'কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে যাবে'

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার নানা কাল্পনিক গল্প রচনা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া কখনো বিদেশ থেকে টাকা নেননি। এমন কল্পনাও তিনি করেননি।


বিএনপির মহাসচিব সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'এ ধরনের অবাস্তব, অবান্তর ও কাল্পনিক কথা বলবেন না। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে যাবে। দেশের জনগণ জানে কার নাটাই কোথায়।'
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পঞ্চম কারাবন্দি দিবস পালন উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত বুধবার 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছেন'- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল এ মন্তব্য করেন। সরকারি কর্মচারীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আওয়ামী লীগের গণমিছিলে অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ১২ মার্চ জনস্রোত নামবে। কোনোভাবেই সরকার এ প্রবহমান স্রোত বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী ১২ মার্চের মহাসমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসূচির প্রথম ধাপ শেষ হবে। এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ। তিনি আশা করেন, অতীতের কর্মসূচির মতো ১২ মার্চের কর্মসূচিও শান্তিপূর্ণ হবে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ প্রমুখ।
'১২ মার্চ ঢাকায় ২০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে' : এদিকে গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আয়োজনে 'টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী লংমার্চের সপ্তম বর্ষপূর্তি' উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেন, 'এ সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। ১২ মার্চ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। ১২ মার্চ ঢাকায় ২০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। এই ২০ লাখ মানুষকে যদি সংসদে জায়গা দিতে পারেন তাহলে সংসদে যাব।'
সংগঠনের নেতা আলমগীর মজুমদারের সভাপতিত্বে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মবিন প্রমুখ।
ঢাকাকে নিষিদ্ধ নগরীতে পরিণত করেছে সরকার : অন্যদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী ছাত্রমোর্চা ঢাকা মহানগর আয়োজিত 'সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃ স্থাপন, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল, মুফতি আমিনীর গৃহবন্দিত্বের অবসান এবং ১২ মার্চ চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসূচি' সফল করার লক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ১২ মার্চের মহাসমাবেশ বানচাল করতে ঢাকাকে নিষিদ্ধ নগরীতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, মহাসমাবেশ বানচাল করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের রাস্তা, রুম এমনকি মসজিদ থেকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.