শাবির দু'ছাত্রের লাশ খালে-সড়ক অবরোধ ভার্সিটির কয়েকটি ভবনে ভাংচুর by চয়ন চৌধুরী ও রাজিব দে

ন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ডাকাতদের হামলায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) দুই ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদাঘাট এলাকার চেঙেরখাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেন। নিহতরা হলেন_ দীপঙ্কর ঘোষ অনিক ও খায়রুল কবির। তারা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয়


বর্ষের ছাত্র। ঢাকার উত্তর বাসাবোর বাসিন্দা অনিক একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক ঘোষের ছেলে এবং খায়রুল ঢাকার নবাবগঞ্জের মরহুম সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অনিক নগরীর পাঠানটুলা এলাকার একটি মেসে ও খায়রুল শাবি সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকায় মেসে থাকতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্য ছয় বন্ধুকে নিয়ে তারা বাদাঘাটে বেড়াতে যান। চেঙেরখালে নৌকায় ভ্রমণের সময় অন্য একটি নৌকায় ডাকাতরা এসে অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে। শাবি রেজিস্ট্রার ইসরাফুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে দুই ছাত্রের করুণ মৃত্যুসংবাদে গতকাল শাবিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ভবন ও একটি বাসে ভাংচুর চালায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি করে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত দিনের শোক পালনের দাবি জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে ভিসি ড. সালেহ উদ্দিন তিন দিনের শোক এবং আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেন। বিকেলে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। হামলা ও ছাত্রদের হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আটক করেছে নৌকার মাঝিসহ দু'জনকে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিহতদের স্বজন ও সহপাঠীদের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানান।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল ৫টায় শাবি ছাত্র অনিক, খায়রুল, জোসেফ, অনিকের মেসের আরেক ছোট ভাই সাদ (শাবির সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী), অনিকের ফুপাতো ভাই ঢাকার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজীব ঘোষ ও নিহতদের সহপাঠী তিন ছাত্রী বাদাঘাটে বেড়াতে যান। সেখানে নৌভ্রমণের জন্য তারা ২০০ টাকায় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করেন। নৌকায় পুটিঘাট মুখ এলাকায় গিয়ে ছবি তুলে ফেরার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হঠাৎ তাদের বহনকারী নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে অন্তত ১০ যুবক দেশি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাদের নৌকায় উঠে পড়ে। শুরুতেই তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। বখাটেরা ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের চেষ্টা চালালে ছাত্ররা বাধা দেন। এ সময় মারধরের একপর্যায়ে খায়রুল ও অনিক পানিতে পড়ে তলিয়ে যান।
বেড়াতে যাওয়া জোসেফ সমকালকে বলেন, ডাকাতরা অতর্কিতে নৌকায় উঠে মারধর শুরু করে। ওই সময় আমরা মারধর না করে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করি। তারা আরও বেপরোয়া হয়ে অনিক ও খায়রুলকে পানিতে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় রাজীব, সাদ ও আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমাদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আমাদেরও পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। আমি, রাজীব ও সাদ পানি থেকে তীরে উঠে চিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা নৌকাসহ ওই তিনজনকে ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। পানিতে সাধ্যমতো খোঁজাখুঁজি করেও অনিক ও খায়রুলকে পাওয়া যায়নি। অনিকের ফুপাতো ভাই রাজীব ঘোষ সমকালকে জানান, শুক্রবার রাতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। প্রশাসনের গড়িমসির কারণে এমনটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে খবর শুনে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে গিয়ে অনিক ও খায়রুলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। ঘন কুয়াশা ও ডুবুরি না থাকায় তাদের রাতে উদ্ধার করা যায়নি। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাছ ধরার জাল ফেলে অনিকের ও সকাল পৌনে ১০টার দিকে খায়রুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কান্দিগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন সমকালকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে তিনি শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ডাকাতরা ছাত্রীদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালালে এ ঘটনা ঘটে বলে মাঝির কাছ থেকে জেনেছি।
