সময়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং ভাবনা

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। নিঃসন্দেহে এটা একটা ইতিবাচক দিক। যার ছোঁয়া লেগেছে ফ্যাশন ট্রেন্ডেও। এ দেশের মানুষ এখন অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। যে কারণে ফ্যাশন হাউসগুলো ব্যস্ত থাকে ক্রেতাদের চাহিদা নিরূপণে। ফ্যাশন জগতকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে রয়েছে অনেক সেক্টর।
তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইনিং। রীতিমতো পেশাতে পরিণত হয়েছে এটি। অনেকেই এখন বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ফ্যাশন ডিজাইনিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। কোন অনুষ্ঠানে কেমন পোশাক, তার সঙ্গে কোন জুতা বা অন্যান্য এক্সেসরিজ মানানসই তা সঠিক করে দিতে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনার। তাই একজন ডিজাইনার হতে যোগ্যতা বা গুণ কতটুকু দরকার তাই এখন বিবেচ্য বিষয়।
আধুনিকতার এ যুগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে অনেক কিছু এবং মানুষের কর্মক্ষেত্রে আসছে পরিবর্তন। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন উন্নয়নমুখী সৃষ্টিশীল পেশা। ঠিক তেমনি একটি যুগোপযোগী পেশা ফ্যাশন ডিজাইন। কিছুদিন আগেও ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। এখন আর সেই সময় নেই। মানুষ আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক সৌন্দর্য সচেতন। সবাই চান নতুন কিছু, চান আধুনিকতার বৈচিত্র্যময় জীবন। আর এ বৈচিত্র্যতার পূর্ণতা পেয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। তাই বর্তমান সময়ের তরুণ তরুণীদের মধ্যে পোশাক সম্পর্কে যেমন রয়েছে সচেতনতা তেমন ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ।
কোর্স পদ্ধতি : আমাদের দেশের মধ্যেই বিশেষ করে রাজধানীতেই রয়েছে বেশ কিছু ফ্যাশন হাউস। আইএনআইএফডি, এনআইডি, রেডিয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এক বছর ও দুই বছর মেয়াদী ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিপ্লোমা কোর্স এবং ছয় মাস মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে। কোর্সে যে সার্টিফিকেট দেয়া হয় তা বেশ ভ্যালুয়েবল। ফ্যাশন ডিজাইনে ভর্তির জন্য আবেদনকারীকে ন্যূনতম এইচএসসি/সমমান পাস হতে হবে।
জিজাইনারের কাজ : প্রতিযোগিতার বাজারে একজন ডিজাইনারকে অনেক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কাজ করতে হয়। যেমন ঈদে অথবা বৈশাখের পোশাকের থিম কেমন হবে অথবা এখনকার টিনএজদের সমসাময়িক রুচিশীল দেশীয় অথবা ওয়েস্টার্ন ড্রেস ডিজাইন কেমন হবে সেসব সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। দিন দিন কদর বাড়ছে ফ্যাশন ডিজাইনারের। চাহিদা বাড়ছে গার্মেন্টস, বুটিক হাউস, টেক্সটাইলস মিলস ও ফ্যাশন হাউসে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে গার্মেন্টস, বায়িং হাউস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ফ্যাশন ডিজাইন এক্সিকিউটিভ কনসালটেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপার এক্সপোর্টার ইম্পোর্টার হিসেবে কাজের প্রচুর সুযোগ। বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইনের ক্যারিয়ার খুবই উজ্জ্বল। দেশ এবং দেশের বাইরে রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা। দেশের গার্মেন্ট শিল্পে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে যা ফ্যাশন ডিজাইনে কোর্স করা ব্যক্তিরা পূরণ করতে পারে।
কৃতজ্ঞতা : ইজি ও সোগো

No comments

Powered by Blogger.