কালের আয়নায়-ড. কামাল হোসেনের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

ড. কামাল হোসেনের মতো একজন বর্ষীয়ান নেতা, যিনি বিএনপির কাছেও এখন সমান গ্রহণযোগ্য এবং আইনজীবী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাত, তিনি যদি তার গত ১১ সেপ্টেম্বরে দেওয়া আলটিমেটাম কার্যকর করেন এবং প্রাথমিকভাবে কোকোর দুর্নীতি জনসমক্ষে ফাঁস করেন, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে তারেক রহমানের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিবরণও ফাঁস


হতে দেরি হবে না। চাই কি বর্তমানের শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির নায়কদের মুখোশ উন্মোচন এবং তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে সরকার বাধ্য হবে


এগারো সেপ্টেম্বর দিনটি আমাদের উপমহাদেশ এবং সারাবিশ্বের জন্যই একটি দুর্ভাগ্যজনক দিন। ৬৪ বছর আগে এই দিন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রয়াত হন। আবার মাত্র কয়েক বছর আগে এই দিন আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে টুইন টাওয়ারে সেই বিশ্বত্রাস ঘটনাটি ঘটে। এ বছর এই দিনে বিশ্বের আর কোথাও ছোট-বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে একটি ছোট্ট ঘটনা ঘটেছে।
দ্বিখণ্ডিত গণফোরামের (এক খণ্ড সম্ভবত পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সঙ্গে রয়েছে) নেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতির অধিকারী আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তার দল কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে সংগ্রামী বক্তৃতা দিয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে বিশাল দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারের কাছে সেই দুর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। নইলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই দুর্নীতির তথ্য তিনিই ফাঁস করে দেবেন বলেছেন।
আমি অনেকদিন পর ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে একটু আশাবাদী হওয়ার কারণ খুঁজে পেয়েছি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তার দলের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি যেভাবে হুঙ্কার দিয়ে কথা বলেছেন, এমন হুঙ্কার তার রাজনৈতিক জীবনে আর কোনোদিন শুনেছি বলে মনে পড়ে না। তবে তার কথা ও আচরণে বহুবার অমিল খুঁজে পেয়েছি। তাতে আবার শঙ্কা বোধ করছি, তার বর্তমান আলটিমেটামও যেন অসার হুঙ্কার না হয়।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় ড. কামাল হোসেন ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি অক্সফোর্ডে তার আরও তিনজন বন্ধুর সঙ্গে আশ্রয় নেন। আমি এদের নাম দিয়েছিলাম বাংলাদেশের গ্যাঙ অব ফোর। ড. কামাল হোসেন মাঝে মধ্যেই অক্সফোর্ড থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যেতেন, বক্তৃতা দিতেন। একবার গেলেন মস্কোতে। সেখানে তিনি যা বললেন, তাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার অব্যবহিত পর আমাদের অনেকের মনে দারুণ উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। লন্ডনের বাংলা কাগজে তা লিড নিউজ হয়েছিল।
মস্কোতে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, '৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতার শত্রুরা বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করেছে। এদের প্রতিহত করা দরকার হবে। এর কয়েক বছর পর বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচার ও ইনডেমনিটি আইন বাতিলের দাবিতে লন্ডনের এক হোটেলে বিশিষ্ট এক ব্রিটিশ আইনজীবীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোজসভায় তিনি বলেন, '৭১-এর স্বাধীনতার শত্রুদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।' এর কয়েক বছর পর বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কর্র্তৃক আয়োজিত ইফতার পার্টিতে দেখা গেল, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াতি নেতা মতিউর রহমান নিজামীর পাশে বসে ইফতারি খাচ্ছেন ড. কামাল।
আওয়ামী লীগ ত্যাগের পর ড কামাল হোসেন ঘোষণা করেন, তিনি বাংলাদেশে সুস্থ ও স্বচ্ছ রাজনীতি চান। দেশের রাজনীতি এখন অসুস্থ ও অস্বচ্ছ। সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিতে ভরা। সে জন্য তিনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেছেন এবং একেবারে অমলিন চরিত্রের অধিকারী মানুষ নিয়ে গণফোরাম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। গণফোরাম দলের উদ্বোধনের সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন 'গরিবের ব্যাংকার' ড. মুহাম্মদ ইউনূস_ তিনি গণফোরামকে আশীর্বাণী দিয়েছিলেন।
