লাল মসজিদে অভিযানের তদন্ত- মোশাররফকে তলবের সিদ্ধান্ত কমিশনের

পাকিস্তানের লাল মসজিদে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ও প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁদের তলব করা হতে পারে।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লাল মসজিদ ও মসজিদসংলগ্ন একটি মাদ্রাসায় অভিযান পরিচালনা করে সামরিক বাহিনী। জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ১৫৪ জন নিহত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী লাল মসজিদে অভিযান পরিচালনার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোশাররফ ও প্রধানমন্ত্রী শওকত দায়ী। লাল মসজিদের খতিব আবদুল আজিজ অভিযোগ করেন, ‘মোশাররফ আমাদের ইসলামি আদর্শের পুরোপুরি বিরোধী। তাই ওই অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন মোশাররফ ও শওকতকে তলবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তাঁদের তলব করতে পারে কমিশন।
লাল মসজিদে অভিযানের ঘটনায় গত ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি শেহজাদ শেখকে নিয়ে এক সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন গতকাল প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-কিউ) নেতা চৌধুরী সুজাত হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ইজাজুল হক ও প্রতিমন্ত্রী তারিক আজিমের বক্তব্য রেকর্ড করে।
কারগিল যুদ্ধের কয়েক দিন আগে ভারতে রাত কাটান মোশাররফ: ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের কয়েক দিন আগে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) থেকে ভারতের ১১ কিলোমিটার ভেতরে রাত কাটান পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান মোশাররফ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার সাবেক কর্মকর্তা আশফাক হোসেন নিজের লেখা বইয়ে এ কথা উল্লেখ করেন।
আশফাক জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ মার্চ হেলিকপ্টারে করে এলওসি পেরিয়ে যান মোশাররফ। ভারতের ১১ কিলোমিটার ভেতরে জিকরিয়া মুস্তাকার নামের একটি স্থানে এক রাত অবস্থান করে পরদিন ফিরে আসেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন ৮০ ব্রিগেডের কমান্ডার মাসুদ আলম। ডন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.