মিসর ফের উত্তাল-নিহত ৮, আহত ৩০০ ওরা প্রতিবিপ্লবী :প্রধানমন্ত্রী

সেনা শাসনের অবসানের দাবিতে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল ছিল মিসর। শুক্রবারের মতো শনিবারও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবারের সংঘর্ষে আট জন নিহত ও অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছে। খবর এএফপি ও আল জাজিরা অনলাইনের। মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবারের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট


জনে পেঁৗছেছে, আহত হয়েছে ২৯৯ জন। প্রাথমিকভাবে শুক্রবার তিন জন নিহত ও ২৫৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কামাল আল গানজুরি বিক্ষোভকারীদের গণবিপ্লববিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, তাহরির স্কয়ারে যারা অবস্থান নিয়েছে তারা সেই বিপ্লবী তরুণ নয়। বিক্ষোভকারীরা দেশের ভালো চায় না মন্তব্য করে শনিবার তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি বিপ্লব নয়, প্রতিবিপ্লব। সেনাবাহিনী গুলি ছুড়েনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত মাসে নিয়োগ পান গানজুরি। বিক্ষোভকারীরা তার নিয়োগেরও বিরোধিতা করছে। তার অপসারণের দাবিতে তারা মন্ত্রিপরিষদ অফিস ভবনের সামনে গত মাস থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
শুক্রবারের রেশ ধরে শনিবারও রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে হোসনি মোবারকের পতনের পর অস্থায়ী দায়িত্ব নেওয়া সেনাবাহিনীর এখনও ক্ষমতা না ছাড়াই এ বিক্ষোভের কারণ। শুক্রবারের সংঘর্ষ ও হতাহতের পর শনিবারও বিপুলসংখ্যক মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। আগের দিনের মতোই তাদের ওপর চড়াও হয় সেনাবাহিনী। মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক সেনা ও পুলিশ। মন্ত্রিপরিষদ অফিস ও পার্লামেন্ট ভবনের সামনের চত্বরসহ পাশের তাহরির স্কয়ার থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে জায়গাটির দখল নিতে শনিবার সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু করে সেনা ও পুলিশ বাহিনী। বন্ধ করে সব প্রবেশপথ। এতে কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার এক বিক্ষোভকারী জানান, সেনারা তাকে আটক করে মারধর করেছে। অবস্থান ধর্মঘট পালনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর দিকে পাথর ছুড়ে মারতে থাকে। এতে সেনা ও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর হাতে নারীরা মারধরের শিকার হওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়লে আরও বিক্ষুব্ধ হয় বিক্ষোভকারীর। গত নভেম্বরেও দেশটিতে পাঁচ দিনব্যাপী বিক্ষোভে নিহত হয়েছিল অন্তত ৪০ জন।

No comments

Powered by Blogger.