বিপন্ন সময় by ফয়সল মোকাম্মেল

রহমান ঘন ঘন পথচারীদের কব্জির দিকে তাকায়। নাহ, কারো হাতেই বাঁধা নেই, কী ব্যাপার! ঘড়িগুলো সব একসাথে উধাও হয়ে গেল নাকি? ভয়ানক ব্যস্ত যেন সবাই। কোনদিকে খেয়াল নেই, সার্চলাইটের মতো দু’চোখ সামনে রেখে মনে হয় এখনই যে কেউ ম্যানহোলে পড়ে যেতে পারে। ম্যানহোলগুলো হা-ভাতের মতো সব হা হয়ে আছে।


ঢাকনা চুরির পরিমাণ ইদানীং বেড়ে গেছে খুব।
রাস্তায় মানুষদের চোখে-মুখে কেমন একটা ঝড়ের আভাস। কথাও বলতে চায় না ঠিকমতো। সাহেব-সুবো ধরনের একজনকে কয়টা বাজে বলতেই মিনমিন করে কী যে বললো শোনা গেল না। রহমান স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে লোকটা বিরক্ত হয়েছে। তখন থেকেই সাহেব-সুবোদের আর সময় জিজ্ঞেস করেনি। ফুলহাতা শার্ট পরা লোকটাকে জিজ্ঞেস করতেই প্রায় খেঁকিয়ে বললো-ঘড়ি রাখি না। রহমান ভেবেছিল ফুলহাতার নিচে হয়ত ঘড়ি একটা তার থাকতেও পারে।
ঘড়ি না হোক, অন্য কোনভাবে হলেও তার সময় জানা প্রয়োজন। ঘরে ঢুকেই বুলুকে জানিয়ে দিতে হবে ঠিক সময়েই এসেছে সে।
বুলু সময় মেনে চলে না! বলেÑ কী হবে ওসবে? সময় মেনে চলা তাদেরই সাজে যাদের সময়-জ্ঞান আছে। আমার আবার সময়-টময় কী? সকালে বেরুবো, রাতে ফিরবো, ওই আমার সময়। দেশ চালাতে গেলে ওসবের দরকার হয়। কোন সময় কী হবে। এ জন্যে চোখ-কান খোলা রাখতে হয়। দেশের হাওয়া কোনদিকে বইছে খেয়াল রাখতে হয়। ওতে অনেক সুবিধা। আমি ও-দলে নেই।
রহমান এসব প্যাঁচঘোচ বোঝে না। বৃত্তাবদ্ধ চিন্তার ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে বললো, তবুও মনে হয় মাঝেমধ্যে তোর জানা প্রয়োজন, এই ধর সিনেমা দেখার সময় তো অবশ্যই।
বুলু বলে সেটা কোন সমস্যা নয়। এক চোখ বন্ধ রেখে গালের একপাশ কুঁচকে সূর্যের দিকে চেয়ে বলে দিতে পারি কয়টা বাজে। আসলে আন্দাজ হয়ে যায়, বুঝলি! ঘড়ি থাকলে আর আন্দাজ থাকে না। সময় বেঁধে দিলেও নির্দিষ্ট সময়ে কেউ আসতে পারে না।
রহমান চোখ কুঁচকে সূর্যের দিকে তাকায়। দু’-পাশের দুটো বড় দালানে সূর্য অদৃশ্য। রহমানের হঠাৎ মনে হলো, মেঘ থাকলে সময় কীভাবে বের করতে হয় তাতো বুলুকে জিজ্ঞেস করা হয়নি!