এর কিছুদিন পরই দেখা গেল, গণফোরামে কমিউনিস্ট পার্টির সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিকসহ কয়েকজন জাঁদরেল নেতার যোগদান, এমনকি বর্তমান হাসিনা মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন দলের সদস্য সচিবের পদ গ্রহণ করা সত্ত্বেও গণফোরামে নেতার দক্ষিণ হস্ত হয়ে সর্বকাজে লাঠি ঘোরাচ্ছেন ছাত্রলীগের এক নেতাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এক ব্যক্তি। এভাবে গণফোরামের 'সুস্থ ও স্বচ্ছ রাজনীতি'র শুরু।
অতীতের কাসুন্দি আর ঘাঁটব না। বর্তমান প্রসঙ্গে আসি। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুই পুত্রেরই কীর্তি-কাহিনী এখন বিশ্ববিদিত। একটি খবরে বলা হয়েছে, "আরাফাত হোসেন কোকোর বিরুদ্ধে রয়েছে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ, সম্পদের তথ্য গোপন, বিদেশে অর্থ পাচারের গুরুতর অভিযোগ। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতর (ইউএনওডিসি) এবং বিশ্বব্যাংকের সমন্বিত উদ্যোগ : স্টোলেন এসেট রিকভারি ইনেসিয়েটিভের তৈরি করা একটি পুস্তিকায় সিমেন্স কোম্পানির কাছ থেকে কোকোর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগকে 'জাতীয় মুদ্রা পাচারের' উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।"
এই পুস্তিকায় বলা হয়, 'বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ঘুষ হিসেবে বিদেশি একটি কোম্পানির দেওয়া অর্থ ২০০৯ সালে বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। তার আগে ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি মার্কিন কর্তৃপক্ষ ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের অর্থ পুনরুদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়। কোকো এই অর্থ সিমেন্স থেকে গ্রহণ করেন এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি ব্যাংকে জমা রাখেন বলে অভিযোগ।'
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের এই খবরে আরও বলা হয়, 'ঢাকায় বিশেষ জজ আদালতে ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর কোকো ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সাইমনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। একই সময়ে বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফুল সি প্যাটেল বলেছিলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কোকোর অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং দুদকের মামলায় কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।'
কোকোর এই কীর্তি-কাহিনীর পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকার মানববন্ধনে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, 'কেবল বাংলাদেশে নয়, জার্মানি ও আমেরিকার আদালতে কোকোকে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত করা হয়েছে। সরকারের উচিত বিষয়টি বিটিভির মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করা। আর যদি সরকার তা না করে, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমি তা প্রকাশ করব। হাওয়া ভবন আবার ফিরে আসুক আমরা তা চাই না।'
কেবল এই হুমকি দিয়েই গণফোরাম নেতা থামেননি, তিনি বলেছেন, 'অতীত ভুলে গেলে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হয়। হাওয়া ভবনের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এ ভবন থেকে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, ভবিষ্যতে আর সে সুযোগ দেওয়া যাবে না।' সাম্প্রতিক হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, 'এর চেয়ে বড় দুর্নীতি আর কী হতে পারে? অচিরেই এর সঙ্গে জড়িতদের বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।'
ঢাকায় সাম্প্রতিক মানববন্ধনে জিয়াপুত্র কোকোর অপরাধ এবং বর্তমানে হলমার্ক, ডেসটিনি প্রভৃতি সংস্থার অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রতিকার সম্পর্কে ড. কামাল হোসেন যে কথা বলেছেন, তার সঙ্গে দেশের অধিকাংশ মানুষ সহমত পোষণ করবে। প্রশ্নটি হচ্ছে, সরকার যদি এই তথ্য প্রকাশের হিম্মত না দেখায়, তাহলে একজন প্রবীণ জাতীয় নেতা হিসেবে তিনি এই জাতীয় দায়িত্বটি পালন করে গোটা জাতির ধন্যবাদ লাভের দাবিদার হবেন কি? তাছাড়া শুধু অতীতের হাওয়া ভবন নয়, বর্তমানে দেশে যে ছোট-বড় একাধিক হাওয়া ভবন গড়ে উঠেছে এবং শেয়ারবাজারের ধস থেকে হলমার্ক কেলেঙ্কারি পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এবং তাতে নেতৃত্বদানের জন্য এই শেষ বয়সে তিনি একটু সাহস দেখাবেন কি?
