শীতে দূরে যেতে-খুশির খাগড়াছড়ি by মোঃ হানিফ

পুরো জেলা পাহাড় ও ঝরনায় ঘেরা। এখানে বাস করে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্গ্যা, মুরং, বম, পাংখো, লুসাই, চাক, খ্যাং ও খুমী সম্প্রদায়ের লোকজন। ১১টি ভিন্ন ভাষাভাষী এসব আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলেমিশে বাস করে বাঙালিরাও। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলা...। প্রিয় চট্টগ্রামের ধারাবাহিক আয়োজনের আজকের পর্বটি সাজানো হলো পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি নিয়ে। চট্টগ্রাম মহানগর থেকে ১০৯ কিলোমিটার দূরে খাগড়াছড়ি।


কখনও উঁচু, আবার কখনও নিচু পথ পেরিয়ে তবেই এখানে আসতে হয়। সর্পিল পাহাড়ি পথে এগোতেই চোখে পড়বে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী। আর আদিবাসীদের বর্ণিল জীবনযাত্রা মুহূর্তেই আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের আওতাধীন। বংশানুক্রমে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন মং রাজা। জনশ্রুতি আছে, চেঙ্গী নদীর পাড় কিংবা জেগে ওঠা চরে ছোট আখের মতো একপ্রকার সরু লম্বা আখ জন্মাত। স্থানীয়দের ভাষায় যা পরিচিত ছিল খাগড়ানল হিসেবে। খাগড়ানলের পাশেই ছিল ছড়া। খাগড়ার সঙ্গে ছড়া যোগ হয়ে এটি পরিচিতি পায় খাগড়াছড়ি।
যেভাবে যাবেন
নগরীর অক্সিজেন বাস টার্মিনাল থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যায় চেয়ার কোচ। লোকাল কিংবা সরাসরি যে কোনো বাসেই উঠতে পারেন। তবে লোকালে গেলে সময় একটু বেশি লাগবে। আবার ডাইরেক্ট গেলে ভাড়াটা একটু বেশি গুনতে হবে। অক্সিজেন থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়ার বাস ভাড়া ১৭০ টাকা, লোকাল ৮৫ টাকা।
দেখার যা আছে

