সাঁতারে নির্বাচিতদের স্বপ্নভঙ্গ

ফোরাম সমর্থনে একক প্যানেল হয়ে সাঁতার ফেডারেশনে যারা সমঝোতায় স্বপ্নের বীজ রচনা করছিলেন হঠাৎ তাদের স্বপ্নে দৈত্য হয়ে বাধা দিলেন সিরাজগঞ্জের কাউন্সিলর লিটন।
সাঁতার সংগঠক আমিনুল ইসলাম লিটন মামলা করলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভুয়া প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে। যার ফলে গতকাল লিটনের মামলার পক্ষে ঢাকা জেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে শুনানি শেষে তিন দিনের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। ৫৫/১৩ নম্বর মামলায় বিবাদি করা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, নির্বাচন কমিশন ও পরিচালনা প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার ও সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতিকে।

এনএসসির প্রজ্ঞাপনে (এনএসসি/১৮৮/জেন/২২৮২) বলা হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি অবশ্যই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ পরিষদ/কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হতে হবে। অন্যথায় ওই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এবং অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

ক্রীড়াঙ্গনের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচণায় এই বিজ্ঞাপনটি অনেক সংগঠককেই বিপদে ফেলেছে। বিশেষ করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন আবার তফসিল ঘোষণা করতে পারে না। এ সম্পর্কে লিটন বলেন, আমি একজন সংগঠক হিসেবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আমার নাম এসেছে। কিন্তু ক্রীড়া পরিষদ নির্বাচন কমিশন কোন ক্ষমতাবলে দ্বিতীয় দিন আমার নাম বাদ দিয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর পুনঃতফসিল ঘোষিত হতে পারে না। আমার মতো এমন অনেক সংগঠককে বাদ দেয়া হয়েছে। আমি হাইকোর্টেও রিট করেছি। এনএসসির প্রজ্ঞাপনের সূত্র ধরে ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের মতবিরোধ থাকতে পারে না।

আইন তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলবে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে ক্রীড়াঙ্গন কারো মুষ্টিবদ্ধে থাকতে পারে না। এই মামলার ফলে সাঁতার ফেডারেশন নির্বাচনের প্রাথমিক রায়ও ঘোষণা করতে পারবে না ক্রীড়া পরিষদ। এমনি ধারণা পোষণ করছেন অবহেলিত সংগঠকরা।

No comments

Powered by Blogger.