এখনই ইগলের ডানা ছাঁটার যথার্থ সময় by গাজীউল হাসান খান

বলা যায়, আশির দশকের সূচনা পর্যন্ত লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রিট ছিল ব্রিটিশ সাংবাদিকতার কেন্দ্রস্থল। তখন থেকেই নতুন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং তা নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নের দর-কষাকষি ও বিশেষ করে কয়েকটি বড় পত্রিকার মালিকানা বদলকে কেন্দ্র করে ফ্লিট স্ট্রিট থেকে অনেকে পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ডের দিকে সরে যায়।


নতুন ও সমৃদ্ধ ডকল্যান্ড এলাকায় পত্রপত্রিকার অফিস সরে গেলেও ফ্লিট স্ট্রিট তখনো ব্রিটিশ গণমাধ্যমের কেন্দ্র বলে বিবেচিত হতো। কারণ তখনো অনেক বিখ্যাত পত্রপত্রিকা এবং গণমাধ্যমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় ফ্লিট স্ট্রিটেই রয়ে গিয়েছিল। লন্ডনের বিখ্যাত 'দ্য টাইমস' পত্রিকা সরে গেলেও 'দ্য টেলিগ্রাফ', 'দি এঙ্প্রেস', 'দ্য ডেইলি মেইল', 'দ্য সান', এমনকি আজকের বিতর্কিত সাপ্তাহিকী 'দ্য নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' তখনো ফ্লিট স্ট্রিট থেকেই তাদের সাংবাদিকতা ও কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। পাশেই ছিল 'দ্য গার্ডিয়ান' এবং 'ডেইলি মিরর'-এর অফিস। সব মিলিয়েই এর পরিচিতি ছিল ফ্লিট স্ট্রিট হিসেবে। ফ্লিট স্ট্রিট মানেই ব্রিটিশ সাংবাদিকতার জগৎ। আর সে জগৎ ছিল অত্যন্ত রমরমা ও প্রভাবশালী। তখন 'দ্য টাইমস'-এর মালিক ছিলেন লর্ড টমসন এবং 'দ্য টেলিগ্রাফের' লর্ড বিভারব্রুক। সত্তরের দশকের শেষের দিকেই ফ্লিট স্ট্রিটের বিভিন্ন প্রভাবশালী পত্রপত্রিকার মালিকানা বদল হতে শুরু করে। 'দ্য টাইমস', 'ডেইলি সান' এবং 'দ্য নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' কিনে নেন অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট শিল্পপতি রুপার্ট মারডক। আমি তখন একজন বিশেষ সহকারী সম্পাদক হিসেবে ফ্লিট স্ট্রিটের আন্তর্জাতিক সংবাদ সাপ্তাহিকী 'দি ওয়ার্ল্ড টাইমস'-এ কাজ করছিলাম। আমাদের পাশের ভবনেই ছিল 'দ্য নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' সাপ্তাহিকী। এটি তখনো ছিল ব্রিটেনের সর্বপ্রাচীন এবং সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা। তখনই অর্থাৎ আশির দশকের সূচনাতে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড'-এর বয়স হয়েছিল ১৩৮ বছর। প্রচারসংখ্যা তখনো ছিল প্রায় ৪০ লাখ। ৭ জুলাই এর মালিক রুপার্ট মারডক যখন ঘোষণা করেন যে 'দ্য নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন এর বয়স হয়েছিল ১৬৮ বছর।
সাংবাদিকতা ব্রিটেনে একটি কঠোর পেশাগত নীতিমালার ওপর দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়ে এসেছে। তা-ই হওয়ার কথা। কারণ সংসদীয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার যুক্তরাজ্য আইনের শাসন, মানুষের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার এবং কতগুলো বিশেষ মূল্যবোধের ওপর দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজ একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে এসেছে। এ দেশের পেশাগত সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজের পাশাপাশি জনগণের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সব সময়ই সচেষ্ট ছিল। একবিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে বিভিন্ন অগ্রগতি সাধনের পাশাপাশি মুদ্রণ মাধ্যমেও যথেষ্ট পরিবর্তন সাধিত হয়। মালিকানা বদল হয় অনেক পুরনো পত্রপত্রিকার। মালিক বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেসব পত্রিকায় আসে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও উন্নয়ন। নব্য পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাওয়ার ফলে পেশা এবং মূল্যবোধগত বেশ কিছুটা পরিবর্তনও দেখা দেয় গণমাধ্যমের বিশাল জগতে। শুধু হালে মার্কিন নাগরিকত্বপ্রাপ্ত অস্ট্রেলীয় রুপার্ট মারডকের সাপ্তাহিক 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড', 'দ্য সান', 'সানডে টাইমস'-এ-ই নয়, পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল 'ডেইলি মিরর' ও 'ডেইলি স্টার'সহ বিশেষ করে কিছু ট্যাবলয়েড পত্রিকায়।
