৫ মন্ত্রী ২ প্রতিমন্ত্রীর শপথ ॥ শেষবেলায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ- প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন যোগ দেননি

মহাজোট সরকারের শেষবেলায় মন্ত্রিসভা চতুর্থ দফা সম্প্রসারিত হলো। সরকারের মেয়াদ আর এক বছর বাকি থাকতে আবারও সম্প্রসারিত হলো মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নতুন আরও ৭ নেতাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে আড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছয় নেতা ও সরকারের শরিক দল জাসদের সভাপতি। নতুন সাত নেতা মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেও তাঁদের মধ্যে দফতর বণ্টন করা হয়নি। আজকালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের মধ্যে দফতর বণ্টন করবেন বলে জানা গেছে।
পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় সংসদের হুইপ মুজিবুল হক এবং দুটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবুল হাসান মোহাম্মদ আলী ও মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজশাহীর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ও ঝিনাইদহের আবদুল হাই।
এদিকে মন্ত্রী হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেলেও শেষ পর্যন্ত শপথ নেননি আওয়ামী লীগের জেষ্ঠে নেতা তোফায়েল আহমেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তাঁদের অসম্মতির কারণে কপাল খুলে যায় আওয়ামী লীগের দু’জন তৃণমূল নেতা দিনাজপুরের এএইচ মাহমুদ আলী ও যশোরের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের। নানা নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেননের শপথ গ্রহণ না করার বিষয়টি স্পষ্ট হলে মাহমুদ আলী ও মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদকে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমন্ত্রণ জানান বলে জানা গেছে।
শপথ গ্রহণ শেষে বঙ্গভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এলাকাবাসীকে চমক দেয়ার জন্যই মন্ত্রী হিসেবে নতুন সাতজনকে শপথ করানো হলো। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এতদূর এসেছে, ভবিষ্যতেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাবে। মন্ত্রিসভা থেকে কাউকে বাদ দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী হেসে বলেন, যোগ-বিয়োগ তো সব জায়গাতেই আছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও তোফায়েল আহমদের মন্ত্রী হিসেবে শপথ না নেয়ার কারণ সম্পর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি শুধু এটুকু বলেন ‘আমি তো বলিনি। সাতজনের শপথ নেয়ার কথা ছিল, সাতজনই শপথ নিয়েছেন।’
মন্ত্রী হিসেবে শপথ না নেয়ার কারণ সম্পর্কে বর্ষীয়ান রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই মুহূর্তে আমি রাজনৈতিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত নই। আমি আমার দলকে ভালবাসি, আমার দলেরই সরকার। আমি মনে করেছি যে, এ মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে আমি কিছুই করতে পারব না। আমার মতো একজন তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিসভায় যোগদান না করলে তাতে কিছুই যায় আসে না।
সরকারের শেষ বেলায় মন্ত্রী হওয়ার আমন্ত্রণ পেলেও তাতে সাড়া দেননি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। পার্টির পলিটব্যুরোর চাপে মন্ত্রিত্বের বাসনা বিসর্জনই দিতে হয়েছে প্রবীণ এই বামপন্থী নেতাকে। পলিটব্যুরোর বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভায় আমার শপথ না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে পলিটব্যুরো। এজন্য আমি শপথ নিচ্ছি না। ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, ১৪ দলের ২৩ দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে আন্দোলন ও নির্বাচনের ফল আসে। কিন্তু সরকার পরিচালনায় কোন বিষয় নিয়ে ১৪ দল বা শরিকদের সঙ্গে কোন আলোচনা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রিসভায় যোগদানের কোন অবকাশ নেই।
দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, আমরা দলীয়ভাবে মন্ত্রিত্বের এ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, ১৪ দলের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনাকে এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করে যাব এবং সরকারের ভাল কাজকে সংসদে ও সংসদের বাইরে সমর্থন দিয়ে যাব। অপর এক নেতা বলেন, আগেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল যে আমরা ১৪ দলে থাকব, তবে মন্ত্রিসভায় যোগ দেব না।
তবে দলের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে মন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছেন ১৪ দলের আরেক শীর্ষ নেতা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। শপথ গ্রহণের পর বঙ্গভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজনৈতিক কারণে আমরা জোট করেছি, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন শেষে সরকার গঠন করেছি। আজ রাজনৈতিক কারণেই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছি। সেই রাজনৈতিক কারণ হচ্ছে জঙ্গীবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করা ও যুদ্ধাপরাধীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা। বিপদ এখনও কাটেনি। তাই যতদিন রাজনৈতিক এসব কারণ সমাধান করতে লাগবে ততদিন আমরা জোটে থাকব।
সরকারের নানামুখী সঙ্কটের মুখে হঠাৎ করেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের এ খবরে সারাদেশেই তোলপাড়ের সৃষ্টি করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থী ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে দল ও সরকার থেকে সাইড লাইনে রাখা দলের সিনিয়র নেতা এবং আদর্শিক জোট ১৪ দলের দুই প্রভাবশালী নেতাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সারাদেশেই চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় তোলে। নানামুখী চাপের মুখে অভিজ্ঞ নেতাদের নতুন করে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেয়ার ঘোষণায় আশাবাদী হয়ে ওঠে দেশের মানুষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধান দুই জ্যেষ্ঠ নেতারই মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় সরকারের অভ্যন্তরে অস্থিরতার বহির্প্রকাশ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার থেকেই বঙ্গভবনের দরবারে হলে নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেননের অপারগতা প্রকাশের পর নতুন দুই তৃণমূল নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্প্রসারণ করা হয় মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনে এই শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গভবনে আড়ম্বরপূর্ণ নতুন সাত মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ৫ জন ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দুই জনকে শপথ করান। শপথ নেয়ার পর মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামনে এসে তাঁদের সালাম জানান। আর হুইপ মুজিবুল হক সালাম করেন পা ছুঁয়ে।