ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দামুড়হুদায় যুবলীগের ২ গ্র“পে সংঘর্ষে আহত ৭

ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে জেলার দামড়হুদায় যুবলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে দুই দিনে সাতজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন য্বুলীগ সদস্য ভুসিমাল ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেন ও সার ব্যবসায়ী রবি, জাহিদুল মেম্বার, কামরুল বাশার।
আহত মোশারফকে ঢাকা মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়েছে। এরই জের ধরে গতকাল রোববার যুবলীগের ইউসুফ গ্র“প দামুড়হুদা বাজারে হামলা চালিয়ে একটি ট্রাক ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। তারা পুলিশের সাথেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে দামুড়হুদা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি দুই ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এই হামলার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার যুবলীগ নেতা জাহিদুুল গ্রুপ ও যুবলীগ নেতা ইউসুফ গ্রুপের মধ্যে ভিজিডি কার্ড ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে রেষারেষি চলছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় জাহিদুল ও তার লোকজন দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে ইউসুফ গ্রুপ থানায় ঢুকে জাহিদুুলের ওপর চড়াও হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে জাহিদুল মেম্বার ও কামরুল বাশারসহ  পাঁচজন আহত হন। এ সময় পুলিশ দুই গ্রুপকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র কারে শনিবার রাত ৯ টায় জাহিদুল গ্র“পের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দামুড়হুদা বাজারে হামলা চালিয়ে মোশারেফ হোসেন ওরফে মুসা (৫০), রবিউল ইসলাম ওরফে রবিকে (৪৫) কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন আহত দুইজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ৯টার দিকে ইউসুফ গ্র“পের লোকজন দামুড়হুদা বাজারে হামলা চালিয়ে একটি ট্রাক ও দোকান ভাঙচুর করে। পরে দোকান মালিক সমিতির লোকজন একত্র হয়ে যুবলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত মোশারফের ভাই এম নুরন্নবী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দেউলী গ্রামের ইসরাফিল (৫৫), এরশাদ (২৮) ও বদর উদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.