নতুন উচ্চতায় সাকিব

তিন বছর ধরেই জায়গাটা প্রায় নিজের করে নিয়েছেন। সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে নেমে গিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহ পরই আবার ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এলেন সাকিব আল হাসান। এটা অনেকটা অনুমিতই ছিল, সঙ্গে কালকের র‌্যাঙ্কিং আরেকটা বড় সুসংবাদ বয়ে এনেছে সাকিবের জন্য।

এক লাফে ১৪ ধাপ এগিয়ে ব্যাটিংয়ে উঠে এসেছেন ১২ নম্বরে। এর আগে এত ওপরে উঠতে পারেননি আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান!
ব্যাটিংয়ের এই উত্থান সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সেই। চার ম্যাচে ৫৯.২৫ গড়ে করেছেন ২৩৭ রান। বোলিংয়ে ৬ উইকেট নেওয়ায় অবশ্য এক ধাপ পিছিয়েছেন। তার পরও ব্যাটিংয়ে ১২ আর বোলিংয়ে ৮ নম্বর—দুইয়ে মিলে এক নম্বর অলরাউন্ডার! সিবি সিরিজের পারফরম্যান্সে আগের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবকে পেছনে ফেলেছিলেন শেন ওয়াটসন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা খুব একটা ভালো যায়নি ওয়াটসনের। অন্যদিকে এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ২৭ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন সাকিব। ওয়াটসনের চেয়ে এগিয়ে গেছেন ১৪ পয়েন্ট।
২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম এক নম্বরে উঠেছিলেন। এরপর বেশির ভাগ সময় সেখানেই ধরে রেখেছিলেন নিজেকে। ব্যাটিংয়ের উত্থানটাই তাই বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে সাকিবকে, ‘অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিং নিয়ে আসলে ভাবিইনি। অনুভূতিও তাই বিশেষ কিছু নয়, ওটা তো হওয়ার কথা ছিল। ব্যাটিংয়ের উন্নতিটাই বেশি ভালো লেগেছে। এমন নয় যে খুব বড় কোনো আশা ছিল। তবে র‌্যাঙ্কিং তো ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। বাংলাদেশে এত ওপরে আগে কেউ ওঠেনি, এটাই তাই বেশি সন্তুষ্টির।’
২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর বোলিংয়েও এক নম্বরে উঠেছিলেন সাকিব, ছিলেন কিছুদিন। এখনো দশের মধ্যে থাকাটা নিয়মিতই। বোলিংয়ে দীর্ঘদিন সেরা দশে ছিলেন আবদুর রাজ্জাকও। তবে গত কিছুদিনের বাজে ফর্মে কিছুটা পেছনে পড়ে গিয়েছিলেন। এশিয়া কাপে ৬ উইকেট নিয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে রাজ্জাক এখন এগারোতে। টানা চার ফিফটি করা তামিম ইকবাল ১০ ধাপ এগিয়ে এখন আছে ২৯-এ। ব্যাটিংয়ে শীর্ষ দুইয়ে আগের মতোই আছেন হাশিম আমলা ও এবি ডি ভিলিয়ার্স, বোলিংয়ে লনওয়াবো সতসোবে ও সাঈদ আজমল।
দলের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়াই, তবে আট নম্বর দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজ ড্র করায় হারাতে হয়েছে ৪ পয়েন্ট (১২৩)। এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫ রেটিং পয়েন্ট, ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে ৯ নম্বরেই।

No comments

Powered by Blogger.