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে হাসানুল হক ইনু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি সফল হব। মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় মুজিবুল হক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং নিজের নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, সরকারের মেয়াদ আর এক বছর বাকি থাকতে বুধবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার জন্য তোফায়েল আহমেদ, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মুজিবুল হককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার আমন্ত্রণ পান ওমর ফারুক চৌধুরী ও আবদুল হাই। সে অনুযায়ী বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানেরও প্রস্তুতিও নেয়া হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে পলিটব্যুরোর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মন্ত্রিসভায় যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান। একই ধরনের সিদ্ধান্ত জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তাঁদের ‘না’ বলার পর দিনাজপুরের সাংসদ এএইচ মাহমুদ আলী ও যশোরের মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদকে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা। তিনি জানান, শপথ হয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী পরে নতুন মন্ত্রিদের দফতর বণ্টন করবেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছ থেকে আমন্ত্রণ আসার পর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন। অন্যান্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধে পলিটব্যুরো। ১৩ সদস্যের পলিটব্যুরোর অধিকাংশ সদস্যই সরকারের শেষ বেলায় মন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতা করেন। অবশেষে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রিত্বের বাসনা ত্যাগ করতে হয় রাশেদ খান মেননকে।
উল্লেখ্য, বিগত জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এ নিয়ে চতুর্থ দফা তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদল হলো। সর্বশেষ গত বছরের নবেম্বরে মন্ত্রিসভায় যোগ হন রাজনীতির দুই পুরনো মুখ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও ওবায়দুল কাদের। তবে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জলিলের মতো রথী-মহারথীদের ঠাঁই হয়নি মন্ত্রিসভার চার দফার সম্প্রসারণে।
নতুন করে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর গত আওয়ামী লীগ সরকারের টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সামলিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য হলেও এতদিন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ৫ বছরে চরম রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার এই মন্ত্রী ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী জরুরী অবস্থার সময় দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। আরেক নতুন মন্ত্রী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে কয়েকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এতদিন সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মহাজোট সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভায় আগেই স্থান পেয়েছিলেন শরিক দলগুলোর দুই নেতা জাতীয় পার্টির জিএম কাদের ও সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়–য়া। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন জাসদ সভাপতি ইনু, যিনি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এছাড়া তোফায়েল-মেননের বদলে মন্ত্রিসভায় আসা এএইচ মাহমুদ আলী ও মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ দুজনেই সাবেক কূটনীতিক। দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এএইচ মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। আর যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ আছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে। তাঁরা দু’জনেই ষাটের দশকে সরকারী চাকরিতে যোগ দেন এবং ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদে আসেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী এবং আবদুল হাই ঝিনাইদহ থেকে আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
বর্তমান সরকারে অপর মন্ত্রীরা হলেন- মতিয়া চৌধুরী, আবুল মাল আবদুল মুহিত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এ কে খন্দকার, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শফিক আহমেদ, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সাহারা খাতুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদের, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, রেজাউল করিম হীরা, আবুল কালাম আজাদ, আ ফ ম রুহুল হক, দীপু মনি, আফছারুল আমীন, আব্দুর রাজ্জাক, এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, জিএম কাদের, হাছান মাহমুদ ও দিলীপ বড়–য়া।
প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- শামসুল হক টুকু, আব্দুল মান্নান খান, মোঃ মোতাহার হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এনামুল হক, ডা. মজিবর রহমান ফকির, প্রমোদ মানকিন, মোঃ শাহজাহান মিয়া, মাহবুবুর রহমান, মুস্তাফিজার রহমান ফিজার, দীপঙ্কর তালুকদার, এ বি তাজুল ইসলাম, মুন্নুজান সুফিয়ান, আহাদ আলী সরকার, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ইয়াফেস ওসমান।
প্রথম দফায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া সৈয়দ আবুল হোসেন এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) পদত্যাগ করেন। রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত পদত্যাগ করলেও তাঁকে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.