ভেঙ্গে গেল টাইগারদের জয়ের স্বপ্ন- মরগ্যানের অতিমানবীয় ব্যাটিং by আরিফুর রহমান বাবু

৪৮ ঘণ্টা আগেও আফসোসে পুড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা জিততে না পারার দুঃখে নয়, প্রয়োজন ও প্রত্যাশার চেয়ে অন্তত ৩০ রান কম করার অনুশোচনায়।
কাল তার পুনরাবৃত্তি ঘটল আবার। বরং একটু প্রবলই হলো। সঙ্গে শেষ হাসি হাসতে না পারার দুঃখবোধও জাগল। এ দুঃখবোধ ভেতরে রক্তরণের মতো। বাঙালীর মন খারাপ হতেই পারে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ইংলিশ বধের প্রায় সব আয়োজনই সম্পন্ন হয়েছিল। ঘুরিয়ে বললে বেঙ্গল টাইগারদের বীরোচিত পারফরমেন্সে প্রায় হারতেই বসেছিল এ্যালিস্টার কুক বাহিনী। দ্বিতীয় অংশের বেশিরভাগ সময়ই মনে হয়েছে স্বাধীনতার মাসে বাঙালীর শৌর্য-বীর্যের কাছে প্রথমবার হার মানতে যাচ্ছে ইংলিশরা। কিন্তু শেষ পর্যনত্ম তা আর হয়নি। মিডল অর্ডার এউইন মরগ্যানের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে একদম শেষ দিকে ভোজবাজির মতো পাল্টেছে দৃশ্যপট। সম্ভাব্য জয়ের বদলে ২ উইকেটের হার সঙ্গী হয়েছে শাকিব, তামিম, মুশফিকদের। শেষ হাসি হাসতে না পারলেও নৈতিক ও মানসিক জয় হয়েছে শাকিব বাহিনীরই। জিততে না পারলেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইংলিশদের হারাতে কি দরকার, সে উপলব্ধি ঠিকই জন্মেছিল। ইংলিশ বধে কি করা প্রয়োজন, তা জানা হয়েছিল বলেই তামিম ও মুশফিকুর রহিমদের মুখ থেকে আগেই বেরিয়ে এসেছে মিরপুর শেরেবাংলার বদলে ফেলা উইকেটে ২৩০-এর আশপাশে থেকে লাভ হবে না। লড়াই করতে হলে আর জিততে দরকার ২৬০ থেকে ২৭০ রান। বলার অপো রাখে না প্রথম ম্যাচের পর এ সত্য উপলব্ধিই হয়েছে। ২৮ ফেব্রম্নয়ারি প্রথম ম্যাচের পর তামিম আর দ্বিতীয় ম্যাচের ঠিক আগে মুশফিক এ কথাই বলেছেন। সেটা যে কথার কথা ছিল না, তা বোঝা গেল ইমরম্নল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, রিয়াদ, নাঈম ও সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাটিংয়ে। ওদের উইলোবাজিতে স্পষ্ট টাইগাররা কাল আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২৭০ -এর ওপরে করার ল্যেই নেমেছিল। তা শতভাগ না হলেও অনেকটাই পূরণ হয়েছে। ২৭০-এ যাওয়া সম্ভব না হলেও স্কোর গিয়ে ঠেকেছিল ২৬০-এ। সেটা আগের ম্যাচের মতো কারও একার কৃতিত্বে নয়। টিম পারফরমেন্সে। দুই ওপেনার ইমরম্নল কায়েস-তামিম, মিডল অর্ডার মুশফিকুর রহিম আর শেষ দিকে নাঈম, রিয়াদ ও সোহরাওয়ার্দী শুভরা মিলেই আড়াই শ' পার করে দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান মুশফিকুর রহিমের। এ্ কীপার কাম মিডল অর্ডারের সংগ্রহ ৭৬। আর ইমরম্নল কায়েস খেলেছেন ৬৩ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম করেছেন ২৫ বলে ৩০।

No comments

Powered by Blogger.