ফিরে দেখা- আমরা সবাই দায়ী! by রহিম শেখ

সম্প্রতি দুটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকণ্ডে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় সব মহলে আলোচনা উঠেছে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হলেও শ্রমিকদের মৃত্যু দাবি বীমার টাকার বিষয়টা খুব একটা জোরালো হয়নি।
গত বুধবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের মৃত্যু দাবি বীমার কিছু টাকা দেয় এ খাতের আরেকটি সংগঠন বিকেএমইএ। ওই অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের হাতে বীমার চেক তুলে দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গার্মেন্টস খাতে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকদের জন্য সরকার, শ্রমিক নেতারা ও মালিকসহ আমরা সবাই দায়ী, এমনকি শ্রমিক নিজেও দায়ী করুণ এ মৃত্যুর জন্য। শিক্ষকের ভাষা রশিদ মামুন ॥ শিক্ষক আন্দোলন চলছে, সিরডাপ মিলনায়তনে একটা এসাইনমেন্টে যাচ্ছিলাম। মাইকের শব্দে প্রেসক্লাবের সামনে আমার পা আটকে গেল। উহ্ কি অসভ্য শব্দ চয়ন। প্রশ্ন জাগল এ কী সত্যিই শিক্ষক আন্দোলন না ভিন্ন কিছু। শিক্ষকরা কী আন্দোলনের নামে এই ভাষা ব্যবহার করবেন! এত নিচে নামবেন শিক্ষকরা! আবার এরাই বক্তৃতার এ মাথায় একবার বলছেন তাঁরা মানুষ গড়ার কারিগর, ও মাথায় আবার বলছেন আমরাই কারিগর। আমার মনে প্রশ্ন জাগল, কারিগরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে মানুষের কী দশা হবে। এক শিক্ষক নেতা আব্দুল হাই সিদ্দিকীর বক্তৃতার কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি, ‘এই সরকার চোর বদমায়েশ লুচ্যাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছে। এরা মদখোর মাতাল। ধর্ষক। শিক্ষামন্ত্রী অপদার্থ ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। সবাই জপে আল্লাহর নাম সে জপ তো শেখ হাসিনার নাম এজন্য সে মন্ত্রী হয়েছে। এই অপদার্থ মেরুদ-হীনকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না। তার জন্ম পরিচয়ও ঠিক নেই। সরকারের প্রতিটি কর্মকা-ের জবাব দেয়া হবে’ এমনি আরও অনেক কিছু। কি কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা। সিদ্দিকী একটা একটা কথা বলছেন আর শিক্ষকরা হো হো করে হাসছেন, তালি দিচ্ছেন। যেন সার্কাস খেলায় এক বিবস্ত্র নর্তকীর নাচ দেখছে এক দল মাতাল। যাদের হুশ নেই, জ্ঞান নেই। আমার মনে হলো এই কী শিক্ষক আন্দোলন। এই কী শিক্ষকদের ভাষা। না এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে। বিশেষ দ্রষ্টব্য, আমি বিশ্বাস করতে চাই আমি যাদের কাছে পড়েছি তারা এমন অসভ্য নন।

No comments

Powered by Blogger.