তারেক এবং কোকো এই দুই ভাইয়েরই বিশাল দুর্নীতি ও সন্ত্রাস সম্পর্কিত সকল তথ্য বর্তমান সরকারের উচিত, শুধু বিটিভির মাধ্যমে নয়, সকল গণমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা। সরকার কেন তা করছে না তা আমি জানি না। তবে এমনও হতে পারে, সরকার হয়তো ভাবছে যে, কোকো বিদেশি আদালতে দণ্ড পাওয়া সত্ত্বেও দেশের আদালতে দুই ভাইয়ের পর্বত সমান অপরাধের বিচার চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করতে গেলে হয়তো বিএনপির ব্যান্ডবাদকরা, বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রচার বাদ্য বাজাতে শুরু করবেন যে, এসবই মিথ্যা। তারেক-কোকো দুই ভাইয়েরই চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র। এই প্রচার সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেনের মতো একজন বর্ষীয়ান নেতা, যিনি বিএনপির কাছেও এখন সমান গ্রহণযোগ্য এবং আইনজীবী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাত, তিনি যদি তার গত ১১ সেপ্টেম্বরে দেওয়া আলটিমেটাম কার্যকর করেন এবং প্রাথমিকভাবে কোকোর দুর্নীতি জনসমক্ষে ফাঁস করেন, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে তারেক রহমানের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিবরণও ফাঁস হতে দেরি হবে না। চাই কি বর্তমানের শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির নায়কদের মুখোশ উন্মোচন এবং তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে সরকার বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে ড. কামাল হোসেন সত্যই সাহসী হয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে তিনি দেখবেন, সাধারণ মানুষ তার পেছনে কাতারবন্দি হতে আর দ্বিধান্বিত নয়। প্রশ্ন, ড. কামাল হোসেন সত্যই এই সাহস দেখাবেন কিনা?
গণফোরাম নেতার কাছে আমার একটি বিনীত প্রশ্ন, তারেক-কোকোর সন্ত্রাস, দুর্নীতির কথা ফাঁস হয় ২০০৭-০৮ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই। ওই সরকারের আমলেই তারেক ও কোকো গ্রেফতার হন। এ সময় ড. কামাল হোসেন অঘোষিতভাবে এক-এগারোর সরকারের সমর্থক ও পরামর্শদাতা ছিলেন বলে দেশবাসী সকলেরই জানা। এ সময় গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগে কারারুদ্ধ বিএনপি নেত্রীর দুই পুত্রকে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন সামান্য অসুস্থতার অজুহাতে জামিন দিল এবং শুধু জামিন দেওয়া নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা করে দিল, তা জানার খুব ইচ্ছা হয়।
ড. কামাল হোসেন তখনই তো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে পারতেন এবং দেশেই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা দ্বারা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদেশে পলায়ন বন্ধ করার পরামর্শ দিতে পারতেন। যদি তখন তা করা হতো, তাহলে তারেক ও কোকোর বিচারে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রত হতে হতো না এবং এই অভিযোগও শুনতে হতো না যে, আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। ড. কামাল হোসেনও কেন এতকাল পর, যখন '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দিকে সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ, তখন হঠাৎ কেবল কোকোর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন, তার পেছনেও কোনো রহস্য আছে কিনা জানতে ইচ্ছা করে।
সব শেষে একটি কথা, ১১ সেপ্টেম্বরের মানববন্ধনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু অর্থমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেছেন, 'পালাবার আগে জনগণকে জানিয়ে যাবেন কেন পালাবেন। দেশের মানুষকে সংকটের মধ্যে ফেলে রেখে আপনারা পালিয়ে যাবেন আর দেশের মানুষ বসে বসে সেটা দেখবে, তা হতে পারে না।' মন্টুর মন্তব্য শুনে একটি পুরনো প্রবাদ মনে পড়ল_সুচ বলে চালুনি তোর কেন এত ফুটা? দেশের ও জাতির প্রতিটি সংকট সময়ে কোন নেতা সর্বাগ্রে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তার নাম এবং পলায়নের ইতিহাস গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমার কাছ থেকে পেতে চান কি?
লন্ডন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, শুক্রবার
 

No comments

Powered by Blogger.