মালপত্র লুট করতে বাধা দেওয়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত অনিক ও খায়রুলের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী জালালাবাদ থানার এসআই সঞ্জিত দাস জানান, নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। থানার ওসি সেলিম হোসেন সমকালকে জানান, নৌকার মাঝি গুলজার ও বাদাঘাট এলাকার তারেক নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানান তিনি। সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ূয়া সমকালকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ
দুই ছাত্র নিহত হওয়ায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে টায়ারে অগি্নসংযোগ করে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। এ সময় সড়কের উভয় পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা অন্তত ১৫ পথচারীর ওপর হামলা ও একটি টাউন বাসে ভাংচুর চালায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কর্তব্যরত সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিকদেরও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেতে বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিপুলসংখ্যক র‌্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও ব্যর্থ হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ভিসি ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অবরোধ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিল। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়সহ প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি করে। এ ব্যাপারে দফায় দফায় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে শোক মিছিল করবে শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। জাতীয় ছাত্রদল ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন_ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়ন চক্রবর্তী। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শাবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম বলেন, ডাকাতরা নিজেদের স্বার্থ আদায়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে ভিসি ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজপথে নামব।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শাবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক। ডাকাতদের হামলায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন দাবি করে জাফর ইকবাল বলেন, দুই জনের অভিভাবকদের আমরা কী জবাব দেব?
পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর
ময়নাতদন্ত শেষে অনিক ও খায়রুলের লাশ গতকাল বিকেলে পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়। অনিকের লাশ গ্রহণ করেন তার বাবা একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক ঘোষ ও খায়রুলের লাশ গ্রহণ করেন তার বড় ভাই আবু সাঈদ। জালালাবাদ থানার এসআই সঞ্জিত দাস সমকালকে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকেও এজাহার দেওয়া হতে পারে।
'আমার ছেলে ছবি হয়ে গেছে'
ছেলের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুসংবাদ শুনে গতকাল সকালেই ঢাকা থেকে সিলেটে ছুটে যান অনিকের বাবা। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সমকালের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দীপক ঘোষ বলেন, একা থাকতে হবে বলে অনিকের মা সিলেটে পড়ার জন্য তাকে আসতে দিতে চায়নি। আমি জোর করে শাবিতে ভর্তি করিয়েছি। তখন তার মা বলেছিল, আমার অনিকের যদি কিছু হয়, তাহলে তোমাকে ছাড়ব না। এখন তার মাকে আমি কী জবাব দেব? দীপক ঘোষ বলেন, আমার ছেলে বলেছিল মানুষের মতো মানুষ হবে, অথচ সে এখন ছবি হয়ে গেছে। সবশেষ ২৩ নভেম্বর অনিক ঢাকা গিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার তার ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা পেছানোর কারণে যেতে পারেনি।
ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন খায়রুল
খায়রুলের বড় ভাই সমকালকে বলেন, খায়রুলের বুয়েটে পড়াশোনার ইচ্ছা ছিল। সেখানে সুযোগ না পেয়ে এক বছর অপেক্ষাও করে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে শাবিতে ভর্তি হয়। বাবার স্বপ্নপূরণে খায়রুল ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিল বলে জানান সাঈদ। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি মাকে জানাতে চাইনি। পরে টেলিভিশনে দেখে তিনি এখন পাগলপ্রায়।
অনিক-খায়রুলের বন্ধুরা যা বললেন
অনিক ও খায়রুলের মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করেছেন সহপাঠীরা। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী রাসু সমকালকে বলেন, সিলেট একটা বিভাগীয় শহর। তারপরও এখানে কোনো ডুবুরি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে ডুবুরি গেলে হয়তো অনিক ও খায়রুলকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ করেন রাসু। আরেক সহপাঠী আপেল বলেন, প্রক্টর হিমাদ্রী শেখরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সবার পদত্যাগ চাই। হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বর্জন ও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অবরোধ কর্মসূচি চলবে। সহপাঠী রাজীব আহমেদ বলেন, সর্বশেষ শুক্রবার সকালে খায়রুল ও অনিকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ক্যাম্পাসের সামনে কফি হাউসে আড্ডায় খায়রুল জেমসের 'বাংলাদেশ' গানটি গেয়েছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.