রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হলো 'মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম by রফিকুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে 'মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম' নামকরণ করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নামকরণ করা হয়। গতকাল শনিবার থেকে জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭৯ বছর পর রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হলো। রাজশাহী জেলা স্টেডিয়াম সূত্র মতে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য


রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম নামে নামকরণ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটির ২৬ নম্বর সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আবারও প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ওই সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম নামে নাম করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর ওই সভায় সিদ্ধান্তটি পাস হলে সেটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠানো হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত ২০ নভেম্বর ওই প্রস্তাবনাটি পাস করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এত বলা হয়, রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকেও ওই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্রমতে, প্রজ্ঞাপনটি গত ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর গতকাল শনিবার থেকে রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনকাজ শুরু হয়। এর মাধ্যমে রাজশাহী জেলা স্টেডিয়াম এখন থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম নামে পরিণত হলো।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ শামসুল হুদা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এটি বাস্তবায়নে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি।' তিনি আরো বলেন, এ স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তনের জন্য রাজশাহীবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু এত দিন সেই দাবি উপেক্ষিত হয়ে এসেছে। অবশেষে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ওই দাবিটি বাস্তবায়ন করা হলো। এটি সত্যিই গর্বের বিষয়।

No comments

Powered by Blogger.