খাগড়াছড়িতে দেখার অনেক কিছু রয়েছে। তবে হাতে দু'একটা দিন না থাকলে অনেক স্পটে যাওয়া সম্ভব হবে না।
রাজবাড়ি : খাগড়াছড়ির প্রবেশপথে আপনাকে স্বাগত জানাবে মানিকছড়ির সবুজের সমারোহ। উপজেলাটি খুবই সুন্দর। চাষবাস ও পশুপালন উপজেলাবাসীর প্রধান জীবিকা। এখানে এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মং সার্কেল চিফের (মং রাজা) রাজবাড়ি। একাত্তরে তৎকালীন রাজা মং প্রু সাইন চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিলেন। মুক্তিকামী মানুষের অন্যতম আশ্রয়স্থল ছিল এ রাজবাড়ি। প্রত্নতাত্তি্বক দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এর স্থাপত্যশৈলীও চমৎকার।
ঠাণ্ডা ছড়া : খাগড়াছড়ি সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঠাণ্ডা ছড়া। শহরের দীঘিনালা সড়কের আড়াই মাইল কৃষি গবেষণার উল্টোদিকে খাগড়াছড়ি আদর্শ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পাঁচ মিনিট হেঁটে গেলে পড়বে ছোট্ট একটি নদী। হাঁটু পানির এ নদী ধরে পূর্বদিকে আরও পাঁচ মিনিট হাঁটলে ডানদিকের পাহাড় থেকে পড়বে ছোট্ট ছড়া। ধীরগতিতে সতর্কভাবে ছড়ার ভেতর ঢুকতে হবে। ছড়ার শেষ মাথায় পেঁৗছতে প্রায় তিন ঘণ্টা লাগবে। তাই পুরো ছড়াটি দেখতে হলে সকালেই সেখানে যেতে হবে এবং সঙ্গে অবশ্যই দুপুরের খাবার নিতে হবে। তবে ছড়ায় ঘণ্টাখানেক হাঁটার পর দেখা যাবে এর দু'দিক থেকে শাখা বেরিয়েছে। এ ছড়ার বিশেষত্ব হলো, গরমের দিনেও এ ছড়ার পানি বরফের পানির মতো ঠাণ্ডা থাকে। তাই এর নাম ঠাণ্ডাছড়া!
রামগড় ঝুলন্ত সেতু ও বিজিবির জন্মস্থান :জেলা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রামগড়ে জন্ম হয়েছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। এর পাশেই রয়েছে সুদৃশ্য ঝুলন্ত সেতু। দেশের সীমান্তবর্তী এ উপজেলাকে অনেকে তুলনা করেন ইউরোপের সঙ্গে। এখানে থাকা বোটানিক্যাল গার্ডেন, চা বাগান, কৃত্রিম লেক ও ফেনী নদীর রূপবৈচিত্র্য পর্যটকদের দারুণ আনন্দ দেয়।
চা বাগান : জেলার রামগড় সীমান্তের গা ঘেঁষে খাগড়াছড়ি-ফেনী সড়কের দু'ধারে গড়ে উঠেছে বিশাল চা বাগান। শীতে পিকনিক পার্টির দল ভিড় জমায় এখানে। এখানে এলে পর্যটকরা বুঝতে পারবেন না তারা খাগড়াছড়ি আছেন, না সিলেটে!
দুই টিলা ও তিন টিলা পাহাড় : জেলা সদর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও মারিশ্যা রাস্তার পাশে দুই টিলা ও তিন টিলা পাহাড়ের অবস্থান। পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে মনে হবে, চারদিক যেন সবুজ নরম কার্পেটে মোড়া। পাহাড়জুড়ে রয়েছে পাইন, দেবদারু, গর্জন, সেগুন, মেহগনিসহ নানা জাতের গাছ। রয়েছে টিয়া, ময়না, ম্যাগপাই, দাঁড়কাক, বনমোরগসহ হরেক প্রজাতির বন্য প্রাণী। এলাকাটি পশু-পাখির অভয়ারণ্য। মাঝে মধ্যে এখানে বাঘ-ভালুকের দেখাও পাওয়া যায়!
দেবতা পুকুর : মহালছড়ি যাওয়ার পথে পড়বে মাইসছড়ির নুনছড়ি। জেলা সদর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে এ এলাকায় রয়েছে দেবতা পুকুর। পাঁচ একর আয়তনের এ পুকুরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৭০০ ফুট ওপরে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। আশ্চর্যের বিষয়, এ পুকুরের পানি সারাবছর একই রকম থাকে। অর্থাৎ পানি কমেও না, আবার বাড়েও না! এ কারণে স্থানীয়দের বিশ্বাস, এ পুকুর দেবতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ মানত করে এখানে পূজা দিতে ছুটে আসে।
রিছাং ঝরনা : একে একে সবুজ পাহাড়ের নীল ঢেউ এসে মিলেছে ঝরনার বুকে। সেই মিলনরেখার প্রান্তেই বৈচিত্র্যভরা রিছাং ঝরনার অবস্থান। এ ঝরনা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত তেরাং তৈ কালাই নামে।
মাটিরাঙার আলুটিলার রিছাং ঝরনা দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে সকাল কিংবা বিকেল। খাগড়াছড়ি সদর থেকে আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তবেই এখানে আসতে হবে। পথে পড়বে লাল মাটির রাস্তা। দূরের উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড়, বুনো ঝোপ ও ফুল ভ্রমণকালে আপনাকে প্রচুর আনন্দ দেবে। আর যখন ঝরনায় পেঁৗছবেন তখন অন্য এক অনুভূতিতে ভরে যাবে দেহ-মন। হাজার ফুট উঁচু থেকে অবিরাম ধারায় নেমে আসা জলরাশি মুহূর্তে আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে। এখানে যে কোনো মুহূর্তে চোখাচোখি হয়ে যেতে পারে হনুমান কিংবা বানরের সঙ্গে। মন ভালো থাকলে দেখতে পারবেন তাদের নাচও। স্থানীয় অধিবাসী নেলী মজুমদার জানালেন, ভাগ্য ভালো থাকলে এখানে হরিণ এবং হাতির দেখাও পাওয়া যায়। আর শীতে এখানে আসে অতিথি পাখির দল।
ভগবান টিলা : মাটিরাঙার তাইন্দং সীমান্তে অবস্থিত ভগবান টিলা জেলা সদর থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় এক হাজার ৬শ' ফুট উঁচুতে এ টিলার অবস্থান। জনশ্রুতি আছে, 'এ উঁচু টিলায় দাঁড়িয়ে ডাক দিলে স্বয়ং ভগবানও শুনতে পান!' তাই স্থানীয় লোকজন এর নাম দেয় 'ভগবান টিলা'। এর সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে দাঁড়ালে নিজেকে মনে হবে অস্তিত্বশূন্য। কথিত আছে, 'এ পাহাড়ের কোনো এক জায়গায় ছবি তুলে ছাপানোর পর কিছুই দেখা যায় না!' এ টিলায় যাওয়ার আগে তাইন্দং বিডিআর ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিতে হয়।

