মেক্সিকোয় তেল কম্পানির কার্যালয়ে বিস্ফোরণ-নিহত ২৫, আহত শতাধিক

মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি পেমেক্সের প্রধান কার্যালয়ে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ১০০ জনেরও বেশি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কর্মী উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছিল। বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫৪ তলা ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহের কক্ষে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে পেমেক্সের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণের ফলে আকাশছোঁয়া ভবনটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের মতো প্রবলভাবে কেঁপে ওঠে। নিচের কয়েকটি তলার জানালার কাচ ভেঙে যায়। ভবনের এক ও দুই তলার মধ্যবর্তী ছাদ এবং লাগোয়া বাড়তি একটি অংশের ছাদ ধসে যায়। প্রথম তিনটি তলার মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিস্ফোরণের পর পরই কয়েক হাজার লোককে ওই ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হেলিকপ্টার, অ্যাম্বুল্যান্স ও কুকুর নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিলেন জরুরি উদ্ধারকর্মীরা। বিস্ফোরণের পর পরই পুলিশ ওই ভবনের আশপাশের এলাকা আটকে দেয়।
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিগুয়েল আনহেল ওসোরিও জানান, বিস্ফোরণে ১৭ নারী ও আটজন পুরুষ মারা গেছে এবং ১০১ জন আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আরো কেউ আটকে আছে কি না এ ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনিয়া নিয়েতো টুইটারে বলেন, 'বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে আমি নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাইনি। তাই এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহও প্রকাশ করতে চাই না।' প্রেসিডেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মেক্সিকোর বেসামরিক নিরাপত্তা বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহের কক্ষে গ্যাস জমা হয়েছিল। এর থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। পেমেক্স বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেমেক্স বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। গত বছর মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় শহর রেইনোসায় পেমেক্সের এক গ্যাস ক্ষেত্রে বিস্ফোরণে ৩০ জন মারা যায়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে মধ্যাঞ্চলীয় শহর সান মার্টিন তেক্সমেলুকানে তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরিত হয়ে ২৯ জন নিহত ও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়। ২০০৭ সালে অক্টোবরে মেক্সিকো উপসাগরে পেমেক্সের তেল উত্তোলনের প্ল্যাটফর্মে গ্যাস নির্গত হয়ে ২১ শ্রমিক মারা যায়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.