ক্লাস চলাকালে ধর্ষণ!

ক্লাস চলছে। বিজ্ঞানের। গভীর মনোযোগে পাঠদান করছেন শিক্ষক। কিন্তু ক্লাসের পেছনের সারিতে ঘটে গেছে অঘটন। যা বিদ্যালয়ের গায়ে কলঙ্কের কালি লাগিয়েছে। ক্লাস চলাকালে দুই সহপাঠী ধর্ষণ করেছে এক মেয়েকে।
এ কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ডে পোরেস একাডেমিতে।
১৫ বছর বয়সী মানসিকভাবে অসুস্থ ওই মেয়েকে ১০ মিনিট ধরে ধর্ষণ করেছে তার বন্ধুরা! মেয়েটি পালাতে চাইলে ধর্ষকদের একজন তার মাথায় আঘাত করে।

এতো কিছু ঘটে গেছে কিন্তু নিবীড়ভাবে পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষক টেরই পাননি।

স্থানীয় থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে এ অভিযোগ করেছে মেয়েটির ‍মা। মেয়ের মা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ করার চেষ্টা চালানোর সময় অন্য একজন ডেস্কের ওপর চড়ে নাচে। কিন্তু শিক্ষক সেদিকে চোখ মাড়ান নি।

মেয়েটি ঘটনার পরের দিনই বিদ্যালয়ের এক সমাজকর্মীর কাছে নালিশ করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপরাধের প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়।

১৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সে ছিল এক মাত্র মেয়ে। ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন, তারা (হামলাকারীরা) সবাই ‘দুষ্কর্মে প্রবণশীল’ এবং তারা দুষ্কর্মকারীদের সংশোধনালয় কাসা ডে লা সালে থাকে।

মেয়েকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে যেতে পারেননি অসহায় মা। মেয়েটিকে আরও কয়েক মাস সহ্য করতে হয় হুমকি-ধামকি।

ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা গত ডিসেম্বরে মেয়েটি ধর্ষকদের একজনের সঙ্গে একই কক্ষে রাখে কর্তৃপক্ষ। মেয়েটিকে ‘শ্রেণী কক্ষের ঘটনা’ নিয়ে কাউকে না বলার জন্য সতর্ক করে দেয় ছেলেটি।

এ ঘটনার পর মার্কিন প্রশাসনও হতভম্ব হছে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী পত্রিকাকে অ্যাটর্নি ম্যাডেলিন ব্রিয়ার বলেন, “এটি মাথায় বাজ পড়ার মতো। কিভাবে ঘটতে পারে এটি!”

স্কুলের নির্বাহী পরিচালক এড ডানা বলেন, “ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালানো হয়েছে এবং শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”

এক বিবৃতিতে ডানা জানান, “আমরা মানুষকে জানাতে চাই যে আমাদের শিক্ষকরা উচ্চমানের। আমাদের তত্ত্বাধানে থাকা শিশুদের নিরাপত্তা ও ভালো নিশ্চিত করাই অগ্রাধিকারে থাকে।”

No comments

Powered by Blogger.