আলুটিলার রহস্যময় গুহা : খাগড়াছড়ি শহরে প্রবেশ করতেই পড়বে আলুটিলা। এখানে রয়েছে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে দেখা যাবে, আদিবাসীদের ছোট ছোট মাচাং ঘর, পাখির কলকাকলী, নানা রঙের ফুল ও পাহাড়ের বুক চিরে স্বচ্ছ জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দে বয়ে চলা।
খাগড়াছড়ি এসেছেন কিন্তু আলুটিলার সুড়ঙ্গ বা রহস্যময় গুহা দেখা হয়নি, তাহলে ধরে নিন আপনার সফরের অর্ধেকই অপূর্ণ রয়ে গেছে। পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলেই পড়বে রহস্যময় এ গুহা। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮২ ফুট। গা ছমছম করা অনুভূতি নিয়ে সুড়ঙ্গ দিয়ে নামার সময় মনে হবে যেন পাতালে চলে যাচ্ছেন। গুহার ভেতর শুনতে পাবেন, ঝিরঝির পানি পড়ার শব্দ। দেখতে পাবেন স্বচ্ছ পানিতে ছোট ছোট মাছের ঝাঁকের ভেসে বেড়ানো। শীতে দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে নয়নাভিরাম আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। আলুটিলার চূড়া থেকে পুরো খাগড়াছড়ি শহর দেখা যায়।
শতবর্ষী বটগাছ : মাটিরাঙ্গার আলুটিলার কাছাকাছি ১০ নম্বর এলাকায় রয়েছে শতবর্ষী বটগাছ। গাছটি শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয়, যেন দর্শনার্থীদের জন্য আশ্চর্য এক বস্তু। মূল গাছ থেকে নেমে আসা প্রতিটি ঝুরি কালের পরিক্রমায় পরিণত হয়েছে একেকটি বটবৃক্ষে। ঝুরিমূল থেকে সৃষ্ট প্রতিটি গাছ মূল গাছের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সন্তানের মতো। জনশ্রুতি আছে, এ বটগাছের নিচে বসে যিনি শীতল বাতাস লাগাবেন তিনিও শতবর্ষী হবেন!