ব্রিটিশ স্কুলছাত্রী মিলি ডাউলারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি তথ্য সংগ্রহের জন্য তার এবং তার পরিবারের ফোনে গোপনে আড়ি পাতার মাধ্যমে 'দ্য নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' যে অবৈধ ও অমানবিক কাজ করেছে, তাতে সমগ্র ব্রিটেনের পাঠককুল এবং জনগণ অত্যন্ত প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, খবরে আরো প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' তাদের নিযুক্ত বেসরকারি গোয়েন্দা কিংবা তদন্তকারীদের মাধ্যমে সে অবৈধ কাজটি অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, ২০০০ সালে নিউ ইয়র্কে সংঘটিত 'নাইন ইলেভেন' কিংবা ২০০৫ সালে লন্ডনে সংঘটিত 'সেভেন সেভেন'-এর বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারেও ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য। তা ছাড়া নব্বইয়ের দশকে বেশ কিছু রাজনীতিক ও শিল্পীসহ বিভিন্ন নামকরা মানুষের ফোনে অনৈতিকভাবে আড়ি পাতার পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে যায়। তাতে ব্রিটেনসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বের অনেকেই অত্যন্ত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ৮০ বছর বয়স্ক রুপার্ট মারডকের 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' সাপ্তাহিকী সে কুকর্মের ক্ষেত্রে ছিল অত্যন্ত অগ্রগামী। গত প্রায় দুই দশকে বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ 'মিডিয়া মোগল'-এর পত্রিকাগুলোতে, বিশেষ করে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডে' উত্তরোত্তর এ ধরনের নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে; কিন্তু ব্রিটিশ স্কুলছাত্রী মিলি ডাউলারের ঘটনায় জনমনে এক বিশাল প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চলতি বছরের ৪ জুলাই থেকে এ ব্যাপারে একের পর এক বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনা প্রকাশ পেতে শুরু করে এবং সরকার অনেকটা বাধ্য হয়েই আইনানুগ তদন্তের ব্যবস্থা নেয়। ২০০৬ সালের ৮ আগস্ট ব্রিটিশ রাজপরিবারের কর্মকর্তাদের ফোনে আড়ি পাতার দায়ে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' তৎকালীন ওয়ার্ল্ড রয়্যাল এডিটর ক্লাইভ গুডম্যান এবং তাদের বেসরকারি তদন্তকারী বা গোয়েন্দা গ্লেন মালকেয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের জেল হয় এবং তখন পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক অ্যান্ডি কোলসন পদত্যাগ করেন। অথচ ২০০৭ সালের ৩১ মে ব্রিটিশ বিরোধী দলের নেতা ডেভিড ক্যামেরন সে অপরাধ ও দায়দায়িত্ব স্বীকারকারী কোলসনকে রক্ষণশীল দলের পরিকল্পনা ও যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক নিয়োগ করেন। ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর 'দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস' অভিযোগ করে রিপোর্ট প্রকাশ করে যে কোলসনের কর্মীরা তাঁর জ্ঞাতসারেই ফোনে আড়ি পাতার কুকর্মটি চালিয়ে গিয়েছিল। ফলে এ বছরের ২১ জানুয়ারি কোলসন তাঁর ডাউনিং স্ট্রিটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। একই অপরাধে এ বছরের ২৬ জানুয়ারি 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড'-এর সহকারী সম্পাদক ইয়ান অ্যাডমন্টসনকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তাঁর প্রধান রিপোর্টার নেভিল থার্লব্যাক এবং অ্যাডমন্টসনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' তখন প্রকাশ্যে সেসব কুকীর্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি। সর্বত্র রেবেকা ব্রুকসের পদত্যাগ ও বিচারের দাবি ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় রুপার্ট মারডকের নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কর্মকর্তা ৪৩ বছর বয়স্কা রেবেকা ব্রুকসকে ১৫ জুলাই পদত্যাগ করতে হয়েছে। রেবেকা নিউজ ইন্টারন্যাশনালে ২২ বছর কাজ করেছেন। সে সময় তিনি পর্যায়ক্রমে 'দ্য সান' ও 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবং তখন থেকেই অবৈধভাবে সংবাদ সংগ্রহ করার লক্ষ্যে আড়ি পাতার মতো কর্মকাণ্ডের তিনি মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লেবারদলীয় এমপি ক্রিস ব্রায়ান্ট বলেছেন, অনেক আগেই রেবেকার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। যখন তিনি ২০০৩ সালে পুলিশ অফিসারদের তথ্যের জন্য ঘুষ প্রদান করেছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন, তখনই তাঁর চলে যাওয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব ছিল। এ পর্যন্ত ফোনে আড়ি পাতা কেলেঙ্কারির