আউটার স্টেডিয়াম বরাদ্দ না দেয়া ষড়যন্ত্র ॥ by খসরু খালেদার মহাসমাবেশ

চট্টগ্রামে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাসমাবেশ যেন বিশাল আকারে হতে না পারে সে জন্য ষড়যন্ত্র শুরম্ন করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই মহাসমাবেশের জন্য চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরম্ন মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিরোধী দলের বাকশক্তি বন্ধ করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যাবে না। সরকার নানাভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের কর্মসূচীতে বাধা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর এবং চট্টগ্রাম উত্তর ও দণি জেলা বিএনপি আহূত সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরম্ন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আউটার স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের লালদীঘি মাঠে যেতে হচ্ছে। অথচ বিএনপির মহাসমাবেশ ধারণ করার মতা এ মাঠে নেই। তিনি বলেন, বিএনপি এ মহাসমাবেশ হবে চট্টগ্রামে স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরম্ন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে বিবেচনায় দলীয় চেয়ারপার্সনের প্রথম সমাবেশের জন্য চট্টগ্রামকে বেছে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঐতিহাসিক এই দিনে চট্টগ্রামে বিএনপি সমাবেশ করম্নক সরকার তা চায় না। সে কারণে ওইদিন মহাসমাবেশ করতে চাইলেও অনুমতি দেয়া হয়নি। বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল এবং শহীদ জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা দাবি করে তিনি বলেন, এ জন্য কোন প্রকার সংঘর্ষের রাজনীতিতে না গিয়ে বিএনপি ২৯ মার্চ লালদীঘিতে মহাসমাবেশ করবে। আউটার স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি না দেয়ার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন, এ মাঠ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাধীন হলেও সেনাবাহিনী সরকারেরই একটি অঙ্গ। সুতরাং আমরা এটিকে সরকারের ষড়যন্ত্রই মনে করি। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, আগামী ২৭ মার্চ মহাসমাবেশের দিন ধার্য করে আউটার স্টেডিয়াম বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব থেকে চট্টগ্রাম সিটি কপের্ারেশন স্কাউটিংয়ের জন্য আউটার স্টেডিয়াম বরাদ্দ নেয়। পরবতর্ীতে আমরা ২৯ মার্চ চাইলেও প্রশাসন থেকে দেয়া হয়নি। আউটার স্টেডিয়ামে যাতে বিএনপির সমাবেশ করতে না দেয়ার জন্য সরকার সকল প্রকার চেষ্টা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আমীর খসরম্ন সরকার ও সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করম্নন, কোন দলের ক্যাডার হিসেবে নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম দণি জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরম্নল ইসলাম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, বিএনপি নেতা দসত্মগীর চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন চৌধুরী, এসএম ফজলুল হক, ডা. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক শেখ মোঃ মহিউদ্দিনসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.