হেরিটেজ পার্ক : খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশদ্বারে চেঙ্গি নদীর তীরে আনসারদের প্রশিক্ষণ একাডেমীর পাশে গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পট হেরিটেজ পার্ক। পার্কজুড়ে আছে নানা প্রজাতির ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ। রয়েছে রেস্টুরেন্ট ও কৃত্রিম ঝরনা।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্র : জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। সবুজের ছোঁয়া পেতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে আসে। কেন্দ্রের ভেতর রয়েছে লেক ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। লেকের ওপর রয়েছে ছোট্ট সেতু। লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে বোট।
তৈদুছড়া ঝরনা : দীঘিনালায় অবস্থিত পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ তৈদুছড়া ঝরনা। অনেকের দাবি, এটি দেশের সর্ববৃহৎ ঝরনা। শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দীঘিনালার জামতলি পোমাংপাড়া হয়ে যেতে হয় এ ঝরনায়। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পাহাড়ি আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু মেঠো পথ মাড়িয়ে যাওয়া খুব কষ্টের। এ ঝরনার অনতিদূরে রয়েছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত।
ত্রিপুরা অধ্যুষিত তৈদুছড়া ঝরনা এলাকায় জনবসতি একেবারেই কম। প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকার চারদিকে শুধুই পাথরের পাহাড় আর ঝরনা। দুর্গম এলাকা ও যাতায়াত সুবিধা না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও অনেকেরই এখানে যাওয়া হয়ে ওঠে না।
শিবছড়ি পাহাড় : দীঘিনালা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে শিবছড়ি পাহাড়। বোয়ালখালী নদী, পাহাড়ি ঝরনা, ছড়া ও গভীর অরণ্য পেরিয়ে তবেই পেঁৗছতে হবে এখানে। এলাকাটি নির্জন, যাতায়াতেরও ভালো ব্যবস্থা নেই। পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে ১১ হাত লম্বা ও ৩৯ হাত চওড়া দুটি সর্পাকৃতির কৃষ্ণের শিলা আসন। সেখানে গরু আকৃতির দুটি বাহনও দেখা যায়। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ত্রিপুরা।
হাতির পাহাড় : খাগড়াছড়ির পেরাছড়া গ্রামে অবস্থিত পাহাড়টি দেখতে হাতির মতো। কয়েকটি ছোট ছোট পাহাড় পার হয়ে ৩০-৩৫ ফুট উচ্চতার এ পাহাড়ে উঠতে হয় বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে। বাঁশের সিঁড়িতে ওঠা মানে হাতির শুঁড়ের ওপর ওঠা। আর সামনে চলা মানে শুঁড় বেয়ে হাতির মাথায় অর্থাৎ পাহাড়ের মাথায় ওঠা।

অরণ্য কুটির : জেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পানছড়িতে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান অরণ্য কুটির। প্রায় ৩শ' একর পাহাড়ি এলাকা নিয়ে নির্মিত এটি দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার। এখানে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ৪০ ফুট উঁচু গৌতম বুদ্ধের আবক্ষ মূর্তি।

চাইন্দামুনি বৌদ্ধ বিহার : খাগড়াছড়ির গুইমারায় রয়েছে ১২৫ বছরের পুরনো চাইন্দামুুনি বৌদ্ধ বিহার। প্রতিবছর এখানে তিন দিনব্যাপী বুদ্ধমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

নিসর্গ মারমা ঘর : খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় নিসর্গ মারমা ঘর। এখানে লেকের পাশে মিনি চিড়িয়াখানা ও বাগান পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। রাতযাপনের সুব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
আর যা আছে
খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে আরও অনেক কিছু। মহালছড়ির হ্রদ, দীঘিনালার বড়াদম দীঘি, আলুটিলা সাংকসস নগর ধাতু চৈত্য বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুর আর্য বন বিহার, খাগড়াছড়ি শাহী জামে সমজিদ. দীঘিনালা বন বিহার, মানিকছড়ির আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র এর মধ্যে অন্যতম।
থাকতে পারেন যেখানে
খাগড়াছড়ি সদরে রয়েছে মোটেল ও ছোট-বড় বেশকিছু হোটেল। বাজেট অনুযায়ী আপনি বেছে নিতে পারেন এর একটি। এ ছাড়া রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশ্রামাগার। জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেলে উঠতে পারেন সার্কিট হাউসেও। আলুটিলায় রাতযাপন করার পরিকল্পনা থাকলে আগেভাগে বুকিং দিতে পারেন ইমাম রিসোর্টে।
প্রয়োজন সাবধানতাও
খাগড়াছড়ি ঘুরে বেড়ানোর সময় অযথা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে কথা না বলাই সমীচীন। সঙ্গে সব সময় জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। ভ্রমণকালে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী ও বিডিআর সদস্যদের ভয় না পেয়ে তাদের সহায়তা করুন। কারণ আপনার ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করতে তারা সক্রিয় রয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.