জন্য 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' ৯ জন সাংবাদিক ও বেসরকারি গোয়েন্দা বা তদন্তকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার মধ্যেও লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' পদত্যাগকারী সহযোগী সম্পাদক নিল ওয়ালিসকে পাবলিক রিলেশন্স উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়োগ দেয়, যাঁর সম্মানী ছিল দৈনিক এক হাজার পাউন্ড করে। সে ঘটনায় লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশপ্রধান স্যার পল স্টিফেনসন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের দিক থেকে উত্তরোত্তর চাপের সম্মুখীন হয়েছিলেন। ১৪ জুলাই তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড অর্থাৎ 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডে' সহযোগী সম্পাদক থাকাকালীন ফোনে আড়ি পাতার জন্য পুলিশ ওয়ালিসকে গ্রেপ্তার করে।
রেহাই পাননি পুলিশ কমিশনার স্যার পল স্টিফেনসনও। ১৬ জুলাই তিনি তাঁর দায়িত্বে অবহেলার জন্য পদত্যাগ করেন। তা ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় রেবেকা ব্রুকসকে। তবে রেবেকাকে শেষ পর্যন্ত এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠেছে, 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' সহযোগী সম্পাদক নিল ওয়ালিসকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে যদি পুলিশ কমিশনার স্যার পলকে পদত্যাগ করতে হয়, তবে একই অপরাধে অপরাধী 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' সাবেক সম্পাদক অ্যান্ডি কোলসনকে ডাউনিং স্ট্রিটে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গণমাধ্যমের দায়িত্বে নিয়োগ করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগ করা বাঞ্ছনীয় নয় কেন? ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবারদলীয় সদস্য জেরাল্ড কফম্যান ও তাঁর কয়েকজন সহকর্মী এ ব্যাপারে অবিলম্বে রক্ষণশীল দলের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। সে কারণে ক্যামেরন তাঁর সাউথ আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্ত করে লন্ডনে ফিরে এসেছিলেন সংসদের বর্ধিত অধিবেশনে এ ব্যাপারে বক্তব্য প্রদান ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য।
১৯ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক সাব-কমিটির সামনে নিউজ করপোরেশনের মালিক রুপার্ট মারডক, তাঁর ছেলে নিউজ ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জেমস মারডক ও সাবেক প্রধান কর্মকর্তা রেবেকা ব্রুকসের জবানবন্দির আগেই অর্থাৎ ১৮ জুলাই মারা যান 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের' রিপোর্টার শন হোরে। পর পর এতগুলো ঘটনায় মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন চরম দক্ষিণপন্থী বলে খ্যাত পুঁজিবাদী 'মিডিয়া মোগল' রুপার্ট মারডক। ব্রুডকাস্টারদের কম্পানি 'বিস্কাইবি'-এর বাকি ৬৯ ভাগ শেয়ার কেনা ও তার একচ্ছত্র মালিক হওয়ার স্বপ্ন ইতিমধ্যে ভেস্তে গেছে মারডক গোষ্ঠীর। এর মধ্যে সাত বিলিয়ন মূল্যের সে কম্পানির শেয়ারের দরপতন ঘটেছে বিপুলভাবে। এখন কম্পানির চেয়ারম্যানের পদটিও প্রায় হারাতে বসেছেন তাঁর ছেলে জেমস। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য_আটলান্টিকের উভয় পাড়েই অতিরক্ষণশীল অথবা চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও ঘোর ইসলামবিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক মারডকের। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা কিংবা তাঁর ডেমোক্রেটিক দল এবং ব্রিটেনে লেবার কিংবা বাম ঘেঁষা প্রগতিশীলদের ঘোরবিরোধী। সে কারণেই হয়তোবা ব্রিটিশ রক্ষণশীলদের এবং বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড'-এর এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। রুপার্ট মারডক তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি এত বিড়ম্বনার শিকার জীবনে আর কখনো হননি। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে এদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে। এ ঘটনায় যদি এখনই ইগলের ডানা ছাঁটা না যায়, তাহলে শুধু সাংবাদিকতার নীতিমালা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অশুভ প্রভাব থেকে নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
gayiulhkhan@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.