১৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল ঘেরাওয়ের ঘোষণা- সাঈদীর রায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থানের পরিকল্পনা

সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চলমান আন্দোলন আজ সপ্তাহ গড়ালো। গতকাল আগের মতোই সকাল সাড়ে আটটার দিকে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
শুরু হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লেøাগান। বাম ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের একটি সূত্র জানায়, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ জন্য বাম ছাত্রসংগঠন এবং ছাত্রলীগের সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাঈদীর রায় ঘোষণা করা হবে। সেদিনই ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও করা হবে। গতকাল প্রতিবাদ  মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এ দিকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশ থেকে টাকা দেয়ার লোকজন অপেক্ষা করছে বলে জানান আন্দোলনের নেতা ব্লগার ডা: ইমরান। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের খাবার সুষ্ঠুভাবে সরবরাহের জন্য আজ সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি বক্স স্থাপন করা হবে। এখান থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে। আন্দোলনকারীদের যারা খাবার নেবেন তারা সাধ্যমতো সামান্য টাকা দিয়ে খাবার নেবেন বলে তিনি জানান।

বামদের নিয়ে কমিটি : শাহবাগের আন্দোলন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন ছাত্রলীগ, (জাসদ) ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীসহ কয়েকটি সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদক ও বেশ কয়েকজন ব্লগার। এ ছাড়া কমিটির পরামর্শক হিসেবে রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন সম্মিলিতি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, টিভি ব্যক্তিত্ব অঞ্জন রায়, বাম নেতা জোনায়েদ সাকি। কমিটিতে ডা: ইমরান এইচ সরকার ছাড়া আরো কয়েকজন ব্লগার রয়েছেন।

আন্দোলনের প্রধান নেতা ব্লগার ইমরান এইচ সরকার জানান, ‘প্রথমে কয়েকজনের চাঁদার টাকা দিয়ে ব্যানার, মাইক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ সংস্থান করা হয়। এরপর আন্দোলনের প্রথম দিন উপস্থিত লোকদের থেকে ১৪ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দিন ৪৫ হাজার টাকা নেয়া হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমও টাকা ও খাবার সরবরাহ করেছে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অবস্থা এমন যে, খাবারের কোনো সঙ্কট নেই।’ তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে অনেকে আর্থিক সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করছে। তবে আপাতত আমরা নিচ্ছি না। আন্দোলন জোরদার হলে অর্থের প্রয়োজন হবে। তখন আমরা টাকা নেবো।

No comments

Powered by Blogger.