নারীদের কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন হচ্ছে না ॥ by মুহিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নারীদের কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। কাজের মূল্যায়ন করা হলে নারীরা উন্নয়নের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে চলে আসতে পারতেন।
কিন্তু এ মূল্যায়ন কোন একক দেশের পৰে সম্ভব নয়। এটি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই প্রতিটি দেশেই নারীর কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। 'নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে শক্তিশালী করি সংগঠকদের পেশাদারী দক্ষতা-দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করি' এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত 'জাতীয় পরিষদ সভা ২০১০'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম। সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও সহসভাপতি ড. শাহানারা হোসেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিষদের সাবেক সভাপতি হেনা দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের নারীরা আজ অনেক স্বাধীন। শুধু রাজধানী পর্যায়ে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাধীনতার এ ডাক চলে গেছে। নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করাসহ তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে পারছেন। এর ফলেই দেশে আজ মৌলবাদী চক্র (ফতোয়াবাদীরা) সক্রিয় হয়ে উঠছে। এসব মৌলবাদীর বিরুদ্ধে নারী সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাতীয় মহিলা পরিষদের আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পার অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মহিলা পরিষদের পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এগুলো_ গৃহিণীপনা কাজে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা। শ্রমিকদের সমমজুরী নিশ্চিত করা। উত্তরাধিকারের ৰেত্রে সমতা আনয়ন করা। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার জন্য জোরালো উদ্যোগ নেয়াসহ মৌলবাদ মোকাবেলায় জোড়ালো ভূমিকা নেয়া। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আগামী এক বছর কাজ করলে নারীর স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে আয়শা খানম বলেন, নারীর অধিকার, মর্যাদা এবং আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধিকরাসহ নির্যাতন এবং জুলুম বন্ধ করতে সবার আগে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ আইন করে নারী নির্যাতন বন্ধ করা যায় না। এটি বন্ধ করতে হলে সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন করা খুবই জরুরী।
মালেকা বানু বলেন, দেশে নারী নির্যাতনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি রোধে সরকারকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের কারণে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এটি প্রতিরোধে নারী-পুরুষ সকলের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.