‘প্রকাণ্ড ধূমকেতুর আঘাতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী’

প্রকাণ্ড একটি ধূমকেতু দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে পৃথিবীর দিকে। অচিরেই ধূমকেতুটির খণ্ডিত অংশগুলো আঘাত হানবে বিশ্বকে, বিলুপ্ত হবে গোটা মানবজাতি। সকল প্রাণের বিনাশ ঘটবে। কারণ, পৃথিবীর সব পরমাণু বোমার শক্তির চেয়ে হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হবে এ আঘাত। ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টস অব দ্য গডস’ গ্রন্থের লেখক গ্রাহাম হ্যানকক। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত বইটি সারা বিশ্বে ৩০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল। আলোড়ন জাগানো গ্রন্থটির লেখক দাবি করছেন, আমাদের এ বিশ্ব ধ্বংসের মুখে। একটি প্রকাণ্ড ধূমকেতু এসে আঘাত হানবে আমাদের ছোট্ট বাসযোগ্য এ গ্রহটিকে এবং ধ্বংস হয়ে যাবে মানব সভ্যতা, সকল প্রাণের বিলুপ্তি ঘটবে। বিতর্কিত ওই লেখকের লেখা নতুন একটি গ্রন্থে দুই বিজ্ঞানীর একটি তত্ত্বের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হচ্ছে, মহাশূন্যে বিশালাকায় একটি ধূমকেতুর কয়েকটি খণ্ড উল্কার মেঘের আড়ালে পৃথিবীর দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিরর। গ্রাহাম হ্যানকক তার নতুন বইয়ে দাবি করেছেন, আমাদের পৃথিবীর পূর্ববর্তী ও বিলুপ্ত সভ্যতার রেখে যাওয়া আগাম ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ সতর্কবাণী বলছে যে, অচিরেই পৃথিবীর ওপর আঘাত হানবে একটি ধূমকেতু। সে সময়ের বিলুপ্ত মানবজাতিকে তিনি ‘জাদুকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তুরস্কের ঐতিহাসিক প্রততাত্ত্বিক স্থান গোবেকলি টেপের শিল্পকর্মগুলোতে সে ইঙ্গিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন গ্রাহাম। তিনি বলেন, এই জাদুকররা আমাদের জন্য একটি বার্তা রেখে গেছেন। এ বার্তাকে তিনি ‘সরাসরি ও জরুরি সতর্কবাণী’ বলে উল্লেখ করেছেন। গ্রাহাম বলছিলেন, যা পূর্বে ঘটেছে, তা পুনরায় ঘটতে পারে। তাদের জগৎকে যা ধ্বংস করে দিয়েছিল, তা আমাদের জগৎকেও ধ্বংস করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিশ্ব ভয়াবহ এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। বিশ্বের প্রতিটি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের চেয়েও হাজার গুণ ভয়ঙ্কর হবে ধূমকেতুর এ আঘাত। তিনি বলেন, একটি ধূমকেতুর অবশিষ্ট এ খ-গুলোর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে সব প্রাণের সংহার ঘটবে। গ্রাহাম বলেন, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ভিক্টর ক্লুব ও জ্যোতির্বিদ বিল ন্যাপিয়ার বিশ্বাস করেন, আজ থেকে ১২ হাজার ৮০০ বছর আগে প্রকা- যে ধূমকেতুটি আঘাত হেনেছিল, এটি সেই ধূমকেতুরই খণ্ডিত অবশিষ্টাংশ। গ্রাহাম হ্যানকক দাবি করেন, ১২ হাজার ৮০০ বছর আগে অ্যান্টার্কটিকায় ধূমকেতুটি আঘাত হানার পর অত্যন্ত উন্নত একটি মানব সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটে। চাকা আবিষ্কারের বেশ কয়েক হাজার বছর আগের ঘটনা এটি।

No comments

Powered by Blogger.