‘চলো চলো ঢাকা চলো-বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার ৯১

ঢাকায় ১২ মার্চ বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলের ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি এবং সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে, নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় এ গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে।


আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রাজশাহী: গত বুধবার রাতে অর্ধশত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিএনপির সূত্রগুলোর বক্তব্যমতে, ওই কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে এ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে জেলা ও মহানগর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কর্মসূচি সফল করতে জেলা ও মহানগর বিএনপি তাদের ১৯ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। গতকাল সকাল থেকে ট্রেন ও বাসযোগে প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ওই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠবেন। তবে পুলিশ ইতিমধ্যে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে।
কুড়িগ্রাম: জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় গতকাল ভোরে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন: উপজেলা বিএনপির সদস্য শিকদার আলী, ঘোগাদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মতিউর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমির আজিজুল হক, কর্মী নজরুল ইসলাম, আবদুল মালেক ও মমিনুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনা: পাবনার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির আরও ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ দিয়ে পাবনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ জন।
পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, গতকাল দুপুরে তাঁদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে একই কারণে গত মঙ্গল ও বুধবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সখীপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় দেশীয় অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতিসহ ১৯ জন নেতা-কর্মীকে গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১২ মার্চ বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচিতে বাধা দিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে বলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান দাবি করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, নাশকতার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম দ্রুত বিচার আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গতকাল তাঁদের আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.