সর্বজনীন পারিবারিক আইনের দাবি

'তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততায় গড়ে উঠবে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ'- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদ্যাপিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১২। দিবসটি উপলক্ষে নারী নেত্রীরা বলেছেন, নারীর আজকের যে অর্জন, তা বহুদিনের আন্দোলনের ফসল।


নারীরা দেশের সব সেক্টরে সফলতার সঙ্গে অধিষ্ঠিত হলেও শ্রেণীকক্ষ থেকে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত তাঁদের পিছু ছাড়েনি নির্যাতন আর বৈষম্য। এই শৃঙ্খল ভাঙতে দরকার এখন ব্যাপক হারে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নারীবান্ধব গণতান্ত্রিক পরিবেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে গণসমাবেশ, মানববন্ধন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে গণসমাবেশে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, 'নারীর বহু অর্জন, বহু সফলতা নিয়ে আমরা আজ এখানে অধিষ্ঠিত হয়েছি। নিরাপদ নারীবান্ধব পরিবেশে নারী কাজ করবে। সব ক্ষেত্রে নারীর সমসুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা তাদের অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবে।'
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, নারীর আজ যে অর্জন, তা বহু আন্দোলন আর সংগ্রামের ফসল। তিনি দেশের পরিবেশ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র কখনো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারেনি। সেখানে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ বারবার হানা দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে না পারলে নারীর অধিকার, নারীর স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না।
৬৭টি নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত 'সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি'র উদ্যোগে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অনুষ্ঠান শেষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের উম্মে সালমা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় নারী জোটের আফরোজা হক রীনা ও নারী প্রগতি সংঘের শাহানাজ সুমী।
সমাবেশের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী নারী আন্দোলনের ব্যাপকতা লাভ করলেও নারী পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিপীড়ন-বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাই নারীর এই অধস্তন ও মর্যাদাহীন অবস্থার জন্য দায়ী। এ কারণে নারীর স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। কেবল নারী হয়ে জন্মগ্রহণের কারণেই মেয়েশিশু, কিশোরী, তরুণী, নারী, এমনকি ৬০-৭০ বছরের প্রবীণারাও আজ নিরাপদ নন। শিক্ষাঙ্গনে কিশোরী-তরুণীরা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গৃহকোণ থেকে শিক্ষাঙ্গনে, যাতায়াত পথে, শিক্ষাঙ্গনের ভেতরে সহপাঠী ও শিক্ষকদের দ্বারা, এমনকি কখনো কখনো শিক্ষাঙ্গনের কর্মচারীদের দ্বারাও কিশোরী-তরুণীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে; অথচ প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে কিশোরী-তরুণীরাই সামনের সারিতে আছে।
পোশাক শিল্পে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৯০ শতাংশ নারী শ্রমিক, যাঁদের তিন-চতুর্থাংশই হচ্ছে কিশোরী-তরুণী। ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের তরুণীরা যথেষ্ট সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছে। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাফল্য অর্জন করেছে ক্রিকেটে, ফুটবলে। আর্থিক সহায়তা, নারীবান্ধব পরিবেশ, উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি পেলে আমাদের তরুণীরা তাদের মেধা, শ্রম, মননশীলতা দিয়ে দেশকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সমাবেশে আরো বলা হয়, যেকোনো ক্ষেত্রে নির্যাতিত-নিপীড়িত তরুণী-কিশোরীদের পাশে দাঁড়াতে হবে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রকে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইনের সংশোধনসহ সর্বজনীন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে এবং জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। সমাবেশে সিডও সনদের ধারা ২ এবং ধারা ১৬-১(গ) থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে সিডও সনদ পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, নারী কৃষি শ্রমিকদের কাজের স্বীকৃতিসহ পূর্ণাঙ্গ কৃষি শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে। উত্তরাধিকারসহ নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করতে 'ইউনিফরম ফ্যামিলি কোড' চালু করতে হবে। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র ও সুশাসনের স্বার্থে সমাজ ও রাষ্ট্রে নারী নির্যাতনবিরোধী সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। সমাবেশে দেশের ৪৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। স্বাধীনতাবিরোধী, নারী নির্যাতনকারী একাত্তরের ঘাতক-দালালদের চলমান বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জোর দাবি জানানো হয়। এই মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধীদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশে জাতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, ফতোয়াবাজ ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর অশুভ তৎপরতা বন্ধ এবং তা প্রতিহত করার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ব্র্যাক, উইমেন ফর উইমেন, কেয়ার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, কর্মজীবী নারী, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াউড, আইইডি, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি, মহিলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নিজেরা করি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ঢাকা ওয়াইডাবি্লউসিএ, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, অঙ্ফার্ম জিবি, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, প্রিপ ট্রাস্ট, এডিডি বাংলাদেশ, নারীপক্ষ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান, নাগরিক উদ্যোগ, ঢাকা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, জাতীয় মহিলা সংস্থা, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ, সারি, বাউশি, পাক্ষিক অনন্যা, এসিডি রাজশাহী, ব্রতী, নারী মৈত্রী, প্রদীপ, পেশাজীবী নারীসমাজ, ওয়েব ফাউন্ডেশন, ইকুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ, বিডিপিসি, যুক্ত, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র, জাতীয় নারী শ্রমিক জোট, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জাতীয় নারী জোট, শক্তি ফাউন্ডেশন, বিপিডাবি্লউ ক্লাব, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারী গ্রন্থ প্রবর্তনা, এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন, নারী মুক্তি সংসদ, ডেমক্রেসিওয়াচ, সেবা নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, সিআরআরএ, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক সংস্থা, প্রশিকা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ইউনিভার্সিটি উইমেন, সরোপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব এবং অন্যান্য নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নারী দিবস উপলক্ষে সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের পক্ষ থেকে 'নারী-বান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও নারীপাচার প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অভিবাসন নিশ্চিত করুন' প্রতিপাদ্য নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বিপ্লবী নারী সংহতি, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স, ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ), মুক্ত শিশু ও নারী শ্রমিক ফোরাম, বাংরাদেশ মহিলা ন্যাপ, মিলেনিয়াম হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ গতকাল সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। এ ছাড়া উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ এবং কেয়ার-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'নারী হত্যা, নারী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতার খবর প্রতিদিনই পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। একবিংশ শতাব্দীর উন্নত ও শিক্ষিত সমাজে এটা চিন্তা করা যায় না। এই দুঃখজনক ও লজ্জাকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের নৈতিক শিক্ষা অর্জন ও মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকসু ভবনের সামনে উপমহাদেশে নারীর রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে স্টেপ্স টুয়ার্ডস্ ডেভেলপমেন্ট নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'অগ্নিজিতা' এবং ৮ মার্চের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত '৮ মার্চ' প্রদর্শিত হয়। এতে ক্লারা জেটকিন, ভার্জিনিয়া উলফ, সিমোন দ্য ব্যুভোয়ার, সরোজিনী নাইডু, ইলা মিত্র, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনসহ দেশ-বিদেশের অর্ধশতাধিক পথিকৃৎ নারীর আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সকালে শাহবাগে 'বৈষম্যহীন, ন্যায্য, সম-অধিকার ও সমসুযোগভিত্তিক পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠার দাবিতে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) মানববন্ধন করে। এ সময় বক্তব্য দেন সুপ্রর পরিচালক উমা চৌধুরী, উপপরিচালক আবু আলা মাহমুদুল হাসান, সমন্বয়কারী মৌসুমী বিশ্বাস প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান ও সামগ্রিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সম্পৃক্তকরণ বিষয়ক পথনাটক পরিবেশন করা হয়।
এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থা স্টেপ্স টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট স্থানীয় পর্যায়ের ১২০টি সংগঠনের সহযোগিতায় দেশব্যাপী ৬ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২০ দিনের প্রচারাভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 'স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বাজেট ও পরিকল্পনায় নারীর মানবাধিকার ইস্যু যুক্ত করতে হবে'- এই স্লোগানকে সামনে রেখে এ সময়ে দেশের ১৬টি জেলা, ৫৫টি উপজেলা, ২৫৫টি ইউনিয়ন এবং ৪৫০টি স্কুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মতবিনিময় সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ভিডিও প্রদর্শনী ও আলোচনা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, মাইকিং ও পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্য রকম দিন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ভিন্ন এক মাত্রার দিন কাটান ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মীরা। তাঁরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে নারী দিবস পালন করেন।

No comments

Powered by Blogger.