সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস খসড়া এরশাদের প্রত্যাখ্যান

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ খসড়াকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মহাজোটের শরিক দল ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তার দল বলেছে, ৮৭টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করাতে আসনগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাস সীমাহীন অসঙ্গতি ঘটিয়েছেন। আর ৮৭টি আসন সীমানা তছনছ করে নতুন করে বিন্যাস করে গত বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: গোলাম হাবিব দুপুরে এ চিঠি জমা দেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। ওই খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৮৭টি আসনের এলাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে। যা ১৯৭৬ সালের দ্য ডিলিমিটেশন অব ক্রস্টাসিয়াস ডেলিভারড-এর ৬ ধারার ২ উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার উল্লেখ করেছে। এ ৮৭টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করাতে আসনগুলোর সীমা পুনর্বিন্যাস সীমাহীন অসঙ্গতি ঘটিয়েছেন। ফলে বিভিন্ন দল ও প্রার্থীর আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘোরতর সমস্যার সৃষ্টি হবে। এমন অবস্থায় জাতীয় পার্টি এ সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি গভীর গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। উদ্ভূত সমস্যাগুলো আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়েছে।

এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টি সীমানা পুনর্বণ্টনের খসড়া তালিকা প্রত্যাখ্যান করছে। আগের সীমানা বহাল থাকলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সময়মতো এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। জাতীয় পার্টি আশা করছে, সীমানা পুনর্বণ্টনের প্রস্তাবনা পরিহার করে আগের সীমানাকেই বহাল রাখা হবে।

No comments

Powered by Blogger.