এক ঘড়া ছড়া by আখতার হুসেন

ঢাকা থেকে জাফলং
পথখানা আগে আমি
ভালো করে মাপলং
দেখলাম বেশ দূরে
ভয়ে তাই কাঁপলং!
শেষে ভয় করে জয়
বাসে আমি চাপলং
এলাম সোজাই চলে
ঢাকা থেকে জাফলং!

বাঘটা না খুব ভালো

বাঘটা না খুব ভালো বয়সটা অল্পই
পথেঘাটে দেখা হলে জুড়ে দেয় গল্পই।
বলে, আর মাংসটা করি না তো ইট্টিং
তবুও শরীর আছে খুব ভালো ফিট্টিং।
রাগটাগ নেই আর, ডাকি নাকো হাল্লুম
এই তো দুপুরবেলা ডাল-ভাত খাল্লুম।
বনে আর যাই নাকো, থাকি আমি গোয়ালেই
নাক ডেকে ঘুম দিই, গান গেয়ে শোয়ালেই।

হবি নয়

গান গাওয়া—এটা তার হবি নয়—
অভ্যাস; নয় মোটে অভিনয়।
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে সে
অফিসের অভিমুখে ছোটে সে
খায়দায় খুব কম, কবি নয়
নাম তার ছবি রয়, রবি নয়।

নই আমি চুনোপুঁটি

জানো তো আমার বাড়ি সেই দূর দিল্লি
নই আমি যেই-সেই চুনোপুঁটি বিল্লি!
দুধ খাই প্রতিদিন দশ সের
ভক্তও খুব আমি মৎস্যের
বিশ হালি কলা আমি গুপগাপ গিল্লি
করবে না একদম চিল্লা ও চিল্লি!
কপালে উঠছে কেন দুই চোখ
গিলছ অমন করে শুধু ঢোক!
এসো আজ দুইজনে বুকে বুকে মিল্লি
ভালো নয় ঝঞ্ঝাট, কিল্লা ও কিল্লি!

নাম তার

নাম তার সুন্দর মেরিডিথ জুলিয়া
সর্বদা রাগে থাকে একেবারে ফুলিয়া।
পাউরুটি, অমলেট তিনবেলা খাদ্য
নেচে ওঠে শুনলেই বাজনা ও বাদ্য;
শরবত খান তিনি মিহিদানা গুলিয়া।

নাচতে নাচতে তিনি মাটিতেই পড়লে
কাছে তার গিয়ে কেউ হঠাৎই ধরলে
আছাড়টা মারে তাকে দুই হাতে তুলিয়া
এ রকম এক কেসে হয়েছিল হুলিয়া।

No comments

Powered by Blogger.