এ সময়টায় খানিকটা ক্ষিধে লাগে রহমানের। ঠিক জানে, পয়সা থাকলেই এখন ঢুকে পড়ত হোটেল রেস্তোরাঁ খুপরি কোথাও। পকেটে পয়সার কমতি, সুতরাং যখন তখন খাওয়ার চিন্তা বাদ। অবশ্য খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে রহমানের তেমন খরচ হয় না আজকাল। এখন সে যেখানে থাকে তার পাশেই ছোট্ট খুপরিটাতে বসে করিম চাচার পাতলা রুটি খুব কম পয়সায় খেয়ে নিতে পারে। সেখানেই ঢুকে পড়ে। রিকশাওয়ালা রহমতের সঙ্গে এখানে প্রায়ই তার দেখা হয়। ভোরের সোনা রোদ্দুর যখন খুপরির আঙ্গিনায় করিম চাচার পায়ের কাছে এসে পড়ে তখন রিকশাটাকে বাইরে রেখে ভেতরে ঢোকে রহমত। রুটি দুটোর বেশি খায় না। বেশি খেলে ওর নাকি ঘুম পায়। রহমানেরও। আগে দুপুরে খেয়ে বেশ ঘুমুতো। এখন প্রশ্নই ওঠে না।
সামান্য দিন কয়েক আগে রিকশাটা কিনেছে রহমত। নতুন বউয়ের মতো দৃষ্টি নিয়ে তাকায় রিকশার দিকে। চোখ না নামিয়ে রহমত মুখ আর প্লেটের চমৎকার যোগাযোগ হাতের সাহায্যে রক্ষণ করে। খেতে খুব বেশি সময় লাগে না। তাছাড়া রুটি পাতলা হচ্ছে দিনকে দিন। রুটি পাতলা হচ্ছে বলে রহমত মাঝে-মধ্যে আপত্তি জানায়।
আসলেই রুটি কেমন চিকন হয়ে আসছে করিম চাচার। আগে খান দুই চিবিয়ে পানি খেয়ে নিলেই হতো। এখন তিনটার কমে হয় না। করিম চাচা বলে-চিকনই নাকি চায় সবাই। মোটা কে পছন্দ করে। দেখেন না, চিকন মাজার বউর জন্য কেমন পাগল সবাই।
রিকশার ওপর চোখ রেখে হো হো করে হেসে ওঠে রহমত। আয়েশী ভঙ্গিতে ঠোঁট দুটো ফাঁক করে শব্দ না করে হাসে। হাল্কা রসিকতায় সবাইকে হাসাতে পেরে চাচার চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আরেকটা পাতলা রুটি ধরিয়ে দেয়ার ফাঁক খোঁজে।
রহমান বুক পকেট হাতড়ে দেখে। না, আর একটা খেলে দুপুরে খাওয়ার পর সিগারেটের পয়সা হবে না। করিম চাচা এখন বাকি চাইলে গজ-গজ করে। তার চাইতে দুটোই যথেষ্ট। খুচরো কয়েকটি টাকা-পয়সা নিশ্চিন্তে হলুদ শার্টের ডানদিকের পকেটে ঘুমিয়ে থাকে। দুপুরের আগে তাঁদের এ ঘুম না ভাঙানোই ভালো।
রহমত কাঁধের গামছা দিয়ে নতুন রিকশার পা-দানি মুছতে মুছতে বাইরে লাল চা দিয়ে যেতে বলে। পা-দানি মোছায় একটা অদ্ভূত শির শির শব্দ ওঠে। হাসি-হাসি মুখে রহমত সে শব্দ শোনে। গুন্ গুন্ করে চালু সিনেমার গান গায়।
রহমান চেয়ে দেখে ওর হাসি হাসি মুখের দিকে। দৃষ্টি নিবদ্ধ তার পা-দানিতে। ঘাম মোছা গামছার এই অপ্রচলিত ব্যবহারে রহমান অবাক হয়। প্রিয় জিনিসের প্রতি মানুষের টান থাকে আলাদা। যে গামছায় মুখ ঘাম মোছা হয়, তা দিয়ে পা-দানি মোছা দোষের কিছু নয়। রহমতের পায়ের কাছে লাল চায়ের কাপ। শেষ চুমুক দিয়ে পয়সা মিটিয়ে দেয়। তারপর পাকা সহিসের মতো লাফ দিয়ে চড়ে বসে রিকশায়।
এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় হেলে দুলে চলে, সজোরে বেল বাজায়। পিঠের ওপর কাঁধ থেকে নেমে আসা গামছা বাতাসে কেশরের মতো ফুলে ওঠে। খুব ভালো মেজাজে আছে রহমত। একটু পরেই ঘর্মাক্ত হয়ে ন্যায্য পয়সার জন্য প্যাসেঞ্জারদের সাথে তর্ক করবে। দিবেন না ক্যান, মাগনা পয়সা চাইতাছি? প্যাসেঞ্জারদের গালি সে তোয়াক্কা করে না। মান-অভিমানের বালাই নেই। নিঃসঙ্গতা নেই, বিষণœতা নেই। আজকের ক্লান্তি আগামী দিনের চিন্তার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
রাস্তার ওপর এসে মিষ্টি সুবাসে রহমান চোখ তোলে। কব্জিতে ঘড়ি বেঁধে একটি চমৎকার কিশোরী হেঁটে যায়। রহমানের ভেতর কেমন করে ওঠে। বুনিবদ্ধ নেই, হাঁটার ছন্দে উঠছে নামছে। সময় জিজ্ঞেস করবে নাকি!-এই যে শুনছেন, কয়টা বাজে....নাহ্ থাক। এমন সুন্দর একটি দৃশ্যে প্রশ্ন করে বাগড়া না দেওয়াই ভালো। কিশোরী হেঁটে যাচ্ছে বাতাসে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে। ভোরের বাতাস খেলা করছে তার মিষ্টি চুল নিয়ে।
ঘড়ি একটা কিনতেই হয়। বুলু যদিও সময় হিসেব করে কথা বলে না, তবু পরশু বলেছিল আজ দুপুর ১টায় অবশ্যই আসতে। কী আশ্চর্য! রোজীও পরশু পথে রিকশা থামিয়ে আজ দুপুর ১২টায় ওর সঙ্গে দেখা করতে বলেছিল। কী জন্যে, খুলে বলেনি কিছুই। রোজীর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন একটাই, চাকরি। রহমানের জন্য চাকরি ইতোমধ্যেই জোগাড় করে ফেলল নাকি? হতেও পারে। সেদিনের কথাবার্তায় তাই তো মনে হলো।
রহমানের মতো রোজীও সব সময় বিষণœ থাকে। একাকীত্ব তার খুব প্রিয়। মানুষ নাকি তার বড় শত্রু। রোজী বিরাট এক ফার্মে টেলিফোন অপারেটর-কাম রিসেপশনিস্ট। টেলিফোনে হাজার কণ্ঠের সঙ্গে বসের কণ্ঠের সংযোগ ঘটায়। কোন মানুষকে ভয় পায় এ কথা রহমানকে বলেনি রোজী। অথচ একদিনও তাকে ভয় পেয়েছে বলে মনে হয়নি?
