রিহ্যাব ফেয়ার-বসুন্ধরার স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড়

রিহ্যাব মেলার দ্বিতীয় দিনে বসুন্ধরার স্টলে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় মধ্য আয়েরসহ বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতারা এ স্টলে এসে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আবার অনেকে প্লটও বুকিং দিচ্ছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২০টি প্লট মেলা থেকেই বুকিং দিয়েছেন ক্রেতারা। সারা দিনই এ স্টলে ভিড় ছিল। বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) আক্তারুজ্জামান লিখন জানান, মেলার দ্বিতীয় দিনে দুপুর পর্যন্ত বসুন্ধরা বারিধারা


প্রকল্পের ২০টি প্লটের বুকিং দিয়েছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া আরো অনেকেই আসছেন_যাঁরা বসুন্ধরা বারিধারা প্রকল্পের ব্যাপারে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি জানান, রাজউক অনুমোদিত বসুন্ধরা বারিধারা প্রকল্পের বিভিন্ন লোকেশনেও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। মেলা উপলক্ষে এ প্রকল্পে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কাঠাপ্রতি দুই লাখ টাকা। এ ছাড়া প্লট বুকিং দিলেই উপহার হিসেবে এলইডি টিভি এবং ল্যাপটপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, 'সুবিধাজনক স্থান, যাতায়াতে সুবিধা, মনোরম পরিবেশ এবং তুলনামূলক কম দামের কারণে আমাদের প্লটের ব্যাপারে ক্রেতারা বেশ আগ্রহী। ছুটির দিন হওয়ায় বেশ ভিড়।' আরো অনেকেই বুকিং দেবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেলায় আগত সরফরাজ আলী নামের একজন দর্শনার্থী এবং আগ্রহী ক্রেতা বলেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপ আবাসন শিল্পে অনেক পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী নাম। তাই প্লট বা ফ্ল্যাট যা-ই হোক না কেন, মানুষ আগে বসুন্ধরার কথা চিন্তা করে। আমিও প্লট কিনব বলে ভাবছি। তাই বসুন্ধরার স্টলে এসে খোঁজ নিচ্ছি। দাম শুনে মনে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের জন্য বেশ ভালো অফার রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি এবার মধ্যবিত্তদের জন্য বসুন্ধরা গ্রিনসিটি নামের একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এ প্রকল্পের অধীনে বসুন্ধরা যে প্লট বিক্রি করছে, তা মধ্যবিত্তদের সম্পূর্ণ নাগালের মধ্যে। সাভারের হেমায়েতপুরে ধলেশ্বরী নদীর তীরে এ প্রকল্প ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) আওতামুক্ত। মেলা উপলক্ষে দীর্ঘমেয়াদি এবং সহজ কিস্তিতে কম দামে ক্রেতাদের কাছে বিভিন্ন আকারের প্লট বিক্রি করা হচ্ছে। আরো বিভিন্ন লোকেশনে বসুন্ধরার প্লট বরাদ্দ চলছে।
সব আয়ের মানুষের জন্য প্রবাসী পল্লী : রিহ্যাব মেলায় ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে দেখছেন পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধাগুলো। প্রবাসী পল্লী গ্রুপের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) সিকদার মোহাম্মদ আরিফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার খুব কাছে বনানী থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী আবাসিক প্রকল্প। প্রকল্পটিতে প্রবাসীদের আবাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী, নিম্ন আয়, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের জন্য রয়েছে সমান সুযোগ। এ ছাড়া সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, মিডিয়া, আইনজীবী ও সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য রয়েছে প্রবাসী পল্লীর তৃতীয় প্রকল্প পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্প। প্রবাসী পল্লী গ্রুপের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে : প্রবাসী পল্লী স্যাটেলাইট টাউন, সিলেটে প্রবাসী পল্লী স্যাটেলাইট সিটি, কঙ্বাজারে প্রবাসী পল্লী ইনানী রিসোর্ট, হযরত শাহজালাল গ্রিন সিটিসহ আরো কয়েকটি প্রকল্প।

No comments

Powered by Blogger.