ্রম্নপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে ফেন্ডস মার্ট ও গোলাবী রেস্টেুরেন্ট নামক দুটি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী ফুসে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার সকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ এবং শাবি কর্তৃপ মিলে এলাকাবাসীকে শানত্ম করেন।

No comments

Powered by Blogger.