প্রায়ই রোজীকে তার বসের সঙ্গে ঘুরতে দেখে রহমান। সাদা টয়োটার পেছনের সিটে বসে রোজীর ঘাড়ে হাত দিয়ে রাখে। জিজ্ঞেস করবে না ভেবেও একদিন হঠাৎ জিজ্ঞেস করে রহমানÑচাকরি করছো বলে কি তোমাকে তার ইচ্ছে মতো চলতে হবে নাকি?
রোজী চোয়াল শক্ত রেখে ফিস ফিস করে বলে-আরো অনেক ব্যাপার আছে, যা তোমাকে বলা যাবে না। চাকরিটা আমার ভীষণ দরকার।
তবুও রহমান হঠাৎ করেই একদিন একটা চাকরি চেয়ে বসে রোজীর কাছে।
-কী ব্যাপার হঠাৎ চাকরির ধাক্কা? রোজীর কণ্ঠে গদগদ।
-বাবা বেকার পুত্রের ব্যয়ভার নিতে আর রাজি নন। পড়াশোনা বোধ হয় ছেড়েই দিতে হবে। অনার্স পাসের পর সংসারের হাল ধরার ব্যাপারে তার ইচ্ছের কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। রহমান কৈফিয়তের ভঙ্গীতে উত্তর দেয়।
কপালের ওপর এলোমেলো চুল ঠিক করে রোজী বলে, তোমার এক ভাই তো বেশ চাকরি করছে। তার কাছ থেকে পড়াশোনার খরচ নিলেই তো পারো।
-ওর বউ আছে, সংসার আছে। আমাকে মাস-মাস খরচ যোগাবে বলে মনে হয় না। বাবা দেশ থেকে কষ্ট করে টাকা পাঠাবেন, আমার সহ্য হয় না মোটেই। রহমানের গলায় তিক্ততা ফুটে ওঠে।
রোজী চপল হাসি হেসে বলে-চাকরি করলে ক্লাস করবে কখন? সারাটা দিনতো চাকরির পেছনেই যাবে।
রহমান জানায়-পার্ট-টাইম চাকরি হলে খুব সুবিধা।
রোজীও উদাসীন হয়ে চেষ্টা করবে বলে জানায়।
রহমান ঠিক জানে চেষ্টা সে করবে না। রোজীর চাকরিই যখন নানা জটিল শর্তে আবদ্ধ, সে ক্ষেত্রে অন্যের ব্যাপারে তদ্বির করার সুযোগ নেই। তবু রোজী সেদিন রহমানকে হঠাৎ দেখে রিক্সার পেছনের পর্দা উঠিয়ে কাছে ডাকে। এমন মিষ্টি করে হাসতে রোজীকে দেখেনি অনেকদিন।
-পরশু ১২টায় অফিসে আমার সাথে অবশ্যই দেখা করো। দরকার আছে ভীষণ। রোজীর কণ্ঠ অদ্ভূত মিষ্টি আর খুশী খুশী শোনায়। রোজী পর্দা নামিয়ে দেয়।
রহমানের ইচ্ছে হচ্ছিল, দৌড়ে গিয়ে রোজীকে জিজ্ঞেস করেÑকেন? জিজ্ঞেস করা হয়নি।
সেদিন বুলুর কাছেই যাচ্ছিল রহমান। একটা লাইব্রেরীতে কাজ করে সে। টেবিলের ওপর ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা বইগুলো র‌্যাকে সাজিয়ে রাখে। রহমান মাঝে মাঝে দু’একটা বই চেয়ে এনে পড়ে। ইচ্ছে হয়, সারাদিন লাইব্রেরীতে পড়ে থাকে, পারে না। মাথাটা ঝিম দিয়ে ওঠে। বইয়ের অক্ষরগুলো অন্ধকার হয়ে আসে। অক্ষরগুলোকে মনে হয় ঝাপসা, অস্পষ্ট। বুলু বলেÑঠিক মতো খা, চোখে সব দেখতে পাবি।
