প্রকৃতির রঙে রাঙা

নীল, খয়ের, শীলকড়াই, মনজিত। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো দেখার সুযোগ সব সময় হয় না। ‘বসন্তে অরণ্য’ প্রদর্শনীতে গিয়ে এসব প্রাকৃতিক উপাদান দেখার সুযোগ হবে। এসব উপাদানে তৈরি সুতা ও পোশাকও রয়েছে প্রদর্শনীতে। ঢাকার ধানমন্ডিতে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে এ প্রদর্শনী শুরু হয় ২৪ মার্চ।


ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ বিবি রাসেল মাটির চাড়ির পানিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। মাটি, আলো ও পানি হলো প্রধান প্রাকৃতিক উপাদান। তাই প্রকৃতির এই তিন উপাদানকে প্রতীক হিসেবে এখানে রাখা হয়েছে। মোমবাতি নিভিয়ে প্রদর্শনী শেষ হবে। জানালেন আয়োজকেরা।
অরণ্যর নির্বাহী চেয়ারপারসন রুবী গজনভী বলেন, ‘বসন্ত ও বৈশাখকে বিবেচনা করে ভিন্নভাবে পোশাকগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি—এসব পোশাক তো থাকেই। এবার তরুণীদের পোশাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। তাদের জন্য পাশ্চাত্য আঙ্গিকে ট্রাউজার, কুর্তা, স্কার্ট, ফতুয়া, স্কার্ফ ও ওড়না এনেছি। বরাবরই আমরা তাঁতে বোনা পোশাকই বাজারজাত করে থাকি। আগে শুধু সিল্ক, হাফসিল্ক, ক্র্যাপসিল্ক, এন্ডি আলাদা কাপড় হতো। এবার সিল্ক সুতার সঙ্গে এন্ডি, এন্ডির সঙ্গে হাফসিল্ক সুতা—এভাবে নানা মিশ্রণে কাপড় তৈরি করা হয়েছে। তবে জামদানিতে কোনো কিছুর মিশ্রণ কখনোই করি না। এবারও করিনি। এ ছাড়া প্রাকৃতিক রঙের পাশাপাশি তাঁতিদের কথা ভেবে রাসায়নিক রঙের পোশাকও রাখা হয়েছে।’ এ প্রদর্শনীর পোশাকগুলো কিনতে চাইলে আগাম বুকিং দিতে হবে। এগুলো শেষ দিনে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া বনানিতে অরণ্যের শোরুম থেকেও কেনা যাবে। ২৮ মার্চ পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা।

No comments

Powered by Blogger.