যুবলীগের নেতৃত্ব-উপেক্ষিত তারুণ্য

যুবক কে? এ জন্য কত বয়স যথার্থ? এ প্রশ্নের সরল উত্তর মেলা কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ থেকে ৩৫ বছরকে ইয়ুথফুল এডাল্টস ধরা হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে হলে নূ্যনতম ৩৫ বছর বয়স হতে হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা ৩৫ বছর।


তবে জাতীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স নির্ধারিত। এর অর্থ এ বয়সেই যে কেউ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করতে পারেন। জাতীয় যুব নীতিতে 'যুবক' বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গঠনের জন্য এ বয়সসীমা আদৌ বিবেচনায় আনা হয়নি। এমনকি ছাত্ররাজনীতিতে যে 'আদু ভাই' কথাটি বহু বছর ধরে দারুণ বিদ্রূপাত্মকভাবে চালু, সেটাও হার মেনেছে এ ক্ষেত্রে। শুক্রবার সমকালে যুবলীগের 'কেন্দ্রীয় কমিটি :পোস্টমর্টেম' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়_ নতুন কমিটি হচ্ছে 'ষাটোর্ধ্ব তরুণের' মেলা। শুধু তাই নয়, কমিটিতে ব্যবসায়ীরা তো রয়েছেনই। আরও স্থান দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের। এমনকি হত্যা মামলার আসামিরাও বরণীয় হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী বিস্তৃত সংগঠন রয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থের পরিবর্তে সমষ্টিগত স্বার্থ প্রাধান্য দেয়, এমন বয়সী উদ্যমী ও প্রকৃত তরুণ বয়সী কর্মী-সমর্থকের অভাব এ দলে কোনোকালেই ছিল না। তাহলে কেন তাদের এমন একটি কমিটি গঠন করতে হলো, যা দেখে সংগঠনের ভেতরেই অভিযোগ ওঠে যে, কমিটিতে স্থান পেতে 'অর্থের লেনদেনও' হয়েছে? আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে চরমভাবে বিব্রত। ঐতিহ্যবাহী এ দলটির ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন শাখার এক শ্রেণীর নেতাকর্মীর একের পর এক অপকর্ম নিয়মিত সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে, যা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে তাদের চরমভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। জনপ্রিয়তা নয়, পেশিশক্তিই এখন তাদের ভরসা। যুবলীগও এ অপবাদের বোঝা বইছে। টেন্ডার-চাঁদাবাজিতে এ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা যুক্ত_ এ অভিযোগ অমূলক বলা যাবে না। অবৈধ সুবিধার ভাগাভাগি নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনেক স্থানেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের কাছে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি মূল দলের নেতৃত্ব পর্যন্ত অসহায়। দুই মাস আগে ১৪ জুলাই যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের সময় নেতৃত্বের তরফে উদ্যমী ও অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সীদের নিয়ে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত হওয়ায় প্রত্যাশা জেগেছিল যে, চার দশকের পুরনো সংগঠনটি হয়তো এতদিনের বদনাম কাটিয়ে ওঠায় সচেষ্ট হবে। এমন নেতৃত্ব যুবক-তরুণদের সামনে হাজির করবে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করায় উদ্যোগী হবে। তাদের আস্থা অর্জনে নিরলস কাজ করবে। এমন কমিটি সক্ষম কিন্তু হা-হতোস্মি! তাদের পথচলা যেন আরও বিপরীত মুখে। সুবিধাবাদ ও অনিয়ম-অন্যায়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার বিন্দুমাত্র আগ্রহ তারা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সান্ত্বনা কেবল এটুকুই যে, রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের প্রধা
 

No comments

Powered by Blogger.