রহমান কিছু বলে না। বুলু ত্বরিত হাতে বই রাখছে। একটা মোটা বইয়ের জায়গা হচ্ছিল না, দু’পাশের বইগুলো দুদিকে ঠেলে ঢোকানোর চেষ্টা করছিল। রহমানের হাসি পেল, জায়গা নেই মোটেই তবু জায়গা দেবার কি নিদারুণ কসরৎ
সবকিছু সামলে নিয়ে কোন ভূমিকা ছাড়াই বুলু একটা খুশীর খবর দেয়। একটা চাকরি খালি আছে এখানে, তোর হয়ে একটা দরখাস্ত করে দিয়েছি। একটা ছোটখাটো ইন্টারভিউ হবে। হয়ে যেতে পারে। আগামী পরশু দুপুর ১টায় ইন্টারভিউ। সময় মতো ফিটফাট হয়ে চলে আসবি।
রহমানের বুকের ভেতর রিদমিক ড্রাম বাজে। কি চাকরি সেটা জিজ্ঞেস করেনি বুলুকে। কি দরকার ওসব জেনে। চাকরি একটা হলে হলো। ছুটে বেরিয়ে এলো সে।
এ-রকম হাল্কা অনেকদিন লাগেনি রহমানের। সুখগুলো ভীষণ লাফালাফি করছে ভিতরে। রহমানের এ-সময় তীব্র ইচ্ছে জাগল পাখি হবারÑরহমান উড়ছে; উড়তে উড়তে অনেক নদী, সাগর উপত্যকা পার হয়ে, সাদা মেঘের ফাঁক দিয়ে দেখে সরু রাস্তা এঁকে বেঁকে চলে গেছে। হলুদ সোনালি ধানগাছগুলো ঘাড় বাঁকিয়ে দেখে রহমানকে। মাঠে যারা বসেছিল রহমানকে দেখে উড়তে না পারার দুঃখে আফসোস করলো খুব। নদীর মোহনায় বসে থাকা বকগুলো রহমানকে দেখে ঘাড় উঁচিয়ে রাখলো।
অনেকদিন পর মাঠের পাশে বসে থাকা গামছা বাঁধা ছেলেটির বাঁশীর সুর রহমানের গা আলতো ছুঁয়ে দেয়। দুপুরের খাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দামী কলম কিনলো একটা। রোজীকে একটা ভাল বই দেবার চিন্তা অনেকদিন মাথায় খেলছে। বুলুর জন্য কিছু একটা করা দরকার। চাকরি পেলে বাড়ি যেতে হবে, মাকে অনেকদিন দেখা হয়নি। রহমানের বুকের ভেতর এখন আর কোন বিষণœতা নেই।
করিম চাচার দোকান থেকে বেরিয়ে কতক্ষণ ধরে যে হাঁটছে সে খেয়াল নেই রহমানের। রোজীর উদ্দেশেই হাঁটছিল বোধ হয়। ১২টায় রোজীর সঙ্গে দেখা করে ঠিক ১টার আগেভাগেই যেতে হবে বুলুর ওখানে। আজ একজন ঘড়িওয়ালার সাথেও দেখা হলো না তার। আশ্চর্য বৈকি!
হঠাৎ রহমতের সঙ্গে দেখা হলো রহমানের। ঘর্মাক্ত হয়ে আছে রহমত। সারা শরীরে ক্লান্তি। রহমতের সঙ্গে কোন কথা না বলেই ঝকমকে রিকশায় ওঠে রহমান।
-কই যাইবেন? রহমত শুধোয়।
-মতিঝিল। রহমান অনেক দিন পর রিকশায় উঠেছে। সচরাচর ওঠে না সে।
-আমি আইজ আর ওদিকে যাবো না। খাওয়ার টাইম হইয়া গেছে। রহমত টেনে টেনে বলে।
-এত তাড়াতাড়ি? কয়টা বাজে রহমত। রহমানের ভয়ার্ত কণ্ঠ। বুকের ভেতর ধক ধক করে।
নিউ মার্কেটের কাছে একজনেরে জিগাইলে দেড়টা বাজে কইছিল। এখন ২টার কম না। রহমতের কথা ক’টি যেন দেশী বোমার মতো রহমানের গায়ে এসে আছড়ে পড়ে।

No comments

Powered by Blogger.